বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার, ধৃত দুই নাতি-সহ ৩ |
এক বৃদ্ধাকে খুনের অভিযোগে তাঁর পুত্রবধূ এবং দুই নাতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে হালিশহরের লক্ষ্মীনারায়ণ কলোনির বাসিন্দা সুশীলা বালা (৮৫) নামে ওই বৃদ্ধার বস্তাবন্দি দেহ মেলে তাঁর বাড়ির পাঁচিলের ধারের একটি ঝোপ থেকে। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় বৃদ্ধার পুত্রবধূ অঞ্জনা গুহ এবং দুই নাতি নিলয় ও নীলাদ্রিকে। পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে। পুলিশের অনুমান, সম্পত্তির লোভে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে ওই বৃদ্ধাকে। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মেলার আগে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু পুলিশ বলছে না। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সুশীলাদেবীর স্বামী ও ছেলে বেশ কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে ওই বৃদ্ধার সাড়াশব্দ পাননি প্রতিবেশীরা। শুক্রবার সুশীলাদেবীর বাড়ির পাঁচিলের ধার থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা নারকেল পাতা দিয়ে মোড়া বস্তাটি সম্পর্কে পুলিশকে খবর দেন।
|
স্ত্রী’কে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ হাসনাবাদে |
স্ত্রী’কে পিটিয়ে মেরে ওড়নার ফাঁসে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির অন্যদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে হাসনাবাদ থানার শিমুলিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম তাঞ্জিলা বিবি (২৩)। শুক্রবার বিকেলে পুলিশ ঘরের মধ্য থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট হাসপাতালে পাঠায়। মৃতের স্বামী সাহেব আলি গাজি ও শ্বশুর সামসেল গাজি পালিয়ে গেলেও চারজনকে ধরেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজ চলছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বছর সাতেক আগে পাটলিখানপুর পঞ্চায়েতের জয়গ্রামের বাসিন্দা তাঞ্জিলাকে বিয়ে করেন পেশায় নৌকা চালক সাহেব আলি গাজি। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। অভিযোগ, যৌতুকের দাবিতে তাঞ্জিলার উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাতো তাঁর স্বামী, শ্বশুর-সহ অন্যরা। পুলিশের কাছে করা অভিযোগে তাঞ্জিলার ভাই আমজেদ সর্দার বলেন, “বৃহস্পতিবার রাত ১টা নাগাদ বোনের শ্বশুরবাড়ির বাসিন্দারা ফোনে জানান বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেছে গাজি বাড়িতে। রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় জামাইবাবু-সহ বাকিরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। পুলিশ গিয়ে বিকেলে দেহ উদ্ধার করে।” স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রফিকুল গাজি বলেন, “রাতের বেলা তাঞ্জিলাকে মারধরের পর বাড়ির লোকেদের পালাতে দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। গিয়ে দেখা যায় মারা গিয়েছে সে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন।” পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা যাবে না।
|
রাস্তায় জাল ফেলে প্রতীকী প্রতিবাদ |
মেরামতির অভাবে রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে ডোবার চেহারা নিয়েছে। সেই ‘ডোবা’য় জমা জলে মাছ ছেড়ে দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসী। শুক্রবার সকালে সন্দেশখালির বাগদিপাড়া মোড়ের ঘটনা। পাশের আকুঞ্জিপাড়া এলাকাতেও একই অভিযোগে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করা হয়। এর জেরে প্রায় ঘণ্টা চারেক বন্ধ থাকে সরবেড়িয়া-ধামাখালি রাস্তা। চরম অসুবিধেয় পড়েন যাত্রীরা। বেলা ১০টা নাগাদ পুলিশ ও বিডিও-র পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়ে দ্রুত রাস্তা সারাইয়ের প্রতিশ্রুতি পেলে অবরোধ ওঠে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্দেশখালি ২ ব্লকের ধামাখালি-সরবেড়িয়া রাস্তায় প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে উঠে গিয়েছে পিচ ও পাথর। বর্ষায় রাস্তার গর্তে জল জমে অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। রাস্তার গর্তে পড়ে প্রায়ই হাবুডুবু খাচ্ছেন বাসিন্দারা। সাইকেল ও ভ্যান রিকশা-সহ ছোট গাড়ির যন্ত্রাংশেরও ক্ষতি হচ্ছে। রাস্তার গর্তে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত। প্রতিবাদে এ দিন সকাল ৬টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা বাগদিপাড়ার মোড়ে রাস্তার গর্তে জমা জলে বাগদা-গলদা চিংড়ি মাছ ছেড়ে দেন। প্রতীকী প্রতিবাদে অনেকে সেই গর্তে জাল ফেলেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তাটি গাড়ি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্কুলে যাওয়ার পথে ছাত্রছাত্রীরা সেই গর্তে পড়ে আহত হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা সাজাহান শেখ, আজিজুল শেখরা বলেন, “রাস্তার অবস্থা ভয়াবহ। মেরামতির অভাবে প্রতিদিন দুর্ঘটনা বাড়ছে। গাড়ি উল্টে লোকজনের হাত-পা ভাঙছে। বারবার সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়েও কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে অবরোধ করতে হচ্ছে।”
|
কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যু |
ঘরের মধ্যে এক কিশোরীর গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের গণেশনগর ৬ নম্বর ঘেরি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মায়া দাস (১৪)। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন ধরেই সাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য মায়া বায়না করছিল। কিন্তু বাড়ির লোক তাতে রাজি হননি। এতে অভিমান হয় মায়ার। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ির লোকজন মায়াকে ঘরের মধ্যে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা তাকে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
|
ঘরের পিছনের দরজার গ্রিলের তালা ও তার পরে দু’টি দরজা ভেঙে আলমারি থেকে গয়নাগাটি, টাকা লুঠ করে পালাল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাবরা থানার সপ্তপল্লি এলাকায়। ওই পরিবারের তরফে এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় স্কুলশিক্ষক গৌর কুণ্ডু বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ শুয়ে পড়েন। বাড়িতে ছিলেন স্ত্রী ও মেয়ে। ভোর পাঁচটা নাগাদ ঘুম ভেঙে গৌরবাবু দেখেন পাশের ঘরের দরজা খোলা আলমারি জিনিসপত্র লন্ডভন্ড হয়ে মেঝেয় পড়ে। গৌরবাবু বলেন, “ঘুমের সময় দুষ্কৃতীরা সম্ভবত কিছু স্প্রে করেছিল। তাই কিছুই টের পাইনি। তবে তাঁর সন্দেহ কোনও পরিচিত ব্যক্তিই দুষ্কৃতীদের খবর দিয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ প্রতিবেশী এক মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
|
কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকার সঠিক হিসাব-সহ ১৭ দফা দাবিতে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে স্মারকলিপি দিল কংগ্রেস। শুক্রবার বিকেলে মগরাহাট-২ ব্লকের অধীন হোটর মর্যাদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান স্বপ্না হালদারের কাছে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এ ছাড়া কংগ্রেস উপ প্রধানের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই যাবতীয় উন্নয়নমূলক কাজের পরিকল্পনা করা হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও প্রধান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “পঞ্চায়েতের সমস্ত উন্নয়য়মূলক কাজকর্ম সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই করা হয়।’’ |