|
|
|
|
|
|
অফ ক্যামেরা দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়-এর মুখোমুখি পথিক পণ্ডিত |
‘মুম্বইয়ের মহীরুহ’। আপনার শেকড়ের গল্পটা বলবেন?
দিবাকর: পৈতৃক ভিটে হল বারাসাতে। বাবার মামার বাড়ি আলমবাজারে। বাবা অনেকটা সময় মামার বাড়িতে কাটিয়েছেন। অন্য দিকে আমার মামার বাড়ি হাওড়ার শিবপুরে। আর আমার কাছে ছোটবেলায় কলকাতা ছিল ছুটির সময় অ্যাডভেঞ্চার করতে যাওয়ার জায়গা।
আপনি কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরাগী? মা-মাটি-মানুষকে নিয়ে ছবি করলেন যে?
দিবাকর: মা-মাটি-মানুষের গল্প নিয়ে ছবি করলেই যে কোনও ব্যক্তি বিশেষের অনুরাগী হতে হবে, তার তো কোনও মানে নেই। এই গল্পটা যখন লেখা হয়েছিল, তখন এই ইস্যুগুলো তৈরিই হয়নি।
ছবিতে মুখ্যমন্ত্রীর চরিত্রটিও এক মহিলার। এখানে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বোঝাতে চেয়েছেন?
দিবাকর: যখন স্ক্রিপ্টটা লেখা হয়েছিল, তখন উনি কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না। তখন ভারতে দু’জন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শীলা দীক্ষিত, আর জয়ললিতা। তা হলে তো তাঁদের সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজতে হয়।
‘সাংহাই’ ছবিতে ভারতনগরের জায়গায় নন্দীগ্রামের নামটা দিলে তো আরও প্রাসঙ্গিক হত?
দিবাকর: (হাসি) দেওয়া যেতেই পারত, কিন্তু ছবির পরিসর, পরিধিটা আরও ছোট হয়ে যেত। ছবিটা তো আর পশ্চিমবাংলার ছবি না, পুরো ভারতের ছবি।
|
ছোটবেলা কোথায় কেমন কেটেছে? পড়াশোনা? পরিবারে কে কে আছেন?
দিবাকর: আমার ছোটবেলা এবং বড়বেলা দুটোই কেটেছে দিল্লিতে। বাড়িতে ছিল পুরোপুরি বাঙালি আবহাওয়া বাংলা বই, বাংলা গান, বাংলা খাবারদাবার সব কিছু। বাবা মার্কেটিংয়ের কাজ করতেন, মা গানের শিক্ষকতা করতেন। পড়াশোনা? বালভারতী স্কুল, তার পর আমদাবাদে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ডিজাইন-এ পড়াশোনা করেছি। আর পরিবার? বাবা-মা, দিদি-জামাইবাবু, আমার স্ত্রী ও মেয়ে।
সিনেমা না বানিয়ে প্রথমে অ্যাড ফিল্ম বানাতে গেলেন কেন?
দিবাকর: (হাসি) কোনও প্রযোজককে ‘আমি সিনেমা বানাব গো’ বললেই তো টাকা দেবে না। সেই কারণেই মনে হয়েছিল, আগে অ্যাড ফিল্ম করে ধীরে ধীরে হাত পাকিয়ে, জ্ঞান অর্জন করে নিই, তার পর সিনেমা বানাব।
এখন নিশ্চয় প্রযোজকরা আপনার চার পাশে সারাক্ষণ ঘুরঘুর করছেন?
দিবাকর: কথাটা কিছুটা সত্যি, কিন্তু আমি এটা চাই না। আমি চাই, প্রযোজকরা ছবির মান বুঝে, জাত বুঝে টাকা ঢালুন। |
|
|
কলেজজীবনে প্রচুর প্রেমের প্রস্তাব পেতেন না?
দিবাকর: কোনও দিন কারও কাছ থেকে প্রেমের প্রোপোজাল পাইনি, এমনকী কাউকে কোনও দিন প্রোপোজও করিনি। আমি দিল্লির কাঠখোট্টা আবহাওয়ায় বড় হয়েছি।
বিয়েটা তো লাভ ম্যারেজ?
