ফুটবলের গোল-গপ্পো
ব্রাজিল-এর একটি ঘরোয়া লিগ খেলা চলছিল। মার্কোস পাওলো নামক এক খেলোয়াড় বিপক্ষ এক জনের আলতো ট্যাকেল-এর চোটে মাঠে পড়ে কাতরাচ্ছিলেন। কোনওক্রমে ফাউল আদায়ের চেষ্টা আর কী। রেফারি ভাঁওতা বুঝে মার্কোসকে সবে হলুদ কার্ড দেখাতে যাবেন, এমন সময় দেখা গেল মার্কোস পাঁই পাঁই করে মাঠ থেকে ছুট্টে বেরিয়ে যাচ্ছেন। কী রে বাবা, হল কী? আরে, মার্কোস-এর অমন গড়াগড়ির ফলে একটি পিঁপড়ের বাসা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, ফলে সব পিঁপড়েরা ওঁর ঘাড়ে, পিঠে উঠে দে কামড়। তাই মার্কোস সোওওজা মাঠ টু বাথরুম।

রোমানিয়ার ক্লাব স্টুয়া নিকোলে বালচেস্কু। চেয়ারম্যান অ্যালেকজান্দ্রা ক্রিনজাস ব্যতিব্যস্ত সমর্থকদের কাণ্ডকারখানায়। খেলা চলাকালীন তারা প্রায়ই মাঠে নেমে এসে তাণ্ডব করে। এ বার হুমকি এসেছে, এমন চললে ক্লাব নির্বাসিত হয়ে যাবে। ক্রিনজাস তো মহাফ্যাসাদে। কী করা? এল আইডিয়া, মাঠ আর দর্শকাসনের মধ্যে খোঁড়া হোক একটি পরিখা, আর তাতে খেলে বেড়াক গোটা কয়েক কুমির। খেলতে খেলতে বল পড়ে গেলে সমস্যা যদিও, কিন্তু সমর্থকদের উৎপাত তো কমল...

১৯৯৫-এর হার্টফর্ডশায়র কাউন্টি এফ এ কাপের খেলা, হ্যাটফিল্ড ও হার্টফর্ড হিথ-এর মধ্যে। বার বার খেলা থেমে যাচ্ছে রেফারি’র বাঁশিতে। কিন্তু রেফারি গ্যারি বেইলি তো বাঁশি বাজাচ্ছেন না, তবে? কিছুক্ষণ পর বোঝা গেল আসল কাণ্ড। আওয়াজ আসছে গ্যালারি থেকে, আর দোষী হল একটি টিয়া পাখি, Me-Tu। মানে, আমিও। তার মালকিন আইরিন কেরিগ্যান-এর সঙ্গে খেলা দেখতে এসেছিল। অভ্যেসবসত বাঁশির আওয়াজ শুনে নকল করছিল। গ্যারি, গ্যালারিতে উঠে শেষ পর্যন্ত Me-Tu-কে লাল কার্ড দেখিয়ে বের করে দিলেন, সঙ্গে আইরিনকেও।

১৯৫৬ সালে ইংলিশ লিগ-এর খেলা, চেলসি ও চার্লটন অ্যাথলেটিক-এর মধ্যে। খেলার শুরু থেকেই মাঠের চার পাশে ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছিল। কিছুক্ষণ পর তা আরও ঘন হতে থাকে ও প্রায় পুরো মাঠ ঘিরে ফেলে। চার্লটন-এর গোলকিপার স্যাম বার্ট্রাম, ও দিকে গোলে দাঁড়িয়ে অসম্ভব মন দিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে আছেন, প্রায় কুড়ি মিনিট তো হবেই, কে জানে কখন কুয়াশা ভেদ করে বিপক্ষ ফরওয়ার্ড বল নিয়ে এগিয়ে আসে। ফরওয়ার্ড আসেনি, এল এক জন পুলিশ। দিয়ে বলল, খেলা অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে, দর্শকও বাড়ি চলে গিয়েছে... বেচারি স্যাম, এত সতর্ক থেকেও গোল খেয়ে গেলেন!

১৯৩০-এর প্রথম ওয়ার্ল্ড কাপ সেমিফাইনাল। আর্জেন্টিনা বনাম আমেরিকা। মুহুর্মুহু ট্যাকেল, ফাউল হচ্ছে। একটি ফাউল করল আর্জেন্টিনা কিন্তু বাঁশি বাজল আমেরিকার বিরুদ্ধে। প্লেয়ারের শুশ্রূষা করতে ছুটলেন ট্রেনার জক কল, এবং রেফারি’র বিরুদ্ধে ক্ষোভ না চাপতে পেরে রেগে ওষুধের ব্যাগটি মাটিতে ছুঁড়ে ফেললেন। এবং তার পরই, তিনি ধপাস করে অজ্ঞান। হল কী? ওষুধের ব্যাগে ছিল ক্লোরোফর্ম-এর শিশি, যা ভেঙে যাওয়ায় এই বিপত্তি। শেষে কল-কেই স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয়!

খুব ছোটবেলায় শুনতাম, হবে তো হও ইংরেজদের মতো। এই যেমন ধরো ইংরেজ রেফারি অ্যান্ডি ওয়েন-এর মতো। এক বার সানডে লিগের খেলায়, অ্যান্ডি রয়্যাল মেল দলের পক্ষে একটি গোল দেন। কিন্তু বিপক্ষ দলের গোলকিপার খেপে গিয়ে রেফারিকে যা নয় তাই বলতে লাগলেন। অ্যান্ডি মাথা ঠিক রাখতে না পেরে, বাঁধালেন এক কাণ্ড। বাঁশি ছুড়ে ফেলে, নিজের জামা ছিঁড়ে, অ্যান্ডি ওই গোলকিপারের মুখের সামনে গিয়ে চিৎকার করে শুনিয়ে দিলেন হাজারটা কথা। সবাই তো হাঁ। হাঁ আরও বড় করে এর পর রেফারি লাল কার্ড দেখালেন। নিজেকেই।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.