শহরের ব্যস্ত মোড়ে ভরসন্ধ্যায় বৈদ্যুতিন সামগ্রীর একটি দোকানে আগুন লাগায় আতঙ্ক ছড়াল। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে উল্টোডাঙার মোড়ে।
চারতলা উঁচু দোকান-বাড়ির নীচের তিনটি তলায় শো-রুম। চারতলায় বিশাল গুদাম। সেখান থেকেই আগুন ছড়ায় বলে দমকলকর্তাদের ধারণা। ওই বাড়ির ঠিক গা ঘেঁষে বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাটবাড়ি গজিয়ে উঠেছে। তেমনই একটি আবাসনের বাসিন্দা বাবু মণ্ডল প্রথমে ফ্ল্যাটের পাশের জানলায় আগুনের হল্কা দেখতে পান। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ওই তল্লাটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দমকল আসতে প্রায় মিনিট কুড়ি সময় লেগে গিয়েছে। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় ১০টি ইঞ্জিনের সাহায্যে দমকল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। |
দমকলের তরফে ওই দোকান-বাড়ির অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ডেপুটি ডিরেক্টর তপন ঘোষ বলেন, “আমরা যা দেখেছি, চারতলায় আগুন নেভানোর ব্যবস্থা বলতে কিছুই ছিল না। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ-খবরের পরে দরকারি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” শর্ট সার্কিটের ফলেই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে দমকল। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে শহরে অগ্নিপ্রবণ বিভিন্ন বহুতলে দমকলের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সাধনবাবু বলেন, “ব্যবসায়ীদের মধ্যে আগুনের বিপদ নিয়ে সচেতনতার খামতির কথা বলা হয়। কিন্তু সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি, কে কতটা সতর্ক হয়েছেন, তা খুঁটিয়ে দেখাও দমকলের দায়িত্ব।”
দমকল সূত্রের খবর, চারতলার গুদামটিতে ডাঁই করা ছিল টিভি-ফ্রিজ-ওয়াশিং মেশিনের মতো জিনিস। ওই বাড়িতে ঢুকে দেখা যায়, গুদামটি পুড়ে খাক্ হয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যার ব্যস্ত রাজপথের ধারে চেনা দোকানটির উপরের তলায় আগুনের শিখা দেখে থমকে দাঁড়াচ্ছেন পথচারীরা। ভিতর থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র ফেটে বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যাচ্ছিল। বিপদের আশঙ্কায় স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত আশপাশের বাড়ির বাসিন্দাদের দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাড়ির কাছ থেকে সরে যেতে বলে। দমকল কাজ শুরু করার সময়ে শহরের ওই ব্যস্ত মোড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন অফিস-ফেরতারা।
দমকলের এক কর্তার কথায়, “চারতলায় কেউ থাকলে তাঁকে উদ্ধার করা কঠিন হত।” সন্ধ্যায় আগুন না লেগে রাতের অন্ধকারে আগুন ছড়ালেও আশপাশের ফ্ল্যাটে আগুন ছড়িয়ে বিপদ বাড়তে পারত বলে দমকলের আশঙ্কা। |