টুকরো খবর
হাতির হানায় জখম, কুনকি এনে হাতি ধরার ভাবনা
হাতির হানায় গুরুতর জখম হলেন এক ব্যক্তি। নারায়ণ টুডু নামের ওই ব্যক্তির বাড়ি গোয়ালতোড় থানার গোয়ালডাঙায়। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় বারমেসিয়ায়। মঙ্গলবার সকালে জঙ্গলে গিয়ে হাতির কবলে পড়েন নারায়ণবাবু। হাতিটি তাঁর বাঁ পায়ে আঘাত করে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। বন দফতরের রূপনারায়ণ বিভাগের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “হাতির হামলায় এক ব্যক্তি জখম হয়েছেন। ওই এলাকা থেকে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা চলছে।” সপ্তাহ খানেক আগে ময়ূরঝর্না থেকে ২৪টি হাতির একটি দল পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢুকেছে। দলটি এখন মোহালিসাই রেঞ্জের ধামচা এলাকায় রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এই দলেরই একটি হাতির মুখোমুখি হন নারায়ণবাবু। অন্য দিকে, দলমা থেকে আসা একটি হাতির দলও পশ্চিম মেদিনীপুরে রয়েছে। দলটি এখন খড়িকাশুলি ও তার আশপাশ এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে। হাতির হানা ঠেকাতে হাতি ধরার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। এ জন্য কেন্দ্রের কাছে পাঠানো আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। চলতি বছরেই কাজ শুরু হবে। বন দফতর জানিয়েছে, এ বার ছোট দু’টি হাতি ধরার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য উত্তরবঙ্গ থেকে কুনকি হাতি নিয়ে আসা হবে। রূপনারায়ণ বিভাগের ডিএফও বলেন, “উত্তরবঙ্গ থেকে কুনকি এনে হাতি ধরার পরিকল্পনা করা হয়েছে। অর্থ দফতরের অনুমতি মিললেই কাজ শুরু হবে।” বন দফতর জানিয়েছে, দলমার দলটি গড়বেতার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে চলে গিয়েছিল। ফের সেখান থেকে ফিরে এসেছে। তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখা হয়েছে।

হনুমানের কামড়ে জখম
সেই হনুমান। —নিজস্ব চিত্র।
রামপুরহাট স্টেশন চত্বর এলাকায় হনুমানের কামড়ে জখম হলেন রেলওয়ে নিরাপত্তারক্ষী-সহ ৬ জন। মঙ্গলবার রামপুরহাট রেল স্টেশনে অপেক্ষারত ৫ যাত্রীকেও হনুমানটি কামড়ায়। রাতেই খবর দেওয়া হয় বন দফতরের তুম্বনি রেঞ্জে। বিট অফিসার সুকুমার সাহা-সহ দু’জন কর্মী আসেন। কিন্তু হনুমানের কোনও হদিশ পাননি। বুধবার বিটঅফিসার-সহ তুম্বনি রেঞ্জের চার জন কর্মী এবং নলহাটির লক্ষ্মীনারায়ণপুর বিটের দু’জন কর্মী এসে জাল দিয়ে ঘিরে ফেললেও হনুমানটি ধরতে পারেনি। সংলগ্ন ভবতারিনী মন্দিরে হনুমানটি ঢুকে পড়লে আর পালাতে পারেনি। সুকুমারবাবু বলেন, “দুপুর ১২টা নাগাদ হনুমানটি ধরা পড়ে। পেটের দিকে আঘাতের চিহ্ন আছে।”

বাঁদর ধরতে খাঁচা
বাঁদর ধরতে খাঁচা পাতা হল শিলিগুড়ির ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লিতে। বুধবার সুকনা ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের পক্ষ থেকে সুকান্তপল্লিতে একটি খাঁচা পেতে দেওয়া হয়। গত কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় একপাল বাঁদর নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে। শিশুদের কামড়ে দেওয়া ছাড়াও মহিলাদের তাড়া করছে। ঘরে ঢুকে খাবার নষ্ট করছে। বাঁদের তাড়া থেকে খেয়ে সম্প্রতি এক মহিলা বাড়ির একতলার ছাদ থেকে পড়ে জখম হন। এর পরে বুধবার খাঁচা পাতার ব্যবস্থা হয়।

চিতাবাঘকে পিটিয়ে হত্যা
দুই ব্যক্তিকে জখম করার পরে গ্রামবাসীদের গণপ্রহারে মারা গেল একটি চিতাবাঘ। ঘটনাটি গোলাঘাট জেলার। আজ ভরলু কানিমহল চারিয়ালি এলাকায় ফসলখেতে যাওয়ার সময় মহেন শইকিয়া নামে এক ব্যক্তিকে চিতাবাঘটি আক্রমণ করে। মহেনবাবুকে গুরুতরভাবে জখম করার পরে ঝোপে লুকিয়ে পড়ে সে। চিতাবাঘের সন্ধানে গ্রামবাসীরা ঝোপ ঘিরে ফেলেন। প্রফুল্ল শইকিয়া নামে এক গ্রামবাসী চিতাবাঘটির থাবায় তিনি জখম হন। জখম হলেও হাতের দা দিয়ে চিতাবাঘটির শরীরে কোপ বসান প্রফুল্ল। এর পর জখম চিতাবাঘকে পিটিয়ে মারেন গ্রামবাসীরা।

হাতিকে পরীক্ষা
নকশালবাড়ি লাগোয়া কলাবাড়ির জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো জখম হাতিটিকে বুধবার ফের পরীক্ষা করে দেখলেন পশু চিকিৎসকেরা। কয়েকদিন আগে হাতিটি জখম হয়। বুনো হাতির পালের সঙ্গে সেটি ঘুরে বেড়ালেও ভাল করে হাঁটতে পারছে না। পা ভাঁজ করতে পারছে না। জখম সামনের বাঁ-পা ফুলে গিয়েছে। বনকর্মীরা সম্প্রতি হাতিটিকে দেখতে পেয়ে পশু চিকিৎসকদের খবর দেন।

মিলল বুধরামের দাঁত
মঙ্গলবার গভীর রাতে ডুয়ার্সের খুট্টিমারিতে গোঁসাইহাট জঙ্গলের ধারে একটি ঝিলের পাশে মাটি খুঁড়ে পাওয়া যায় বুধরামের দুটি দাঁত। ২১ জুন বৃহস্পতিবার সকালে জঙ্গল থেকে মিলেছিল অসুস্থ হাতি বুধরামের মৃতদেহ। দেহ থেকে কেটে নেওয়া হয়েছিল দাঁত দু’টি। রবিবার রাতে উত্তর খুট্টিমারি বনবস্তির এক বাসিন্দাকে গ্রেফতারের পরে জেরা করে দাঁতের হদিস পায় বন দফতর। ঘটনায় গ্রামের আরও দুজনের নাম উঠে আসে। তারা পলাতক। জলপাইগুড়ির ডি এফ ও বিদ্যুৎ সরকার জানান, “জেরায় ধৃত জানিয়েছে তার দুই সঙ্গী বুধরামের দেহ থেকে দাঁত কেটেছিল। উদ্ধার হওয়া দুটি দাঁতের ওজন ৪৪ কেজি ১০০ গ্রাম। একেকটি দাঁত এক মিটারের বেশি লম্বা।”

তথ্য: নিলয় দাস, ছবি: রাজকুমার মোদক।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.