সর্বাধিক সংখ্যক মানুষ যে ব্যবস্থায় ভাল থাকে, সেই ব্যবস্থাটি প্রতিষ্ঠা করাই উন্নয়নের লক্ষ্য হওয়া বাঞ্ছনীয়। মালদহের মানিকচক খানপুর ম্যানেজড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সনৎ মিশ্র সেই উন্নয়নের মাছের চোখে তির বিঁধাইয়াছিলেন। তিনি বিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করিয়া বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নিজের শ্যালিকার বিবাহের আসর বসাইয়াছিলেন। ছাত্ররা খুশি, কারণ তাহাদের ক্লাস করিতে হইবে না। শ্যালিকা খুশি হইতেছেন, স্বভাবতই প্রধান শিক্ষক মহাশয়ও খুশি। যাঁহারা নিমন্ত্রণ পাইয়াছিলেন, তাঁহারাও খুশি। উন্নয়নের চূড়ান্ত। পশ্চিমবঙ্গের গ্রামে গ্রামে এমন উন্নয়ন প্রায়ই ঘটে। বাদ সাধিয়াছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান। প্রধান শিক্ষক বলিয়াছেন, স্কুল ছুটি দিয়া বিবাহের অনুষ্ঠান করা তাঁহার ঠিক হয় নাই, এই কথাটি তিনি বুঝিতে পারিতেছেন। দুর্জনে বলিবে, বুঝিতে এত বিলম্ব হইল কেন? বিলম্বের কারণ সহজ। গোটা রাজ্য জুড়িয়াই যখন এই ব্যবস্থা চলে, তখন খামখা কেহ তাহাকে অস্বাভাবিক বা ভুল ভাবিবেন কেন? তাঁহার সিদ্ধান্ত ছিল ‘বহুজন হিতায়, বহুজন সুখায়’ তাহাতে স্থানীয় সকলের আনন্দ বাড়িতেছিল তো বটেই, রাজ্যের প্রচলিত ব্যবস্থাটিও অটুট থাকিতেছিল। তিনি বলিতেই পারেন, ভালমানুষির আর দিন নাই। |