ডাম্পিং গ্রাউন্ড সমস্যা সমাধানের পথে আরও এক ধাপ এগোল জলপাইগুড়ি পুরসভা। জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালাপাড়া এলাকার প্রায় তিন একর জমি সরকারি ভাবে শুক্রবার জলপাইগুড়ি পুরসভার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে এ দিন জমিটি পুর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হয়। ইতিমধ্যেই জমির সীমানা চিহ্নিতকরণের কাজ শেষ হয়েছে। জনবসতিহীন এই এলাকায় ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি হলে নতুন করে কোনও সমস্যার আশঙ্কা নেই বলেই পুরসভা-প্রশাসন মনে করছে।
শীঘ্রই নতুন এলাকায় ময়লা ফেলার কাজ শুরু করবে পুরসভা। এলাকায় যাতে দূষণ না ছড়ায় সে কারনে বৈজ্ঞানিক উপায়ে ময়লা ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুরসভা। জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “নতুন ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জমি হস্তান্তর হয়েছে। শীঘ্রই এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডকে পুরোদস্তুর ব্যবহার শুরু হবে। বৈজ্ঞানিক উপায়ে এখানে ময়লা ফেলা হবে।” জলপাইগুড়ি পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে প্রায় দু বছর ধরে চলতে থাকা টানাপোড়েন শীঘ্রই অবসান ঘটতে চলেছে বলে পুরসভা মনে করছে। শহর লাগোয়া পাঙ্গা এলাকার বাসিন্দাদের বাধায় পুরসভার পুরোনো ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ময়লা ফেলা বন্ধ হয়ে যায়। মন্ডলঘাট এলাকার একটি জমি পুরসভাকে তুলে দিতে উদ্যোগী হয় জেলা প্রশাসন। সেখানেও স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধা আসে। স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ড না থাকায় গত পাঁচ মাস ধরে জলপাইগুড়ি পুরসভার জঞ্জাল সংগ্রহ এবং সেই জঞ্জাল ফেলার প্রক্রিয়া থমকে যায়। শহর জুড়ে ময়লা জমতে থাকে। জেলা প্রশাসন ও পুরসভার একাধিক বৈঠকের পরে পাহাড়পুর এলাকার জনহীন এলাকার খাস জমিকে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য বেছে নেওয়া হয়। সব দিক খতিয়ে দেখে সেই জমি পুরসভাকে হস্তান্তর করতে রাজি হয় সরকার।
বিভাগীয় মন্ত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জমি হস্তান্তরের ফাইলে সাক্ষর করেন। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকেও অনুমোদন মেলে। এর পরেই এদিন জমিটি সরকারি ভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। সরকারি সুত্রে জানা গিয়েছে, জমিটির জন্য পুরসভাকে প্রায় ৯০ হাজার টাকা এককালীন জমা দিতে হবে। বছরে কিছু টাকা রাজস্ব বাবদ দিতে হবে। জলপাইগুড়ি সদর মহকুমা শাসক সাগর চক্রবর্তী বলেন, “ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে সমস্যা তৈরির পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রশাসন উদ্যোগী হয়। আশা করছি, এবার পুরসভার সমস্যা সুরাহা হবে।” শুক্রবার দুপুরে জেলার ব্লক ভুমি রাজস্ব দফতর ও পুরসভার প্রতিনিধিরা পাহাড়পুরে গিয়ে জমিটি মাপজোক করেন। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “চেয়ারম্যান ও আমি এদিন হস্তান্তর প্রক্রিয়া দেখে এসেছি। আশা করি তাড়াতাড়ি জঞ্জাল অপসারণ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হবে।” |