দিবাকর: হ্যাঁ, তা ঠিক।
তবে যে বললেন কাউকে কোনও দিন প্রোপোজ করেননি।
দিবাকর: (হাসি) ওই আর কী! আমাদের পরিচয় হয়েছিল একটা অ্যাড এজেন্সিতে কাজ করতে গিয়ে। তার পর ৬-৭ বছর একসঙ্গে থাকি। তার পর বিয়ে করি।
পরিচালনার বাইরে কী ভালবাসেন?
দিবাকর: মিউজিক। এবং খেতে খুব ভাল লাগে। এখন বাবা-মা’র কাছে থাকি না। বাঙালি রান্না পাই না। সেটা যখন পাই, তখন সব খেদ ভুলে যাই।
এ যাবৎ চারটি ছবি বানিয়েছেন। তার মধ্যে দুটি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। বলিউডে অনেকেই মনে করেন, আপনি এই মুহূর্তে সবচেয়ে প্রতিভাধর পরিচালক। এবং ইন্ডাস্ট্রিতে এখন আপনি ভীষণ ভীষণ জনপ্রিয়। জনপ্রিয়তার গুঁতো মাথা ঘুরিয়ে দিচ্ছে না তো?
দিবাকর: না ভাই, মাথা ঘুরে যাচ্ছে না, পা মাটিতেই আছে। প্রথমেই বলি, অ্যাওয়ার্ডের জন্য ছবিগুলো বানাইনি।
‘সাংহাই’ ছবিতে টলিউড স্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে কাস্টিং করার কারণ কী?
দিবাকর: বুম্বাদাকে সব থেকে যোগ্য মনে হয়েছিল। এক জন ক্যারিশম্যাটিক এবং সেক্সি অভিনেতার দরকার ছিল এবং যার একটা ন্যাশনাল ইমেজ রয়েছে। ওই রকম একটা চরিত্র যে পাবলিক ইস্যু নিয়ে প্রাণ হাতে করে লড়তে পারে।
বাংলা ছবি করার কোনও পরিকল্পনা আছে?
দিবাকর: আসলে কী জানেন তো ভাই, আমি যা দেখি, যা চিনি, এবং যা শুনি এ সব নিয়েই আমি ছবি বানাতে পারি। আমার ছবিগুলো যদি দেখেন, এই ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন। ‘খোসলা কা ঘোসলা’, ‘ওয়ে লাকি, লাকি ওয়ে’, ‘লাভ সেক্স অ’র ধোকা’ বা ‘সাংহাই’ এইগুলো সবই হয় দিল্লিকে বা দিল্লিবাসীকে নিয়ে, নতুবা মুম্বইয়ের গন্ধ লেগে আছে। সুতরাং বাংলা ছবি করতে গেলে আমায় রীতিমত কলকাতায় থাকতে হবে। কলকাতায় জীবন যাপন করতে হবে। সেই কারণেই বাংলা ছবি বানানোর এই মুহূর্তে কোনও প্ল্যান নেই।
শুনলাম, মহাশ্বেতা দেবীর কিছু গল্প এবং শরদিন্দুর ‘ব্যোমকেশ বক্সী’র কয়েকটি গল্পেরও রাইটস কিনছেন। তবে কি এগুলো হিন্দিতে ছবি বানাবেন?
দিবাকর: হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। হিন্দিতেই বানাব। মহাশ্বেতা দেবীর কাছে গিয়েছিলাম, তিনি আমাকে রাইট দিতে রাজিও হয়েছেন। খুব শিগ্গির রাইট নেব। আর শরদিন্দুর ‘ব্যোমকেশ বক্সী’ গল্পের রাইটস অলরেডি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। খুব শিগ্গিরই ব্যোমকেশকে নিয়ে হিন্দি ছবি বানাব। |
|
|
|
• ‘মুলায়ম মলম’ কারও প্রশমন, কারও বা জ্বলন! পরমাণু চুক্তি থেকে রাইসিনা রেস। একাধিক বার পরীক্ষিত-প্রমাণিত। বিধিসম্মত সতর্কীকরণ: বাংলার প্রতিপক্ষ দুই যুযুধান এই মলম হইতে সাবধান!
