পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষকে মারধর করার পরে বাঁকুড়ার জয়পুরের রাউৎখণ্ডে সিপিএমের লোকাল কমিটির সম্পাদক-সহ ৬ জন দলীয় কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার সকালে হামলা হয়। পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “অভিযুক্ত ১৩ জন পলাতক। তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।”
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিপিএম পরিচালিত রাউৎখণ্ড পঞ্চায়েতে ইন্দিরা আবাস যোজনার উপভোক্তা নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে। মারধর করা হয় জয়পুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দিলিপ খাঁ-কে। বিডিও চিত্রদীপ সেন খবর পেয়ে সেখানে যান। পুলিশের কাছে অভিযোগও করা সিপিএমের জয়পুর জোনাল সম্পাদক বিশ্বনাথ দে’র অভিযোগ, “বিডিও এবং পুলিশকে খবর দেওয়ায় তৃণমূলের লোকেরা রাউখণ্ড লোকাল কমিটির অফিসে ঢুকে লোকাল সম্পাদক রাধানাথ দে ও দলীয় কর্মী শিবু কৈবর্তকে মারধর করে। শুক্রবার সকালেও ওই পার্টি অফিসে ফের হামলা চালায় তৃণমূলের লোকেরা। জখম হন আনারুদ্দিন মল্লিক, ষাড়েশ্বর খাঁ, লালমোহন মাণ্ডি ও অজিত কুণ্ডু।” বাঁকুড়া মেডিক্যালে ৬ জন ও জয়পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১ জনের চিকিৎসা চলছে। তৃণমূলের জয়পুর ব্লকের কার্যকরী সভাপতি দিলিপ খাঁ-র দাবি, “ইন্দিরা আবাস নিয়ে স্বজন পোষণের চেষ্টা করায় বাসিন্দারা তা রুখে দিয়েছেন। আমাদের দলের নাম জড়িয়ে সিপিএম মিথ্যা প্রচার করছে।” |