দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা
নিরুদ্দেশ অটো
ডুমুরের ফুল
টো প্রায় ছ’হাজার। কিন্তু সন্ধ্যার পরে তাদের দেখা পাওয়া ভার। দীর্ঘ ক্ষণ লাইন দিয়েও অনেক সময় অটো মেলে না। এমনই অভিযোগ বেহালার বিভিন্ন রুটের অটো নিয়ে।
তারাতলা থেকে ঠাকুরপুকুর, জোকা, পৈলান, বকুলতলা, শিবরামপুর, ডাকঘর, চৌরাস্তা থেকে সরশুনা, টালিগঞ্জ থেকে সখেরবাজার, চৌরাস্তা, হরিদেবপুর, কবরডাঙা রুটের অটো স্ট্যান্ডগুলির সামনে সন্ধ্যার পরে লাইন বাড়তে শুরু করে। অভিযোগ, পাল্লা দিয়ে কমতে থাকে অটোর সংখ্যা।
নিত্যযাত্রী এবং বেহালার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই সব এলাকায় রাতে অটো না পাওয়ার সমস্যা দীর্ঘ দিনের। এলাকার বাসিন্দা চৈতালি চক্রবর্তীর কথায়: ‘‘অনেক সময় সন্ধ্যার পরে অটোর জন্য অপেক্ষা করাই বৃথা হয়ে দাঁড়ায়। বেশি খরচ করে ট্যাক্সি কিংবা শাট্লে ফিরতে হয়। তা-ও পাওয়া যায় না। তখন প্রাণ হাতে ভিড় বাসে বাড়ি ফেরা ছাড়া উপায় থাকে না।”
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, কোন রুটে কত ক্ষণ অটো চলবে তা ঠিক করে সংশ্লিষ্ট রুটের অটোচালকদের ইউনিয়ন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, “রুটে নতুন অটোর পারমিট দেওয়ার বিষয়টি আমাদের আওতার মধ্যে পড়ে। কিন্তু অটো না পাওয়ার বিষয়টি আমরা দেখি না।”
বেহালা সংলগ্ন এলাকার নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি অসুবিধা হয় বর্ষা এবং শীতের সময়। এই দুই মরসুমে বাড়ি ফেরার শেষ ভরসা বাসের সংখ্যাও রাত বাড়লে কমতে শুরু করে। অনেক সময় হেঁটে বাড়ি ফেরা ছাড়া অন্য কোনও উপায় থাকে না।
কেন এমন হয়?
অটোচালকরা জানান, সন্ধ্যার মধ্যে লাভের টাকা উঠে গেলে অনেক চালকই রাতের দিকে আর গাড়ি চালাতে চান না। ফলে প্রতি দিনই সন্ধ্যা হলেই বিভিন্ন রুটের অটো বসে যায়। অনেক সময় যাত্রী নামানোর পরে আবার যাত্রী তুলতে অনেক ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। ফলে স্ট্যান্ডে পৌঁছতে বেশি সময় লাগে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অটোচালক বলেন, ‘‘গ্যাসের দাম দ্রুত বাড়ছে। খালি অটো বা এক-দু’জন যাত্রী নিয়ে স্ট্যান্ডে এলে আমাদের আর্থিক ক্ষতি হয়। তাই যাত্রীদের সমস্যা হলেও আমরা নিরুপায়।”
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, “বেহালার অধিকাংশ রুটেই স্ট্যান্ডে ফেরার সময় যাত্রী পেতে সময় লাগে। ফাঁকা গাড়ি নিয়ে অনেক চালকই স্ট্যান্ডে ফিরতে চান না। তবে প্রস্তাবিত মেট্রো প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হলে এই সমস্যা থাকবে না।

ছবি: পিন্টু মণ্ডল




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.