|
|
|
|
মেডিক্যালের অধ্যক্ষ-হেনস্থা ধৃত সিপি-র জেলা সভাপতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে হেনস্থার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ছাত্র পরিষদের সভাপতি মহম্মদ সইফুলকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সুপার সুনীল চৌধরী বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগেই এক জনকে ধরা হয়েছে।” এই গ্রেফতারের ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে। গত ১৪ জুন অভিযোগ জানানোর নামে একদল কংগ্রেস নেতা-কর্মী-সমর্থক অধ্যক্ষকে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। ওই দলে ছিলেন সইফুলও। ওই দিনই মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ জানান অধ্যক্ষ শুদ্ধদন বটব্যাল। পুলিশ সূত্রে খবর, মেডিক্যালের ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন জেলা পুলিশ সুপার। তাঁর নির্দেশেই এ দিন বিকেলে জেলা ছাত্র পরিষদের সভাপতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ বলেন, “ঘটনার পর কলেজ হাসপাতালের শিক্ষক-কর্মীরা আমার কাছে এসেছিলেন। বলেন, দ্রুত কোনও পদক্ষেপ করতে। আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলাম।” পরে কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকেও ওই ঘটনার নিন্দা করা হয়। ঠিক কী হয়েছিল গত ১৪ জুন? |
|
ধিক্কার ফ্লেক্স। নিজস্ব চিত্র। |
ওই দিন মেদিনীপুর শহর কংগ্রেসের এক প্রতিনিধিদল মেডিক্যালের অধ্যক্ষের কাছে কিছু অভিযোগ জানাতে এসেছিল। তাদের অভিযোগ, জুনিয়র ডাক্তার দিয়েই হাসপাতাল চালানো হচ্ছে। সিনিয়র ডাক্তাররা থাকছেন না। অবিলম্বে সিনিয়রদের হাজিরা নিয়মিত করতে হবে। ওই সময়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের বাক্বিতণ্ডা শুরু হয়। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই অধ্যক্ষকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। নেতৃত্বে ছিলেন শহর কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন খান, জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তীর্থঙ্কর ভকত প্রমুখ। ছিলেন ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি সইফুলও। সইফুল অধ্যক্ষকে কাগজের একটি মালা পরিয়ে দেন। পরে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান অধ্যক্ষ। সইফুল অবশ্য বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কয়েকটি বিষয় নিয়েই আমরা ওই দিন অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম।” এ দিকে, ১৪ তারিখের ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফ্লেক্স টাঙিয়েছেন কলেজ-হাসপাতালের শিক্ষক-কর্মীরা। যেখানে লেখা, ‘ধিক্কার।’ |
|
|
|
|
|