পার্থসারথি ভট্টাচার্য।
• দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে ঘটনাক্রম সেটাকে এক জন বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা বললেন, ‘খেলা শেষ’। আবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানান দেওয়া হল, ‘খেলা এখনও বাকি!’ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন যে ‘খেলা’, সেটা মালুম হল মুলায়মজির ‘স্পট ফিক্সিং’ দেখেই! তবে বোঝাই যাচ্ছে, ফুটবল-ক্রিকেটের মতো ‘নয়-এ (যদু) মধুর খেলা!’
সুশান্ত ঘোষাল। কালনা
• রাইসিনা হিলস আবার প্রমাণ করল, বাঙালিরা আসলে কাঁকড়ার জাত। বলো বলো বলো সবে বাঙালিরা শ্রেষ্ঠ আসন কভু নাহি লবে, কেবলই ‘তৃণমূল’ স্তরে রবে!
উজ্জ্বল মালি। বর্ধমান
• শিক্ষক: ইউ পি এ-র পুরো নাম কী?
ছাত্র: আন্ডার প্রেশার অ্যালায়েন্স, স্যর।
অরূপরতন আইচ। কোন্নগর
• খবরে প্রকাশ, ফোনে সুমন-প্রণব কথা। সুমন বলছেন, প্রণববাবু ফোন করেছিলেন। প্রণববাবু বলছেন, সুমন। পাবলিকের প্রশ্ন: সুমন কি তবে ‘আশায় আশায় বসে আছি ওরে আমার মন, কখন তোমার আসবে টেলিফোন’ গানটা গাইছিলেন?
ঋতমা রায়। সন্তোষপুর
• ভারতীয় টেনিসে লি-হেশ বিচ্ছেদ সঙ্গীত: আজ দু’জনার দু’টি পথ ওগো দু’টি দিকে গেছে বেঁকে...!
বাণী পাল আগরওয়াল। ফিনিক্স
• মনমোহন সিংহ বলেছেন, ইউরো জোনের জন্য ভারত হাজার কোটি টাকা দেবে মানে এই নয় যে, টাকাটা এখনই দিয়ে দেওয়া হবে। ওই টাকা আপাতত ভারতের অর্থভাণ্ডারেই থাকবে। এই ধরনের অঙ্গীকারে ভারতবাসী অভ্যস্ত, কিন্তু সাহেবরা মানবে তো?
অনসূয়া মোতায়েত। রায়পুর
• আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা ‘ফিচ’ ভারতে টাকা ঢালার ঝুঁকি বাড়ছে ঘোষণা করায় পাড়ার লোকেদের মন্তব্য: এই সকলই অগো ‘ফিচ’লামি!
অনিল মহলানবিশ। পল্লিশ্রী
• চাকা খুলে যাওয়া বিমান-এর যাত্রী উদ্ধারের জন্য সি পি এম পাইলট খুঁজছে!
অরুণ দাস। দুর্গাপুর |
|
|
দীপঙ্কর গোস্বামী |
চল্লিশ বছর আগেকার ঘটনা। আমি তখন ওড়িশাতে স্টেট ব্যাঙ্কের কটক শাখায় জুনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত। স্টেট ব্যাঙ্কে গভর্নমেন্টের কাজ বেশি হয় বলে মাসের শুরুর দিকে ড্রাফ্ট ইস্যু ডেস্কের কাজের চাপ থাকত বেশি।
ডেস্কে বসে একের পর এক ড্রাফ্ট সই করে যাচ্ছি, হঠাৎ ড্রাফ্ট কেনার ফর্মে ক্রেতা হিসেবে বিশেষ এক জনের নাম ও সই দেখে থমকে গেলাম। পিওনকে বললুম কাউন্টারে গিয়ে ওই আবেদনকারীকে ডেকে আনতে।
