|
|
|
|
|
|
|
আপনার সাহায্যে ২... |
|
জিনিয়াসের শুক্রাণু নিলেই বাচ্চা জিনিয়াস হয় না |
ডা. সুদীপ বসু বললেন সুজাতা মুখোপাধ্যায়কে |
ভিকি ডোনার তো হইচই ফেলে দিয়েছে! ডোনার স্পার্ম মানেই কি সিওর শট? বাচ্চা হবেই?
যে স্যাম্পেলে সবচেয়ে ভাল স্পার্ম আছে সেটা কাজে লাগানো হয় বলে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
খুলে বলবেন?
মাস তিনেকের মধ্যে বড় অসুখ, মারাত্মক মানসিক চাপে না ভুগলে বা বিশেষ কিছু ওষুধপত্র আছে সে সব না খেলে একজন সুস্থ মানুষের সিমেনে ভালই শুক্রাণু থাকে। সেই স্যাম্পেল বিশেষ পদ্ধতিতে ঠান্ডা করে রেখে দেওয়া হয়। তাকে প্রসেস করে কাজে লাগানোর সময় আবার দেখে নেওয়া হয় সব ঠিকঠাক আছে কি না।
একটা স্যাম্পেল কত দিন ঠিক থাকে?
১-৫ বছর।
ক’টা বাচ্চা হতে পারে এ থেকে?
দুটো। বড় জোর তিনটে।
|
|
সবই কি টেস্ট টিউব বেবি?
তা কেন? ভাবী মায়ের সমস্যা না থাকলে গর্ভেই দেওয়া হয়।
কিন্তু এ ভাবে যার তার শুক্রাণু! ভিকি যেমন, বাউন্ডুলে ছিল...!
‘জিনিয়াস ফ্যাক্টরি’ পড়েছেন?
জানি। জিনিয়াসের শুক্রাণু নিলেই বাচ্চা জিনিয়াস হয় না। তবু...!
দেখুন যা ভাবছেন তা নয়। যার তার স্পার্ম নেওয়া হয় না। তার সাধারণ স্বাস্থ্য কেমন...।
হ্যাঁ, স্বাস্থ্য কেমন তা দেখেন, কিন্তু তার ইনটেলেকচুয়ালিটি কি দেখেন?
আমরা আই কিউ টেস্ট করি না। তবে মোটের উপর তিনি কী করেন না করেন তা দেখে নেওয়া হয়।
আমি যদি চাই আমার সন্তান গায়ক বা খেলোয়াড় হবে?
তাহলে তো গায়ক বা খেলোয়াড়কে এসে শুক্রাণু দান করতে হবে। আবার সেই শুক্রাণু থেকে বাচ্চা হলেই যে সেও গায়ক বা খেলোয়াড় হবে এমনও তো নয়!
তাহলে?
তাহলে আবার কী? একটা সুস্থ সন্তান যাতে হতে পারে তার জন্য ডোনারের হেপাটাইটিস, এড্স, যৌন অসুখ, থ্যালাসেমিয়া, মানসিক অসুখ বা জেনেটিক রোগ আছে কি না দেখে নেওয়া হয়।
কিন্তু এড্স বা হেপাটাইটিসের ভাইরাস শরীরে ঢুকলেই যে তা রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়বে এমন তো নয়!
ঠিক কথা। সে জন্য নিয়ম হতে চলেছে যে স্যাম্পেল নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ব্যবহার না করে ৬ মাস ফ্রিজ করে রেখে দিতে হবে। ফের রক্ত পরীক্ষা হবে। তখনও যদি এ সব না পাওয়া যায়, তবে সেই শুক্রাণু ব্যবহার করা হবে।
এত কিছু করা হয়!
না হলে তো লাইসেন্সই পাবে না। তা ছাড়া, সেন্টারের সুনাম নিয়ে কেউ ছেলেখেলা করে!
ঠিক বলেছেন। লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যবসা...!
কী যে বলেন! অঙ্গ কেনা-বেচা আমাদের দেশে নিষিদ্ধ, জানেন না?
তার মানে কি লোকে পয়সা ছাড়া শুক্রাণু দিচ্ছে!
ওই যাতায়াত ভাড়া ছাড়া আর খাওয়া-দাওয়ার জন্য ২০০-৫০০ টাকা দেওয়ার কথা। এর বেশি কিছু হয় বলে আমার জানা নেই।
আচ্ছা, ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার আছে কিনা দেখে নেওয়া হয় না?
চেষ্টা করা হয়। টিবি আছে কিনা তাও দেখা হয়। তবে কী জানেন, আমরা এত কম স্যাম্পেল পাই যে অনেক সময়েই মুশকিলে পড়তে হয়। স্যাম্পেল বেশি হলে বাবা-মায়ের উচ্চতা, গায়ের রং, চোখের রং বা গঠন সব মিলিয়ে শুক্রাণু বেছে
নেওয়া যেত।
কম স্যাম্পেল পান কেন?
সচেতনতা নেই বলে। তবে এই সব লেখালেখি বা সিনেমার ফলে হয়তো এবার বাড়বে। ল্যাপটপ সিনেমাতেও তো এই বিষয়ে দেখানো হয়েছে।
এত হিসেবনিকেশ করে শুক্রাণু-ডিম্বাণু মেলাচ্ছেন, তাও বাচ্চা রোগ নিয়ে জন্মাতে পারে!
সম্পূর্ণ সুস্থ বাবা-মায়ের সন্তান রোগ নিয়ে জন্মায় না?
তাও মানা কঠিন। সে ক্ষেত্রে চেনাজানা কারও থেকে নেওয়াই তো ভাল। বুদ্ধিমত্তার দিকটাও যাচাই করে নেওয়া যায়।
তাও নেন অনেকে। তবে সেই মানুষটি পরে বাচ্চা দাবি করলে?
তাহলে তো স্বামীর সমস্যা থাকলে অচেনা মানুষের শুক্রাণু নেওয়া ছাড়া কোনও রাস্তা নেই।
দেখুন ৩০-৩৫ ভাগ ক্ষেত্রে বন্ধ্যত্বের মূলে স্বামীর সমস্যা থাকে। অধিকাংশ সমস্যা চিকিৎসায় দূর করা যায়। আজকাল চিকিৎসা এত উন্নত হয়েছে যে স্বামীর খুব কম শুক্রাণু থাকলেও ইকসি নামে এক বিশেষ পদ্ধতিতে তা কাজে লাগিয়ে বাচ্চা হওয়ানো যায়।
খুব খরচসাপেক্ষ?
তা একটু আছে।
যোগাযোগ- ৯২৩০০৬০২৭১ |
|
|
|
|
|