|
|
|
|
বিপর্যয়ের সামাল দিতে কুয়ো-মিস্ত্রি নিচ্ছেন মন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী আছে। কিন্তু কোনও কোনও বিপর্যয়ে তারা তেমন কাজে আসছে না। তাই বিপর্যয় মোকাবিলায় এ বার কুয়ো খোঁড়ার মিস্ত্রি খুঁজছেন মন্ত্রী জাভেদ খান। লিলুয়ায় পাতকুয়োয় পড়ে ১৭ বছরের রোশন মণ্ডলের মৃত্যুর তিন দিন
বাদেই এই ‘দাওয়াই’ খুঁজে বার করেছেন তিনি।
রবিবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লিলুয়ায় রোশনকে উদ্ধার করতে গিয়ে কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথের মতো অসহায় অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিলেন দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তালিমপ্রাপ্ত কর্মীরা। প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে উদ্ধারকাজে কুয়ো-মিস্ত্রিদের কাজে নামাতেই রাত দেড়টা বেজে যায়। তার পরে অবশ্য মিনিট পনেরোর মধ্যেই কুয়োয় নেমে মৃত তরুণের দেহ
উদ্ধার করে আনেন তিন কুয়ো-মিস্ত্রি। তার পরেই দমকল বাহিনীতে কুয়ো খোঁড়ার মিস্ত্রি নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
মন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে দমকলের পদস্থ কর্তাদের অনেকেই বিস্মিত। তাঁরা বলছেন, দমকলে যাঁরা আগুন নেভান, সেই ফায়ারম্যান নেওয়া হয়নি বহু দিন। এই মুহূর্তে দু’হাজার ফায়ার অপারেটর প্রয়োজন দমকলে। বিভিন্ন দমকল কেন্দ্রে টেলিফোন ধরার লোক নেই। নেই দমকলের গাড়ির চালকও। রাজ্যের আর্থিক সঙ্কটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে ওই সব পদে নিয়োগ হচ্ছে না। এই অবস্থায় কুয়োর মিস্ত্রি নিয়োগ করার যুক্তি কী, দমকল অফিসারেরা তা বুঝতে পারছেন না।
যুক্তি হিসেবে দমকলমন্ত্রী বলছেন, “কুয়োয় নামার কাজটা বিশেষ দক্ষতার ব্যাপার। এটা সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। কুয়ো-মিস্ত্রিদেরই দমকলের আগুন নেভানোর কাজ শিখিয়ে-পড়িয়ে নেওয়া হবে।” কিন্তু দমকলে প্রয়োজনীয় কর্মী নেওয়া হচ্ছে না কেন? মন্ত্রীর জবাব, অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতর থেকে লোক পাঠানো হবে দমকলে। তাতে আবার অসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীতে লোক কম পড়ে যাবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠছেই? জাভেদের পরিকল্পনা, আসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরে এ বার তাঁরা ডোমও নেবেন। অসামরিক দফতরে ডোমেরা কী করবেন? মন্ত্রীর ব্যাখ্যা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে একসঙ্গে বহু মানুষের মৃত্যু হলে মৃতদেহ সরানোর লোক মেলে না। সে-কথা ভেবেই ডোম নিয়োগের কথা ভাবা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|