ড্রাফ্ট ক্রেতাদের ভিড় থেকে সেই আবেদককে ডাকিয়ে আনিয়ে সসম্মানে নমস্কার করে বসালুম নিজের সামনে। বললুম, আপনি বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন কেন? ভিতরে চলে এলে আমি আপনাকে অপেক্ষায় না রেখে সবার আগে ছেড়ে দিতুম। অতি নম্রতার সঙ্গে তিনি বললেন, কোনও বিশেষ সুবিধা নিতে তিনি চান না। আমি তখন সশ্রদ্ধ বিস্ময়ের সঙ্গে দেখছি ভদ্রলোককে, শুনছি তাঁর কথা আর বিশেষ ভাবে লক্ষ করছি তাঁর হাত দু’টিকে, যার জন্য মাঝারি উচ্চতার, রং ময়লা, সাধারণ দেখতে এই ব্যক্তিকে এক ডাকে সারা ভারত ও বিশ্ব চিনত। তিনটি অলিম্পিকে (১৯২৮, ১৯৩২, ১৯৩৬) উনি ভারতের সোনাজয়ী হকি দলের সদস্য ছিলেন। যার শেষেরটিতে (বার্লিন ১৯৩৬) ছিলেন অধিনায়ক। ১৯৫৯ সালে ভারত সরকার তাঁকে ‘পদ্মভূষণ’ উপাধিতে ভূষিত করে। সেই প্রবাদপ্রতিম হকির জাদুকর ধ্যানচাঁদ আমার সামনে বসে কথা বলছেন ভেবে খুবই অভিভূত বোধ করছিলাম। তাঁর কাছে জানলুম ওড়িশা সরকারের ক্রীড়া দফতর হকির মানোন্নয়নের, বিশেষ করে তফসিলি জাতি জনজাতির মধ্যে যোগ্য খেলোয়াড় সন্ধানের কোনও প্রকল্পের তদারকি করার জন্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে তাঁকে আমন্ত্রণ করে এনেছে। ওড়িশায় থাকাকালীন ঝাঁসিতে পরিবারকে টাকা পাঠানোর জন্যই তাঁর ড্রাফ্ট কিনতে ব্যাঙ্কে আসা। |
|
|
সিঙ্গলস খেলাটায় জুড়ে দিয়ে ট্রাবলস,
করতে চাইছ তুমি ডাবলস।
বহু দিন একসাথে লড়বার ক্লেশ,
ঝগড়ায় তাই লি-হেশ।
তুমি কেন উড়ে এসে জুড়ে,
দেশের অলিম্পিক ভূমি দাও খুঁড়ে?
ঘুঁটে মালা লজ্জা ও কান্না,
হোক তব, রোহণ বোপান্না |
|
|
‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী অপসারণ’
অনধিক দুই
শব্দে প্রকাশ করো: ‘গিলানি গেলেন’!
পাপাই গুপ্ত, জোড়া বটতলা |
|
|
|
|
ক্ষমা চাইছি |
|
মফস্সলের মেয়ে। পড়তাম উত্তর কলকাতার এক কলেজে। থাকতাম কলেজের কাছেই এক হস্টেলে, যার পিছনেই ছিল ছেলেদের মেস। সেখানকার বাসিন্দা ছিল আইন পড়ুয়া এক শ্যামলা শান্ত তরুণ। পরিচিত হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই ভালবাসার টানে আমরা কাছে এলাম। পরস্পরকে জীবনসাথি করার স্বপ্নে যখন আমরা বিভোর, ঠিক তখনই কলকাতায় হঠাৎ কাজে আসা আমার অতি রক্ষণশীল, রাশভারী, বিত্তবান বাবা আমাদের বাসে উঠতে দেখে ফেলেন। পরের দিনই তিনি এসে দু’দিনের নোটিসে আমাকে গৃহবন্দি করে রাখতে নিয়ে গেলেন। সহপাঠিনীর মাধ্যমে তাকে সব জানিয়ে যে দিন চলে এলাম, সে দিন জানলায় তার অতি বিষন্ন ভেঙে পড়া মুখ আমি আজও ভুলতে পারিনি। সে আজ কোথায় জানি না। আজ আমার অনেক ঝড় বয়ে যাওয়া অ-সুখী জীবনে অনুশোচনায় দগ্ধ হই, বাবার বিরুদ্ধে গিয়ে জীবনের প্রথম ভালবাসাকে মর্যাদা দিতে পারিনি বলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক |
|
ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১
|
|
|
|
|
|
|