সরকারি জমি থেকে পার্টি অফিস সরাল ঝাড়খণ্ডীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বেলপাহাড়ি |
বেলপাহাড়িতে ব্লক-প্রশাসনের জমি জবরদখল করে প্রায় দু’দশক আগে গড়ে উঠেছিল ঝাড়খণ্ডীদের একটি দলীয় কার্যালয়। পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষমতা-দখলের পরে নিজেদের সেই দলীয় কার্যালয়টি অবশেষে ভেঙে দিতে সম্মত হয়েছে ঝাড়খণ্ডীরা। এর ফলে ব্লক-অফিস চৌহদ্দির একাংশে সীমানা-প্রাচীর দেওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের বাধা কাটতে চলেছে বলে মনে করছে প্রশাসন। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, বেলপাহাড়ি ব্লক-অফিস ও সংলগ্ন পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়টির সামনে অর্থাৎ পশ্চিমদিকের একাংশে সীমানা-প্রাচীর দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝাড়খণ্ডীদের দলীয় কার্যালয়টিই সবচেয়ে বড় বাধা হয়েছিল। তবে, রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, পঞ্চায়েত-ভোটের আগে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতেই দীর্ঘদিনের দলীয় কার্যালয়টি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঝাড়খণ্ডীরা। মাওবাদী প্রভাবিত এলাকা হওয়ায় ব্লক-কার্যালয়ের চারপাশে প্রাচীর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও বেলপাহাড়ি ব্লক-অফিসের বিস্তীর্ণ প্রাঙ্গণের কোনও অংশেই প্রাচীর নেই। |
|
সেই কার্যালয়। ছবি: দেবরাজ ঘোষ। |
২০১০ সালে ব্লক-অফিসের কেবলমাত্র সামনের দিকে ৪৫৯ মিটার প্রাচীর নির্মাণের জন্য ২৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু, ব্লক-অফিসের সামনে ওই প্রাচীর তৈরি করতে হলে, ঝাড়খণ্ডীদের দলীয় কার্যালয়টি ভাঙতে হত। ২০০৮ পর্যন্ত পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষমতায় ছিল ঝাড়খণ্ডীরা। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত-ভোটে ক্ষমতা দখল করে সিপিএম। সিপিএমের আমলে প্রাচীরের জন্য টাকা বরাদ্দ হলেও রাজনৈতিক-বিতর্ক এড়াতেই কাজ হয়নি বলে প্রশাসনের একাংশের দাবি। সম্প্রতি পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষমতার হাতবদল হয়ে ফের ঝাড়খণ্ডীরাই ফিরেছে। এ বার তারা নিজেরাই দলীয় কার্যালয় ভাঙায় সম্মত হওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে ব্লক-প্রশাসন। প্রাচীর তৈরির কাজ শুরুও হয়েছে। বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ঝাড়খণ্ডী সভানেত্রী সোমবারি সোরেন বলেন, “সীমানা-প্রাচীর তৈরির জন্য দলীয় কার্যালয়টি ভেঙে ফেলার জন্য প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-এর নেত্রী চুনিবালা হাঁসদার বক্তব্য, “আমরা বরাবরই সঙ্কীর্ণ রাজনীতির বিরুদ্ধে। শাসকগোষ্ঠী হিসেবে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছি।” |
|