হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং মালদহ জেলায় পূর্বতন সরকারের সময়ে শুরু করা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া বাতিল করে দিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতর বৃহস্পতিবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ওই চারটি জেলায় নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে।
রাজ্যের সব জেলাতেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০০৯-এ। পরীক্ষা হয় ২০১০-এ। রাজ্যের ১৯টি জেলার মধ্যে ১৫টিতে ইতিমধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি ছিল শুধু ওই চারটি জেলা। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চারটি জেলাতেই নিয়োগের প্রক্রিয়ায় চরম অনিয়ম নজরে এসেছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিয়োগের প্রক্রিয়ায় যে-সব ত্রুটি ধরা পড়েছে, এই পর্যায়ে এসে সেগুলি দূর করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া এই প্রক্রিয়া চলতে দিলে বিপুল সংখ্যক যোগ্য প্রার্থীর বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত, ওই চারটি জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নতুন করে নেওয়া হবে। তবে আগের পরীক্ষায় যাঁরা বসেছিলেন, শুধু তাঁরাই নতুন পরীক্ষায় বসতে পারবেন এবং এর জন্য তাঁদের নতুন করে কোনও ফি দিতে হবে না। এই বিজ্ঞপ্তি জারির ৯০ দিনের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া শেষ করে প্যানেল প্রকাশ করতে হবে।
|
‘এমপি ল্যাড’ বা সাংসদদের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা খরচের ক্ষেত্রে নানা ধরনের অভিযোগ যেমন উঠছে, তৈরি হচ্ছে জটিলতাও। সেই সমস্যা দূর করে ওই তহবিলের টাকা সদ্ব্যবহারে নজর রাখতে জেলা স্তরে একটি করে কমিটি গড়া হচ্ছে। তিন মাস অন্তর সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করবে সেই নজরদার কমিটি। শুক্রবার মুখ্যসচিব সমর ঘোষের নেতৃত্ব মহাকরণে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ দিনের বৈঠকে রাজ্যের বেশির ভাগ সাংসদের প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন। ছিলেন কয়েক জন সাংসদও। আর ছিলেন বেশ কয়েক জন জেলাশাসক। আলোচনায় সাংসদ তহবিলের টাকা বিলিবণ্টন, সময়মতো প্রকল্প রিপোর্ট জমা না-দেওয়া এবং যথাসময়ে প্রকল্পের টাকা না-পাওয়ার প্রসঙ্গ বারবার উঠে আসে বলে বৈঠকে হাজির একাধিক সাংসদ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে টাকা পাওয়ার পরেও প্রকল্প রূপায়ণে বিলম্বের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। দেখা যায়, একই বছরে কোনও কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা একাধিক সাংসদের কাছ থেকে টাকা পেয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ ২৫ লক্ষেরও বেশি। অথচ নিয়ম অনুযায়ী কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এক বছরে মোট ২৫ লক্ষের বেশি টাকা নিতে পারবে না। |