মালদহ শহরের নিকাশি জলের সিংহভাগ যেখানে জমা হয় সেই মালঞ্চপল্লী, কৃষ্ণপল্লীর পশ্চিমদিকে অবস্থিত বিশাল জলাভূমি সহ শহরের একাধিক জায়গায় পুকুর ভরাট হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যথেচ্ছভাবে যেখানে সেখানে গাছ কাটা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগে গোটা শহর ভরে গিয়েছে। তাই পরিবেশ বাঁছানোর ডাক দিয়ে জেলার শতাধিক পরিবেশপ্রেমী মানুষ জোট বেঁধেছেন। জলাভরাট বন্ধ করা থেকে শুরু করে গাছ কাটা বন্ধ করে নতুনগাছ লাগানো ও প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা দাবিতে জেলার পরিবেশপ্রমীরা বুধবার জেলা প্রশাসনের সদর দফতরের সামনে সভা করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। পরে তাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দাবিতে জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে জেলার পরিবেশপ্রেমীরা। মালদহ পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ সাহা বলেন, “মালদহ জেলা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। গোটা জেলায় যেভাবে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে তাতে জেলার মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। কিন্তু ভারসাম্য রক্ষা করার ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কোন হুঁশ নেই। জেলার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দাবিতে জেলাশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছি। পাশাপাশি জেলার মানুষকে সচেতন করতে পথে নেমেছি।” পরিবেশপ্রেমীদের অভিযোগ, মালদহ শহরে পুকুর বুজিয়ে বাড়ি হচ্ছে। শহরের নিকাশি জল যে নিচু জলাভূমিতে জমা হয়, সেই জলাভূমি ভরাট হচ্ছে। জেলাশাসকের অনুপস্থিতিতে জেলার পরিবেশপ্রেমীদের কাছ থেকে স্মারকলিপি নিয়েছেন জেলার ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক খগেন্দ্র নাথ ডিউ। তিনি বলেন, “পরিবেশপ্রেমীদের দাবি অযৌক্তিক নয়। আমরা হানা দিয়ে জেলার জলাভূমি ভরাট বন্ধ করতে পারছি না। যখন হানা দিচ্ছি তখন সাময়িকভাবে পুকুর ও জলাভূমি ভরাট বন্ধ থাকছে। ২৪ ঘন্টা পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়।” ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “শহরে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জুন ও জুলাই মাস দুমাস প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ নিষিদ্ধ করতে শহরবাসীকে সচেতন করা হবে। এর পরে ১ অগষ্ট থেকে পুর এলাকায় প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। পুরসভা শহরের পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে শহরের যেখানেই ফাঁকা জায়গা দেখবে, সেখানেই ফুল ও ফলের গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” |