|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
ইংরাজির মুখে ঝাল খাইব কেন |
বইপোকা |
মাকিয়াভেল্লি সম্প্রতি সংবাদ-শিরোনামে আসিয়াছিলেন। উপলক্ষ, ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তাঁহার গ্রন্থটির নাম বাংলাতেও সাধারণ ভাবে ‘দ্য প্রিন্স’ লেখা হইয়া থাকে। কিন্তু ‘দ্য প্রিন্স’ মূল ইতালীয় গ্রন্থের ইংরাজি অনুবাদের নাম। ঝাল কিংবা মিষ্টি যাহাই হউক, ইংরাজির মুখে খাইব কেন? বরং এই অবসরে ভাবিয়া দেখা উচিত মাকিয়াভেল্লির গ্রন্থটিকে ইল প্রিঞ্চিপে নামে ডাকা যায় কি না। মূল ইতালীয় হইতে ভায়া ইংরাজি না আসিয়া সরাসরি বাংলায় আসিলে ইহাই ঠিক নাম হওয়া উচিত। বঙ্গভাষায় এখনও বহু অনুবাদ প্রকাশিত হয় ইংরাজি অনুবাদ হইতে। অর্থাৎ অনুবাদের অনুবাদ। মূল ভাষা হইতে সরাসরি অনুবাদ সবসময়ই বেশি গ্রহণীয় হওয়া উচিত। অবশ্য সে ক্ষেত্রে অনুবাদক সুলভ হয় না। তবে আশার কথা, নাপোলির প্রাচ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগে সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা সেই বাধা কাটাইয়াছে। ‘ইতালীয়-বাংলা অনুবাদমালা’ গ্রন্থমালায় ওই প্রকাশনা হইতে প্রকাশিত হইয়াছে রাজপুরুষ (ইল প্রিঞ্চিপে), বিশ্ববিখ্যাত গ্রন্থটির বাংলা অনুবাদ, সরাসরি ইতালীয় হইতে। অনুবাদ করিয়াছেন দয়িতা মজুমদার, যিনি স্কটল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাকিয়াভেল্লি ও তাঁহার প্রভাবের উপর গবেষণারত। সুমুদ্রিত সুশোভন গ্রন্থটিতে অনুবাদের ভাষাও স্বচ্ছ, সুন্দর। গ্রন্থমালার সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত চৌধুরী, ভূমিকা লিখিয়াছেন স্বপন চক্রবর্তী। একই গ্রন্থমালায় প্রকাশিত হইয়াছে লেওনার্দো দা ভিঞ্চির শিল্পচিন্তা-ও, সুকান্ত চৌধুরীর অনুবাদ ও সম্পাদনায়। গ্রন্থমালাটি দীর্ঘজীবী হউক, বাংলা ভাষা আরও সমৃদ্ধ হইবে। |
|
|
|
|
|