|
|
|
|
মহিষাদলে ছাত্র নিখোঁজ, ধৃত ১ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
টিউশনে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে নবম শ্রেণির এক ছাত্র। শেখ আরিয়ান নামে ওই ছাত্রের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের কাপাসএড়্যায়। গত শনিবার হলদিয়ায় টিউশনে গিয়েছিল ‘অ্যাসেম্বলি অফ গড চার্চ’ স্কুলের ওই ছাত্র। তারপর থেকেই তার আর খোঁজ মেলেনি। শনিবার রাতেই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন পরিবারের লোকেরা। সোমবার সকালে আবার কয়েকজনের নামে নির্দিষ্ট করে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন নিখোঁজের পরিবারের সদস্যরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার হলদিয়ার ভবানীপুর থানা এলাকার কুমারপুর থেকে আজিজুল
|
শেখ আরিয়ান। |
রহমান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হলদিয়া মহকুমা আদালত তাঁকে তোলা হলে ছ’দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠান বিচারক। মহিষাদলের সিআই শুভঙ্কর দে বলেন, “ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। কিন্তু ওই ব্যক্তি এই বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করছেন। আমরা ছাত্রটির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছি।”
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, টিউশন নিতে শনিবার সকাল ৭টা নাগাদ কাপাসএড়্যার বাড়ি থেকে হলদিয়া টাউনশিপে আসে আরিয়ান। বেলা ১১টাতেও সে বাড়িতে না ফেরায় উদ্বিগ্ন পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। শেষমেশ শনিবার রাতে মহিষাদল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। নিখোঁজের দাদু পেশায় ঠিকাদার শেখ হাসান বলেন, “নাতির মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালাচ্ছিলাম আমরা। রবিবার ১১টা নাগাদ এক ব্যক্তি ওই ফোনটা ধরে এবং ১০ কোটি টাকা দাবি করে। তারপর আর ওই নম্বরে যোগাযোগ করা যায়নি। পুলিশে বিষয়টি জানিয়েছি।” পুলিশ অবশ্য অন্য কথা বলছে। সিআই শুভঙ্কর দে বলেন, “যে নম্বর থেকে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে বলে ওরা জানাচ্ছেন, সেটা দক্ষিণ ভারতের একটা নম্বর। এই নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। তবে, আমরা বিষয়টি একেবারে উড়িয়েও দিচ্ছি না।” এ দিকে, সোমবার থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন আরিয়ানের পরিবারের লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ, কিছু দিন আগে হলদিয়ার একটি ফ্ল্যাটের টাকা নিয়ে বচসা হয়েছিল কয়েকজন আত্মীয়ের সঙ্গে। ওই আত্মীয়রাই ছেলেকে অপহরণ করেছে বলে মনে করছেন পরিবারের লোকজন। সোমবার ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আরিয়ানের বাবা পেশায় ঠিকাদার শেখ মোজাম্মেল। |
|
|
|
|
|