ভর্তুকি মূল্যে পাওয়া এলপিজি সিলিন্ডারের সংখ্যা পরিবার-পিছু বছরে চারটি বা ছ’টিতে বেঁধে দেওয়ার পথে এক ধাপ এগোল কেন্দ্র। কোনও পরিবারে বছরে ক’টি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার হচ্ছে, তার যাবতীয় হিসেব এখন থেকে সমস্ত গ্যাস সংস্থার ওয়েবসাইটেই পাওয়া যাবে। স্বাভাবিক ভাবেই রান্নার গ্যাস ব্যবহারকারী দেশের ১৩ কোটি পরিবারের এই তথ্য এ বার পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকেরও নাগালে চলে এল।
ভর্তুকির বোঝা কমানোর লক্ষ্যে বছরখানেক ধরেই কেন্দ্র এই ব্যবস্থা চালু করতে চাইছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা সম্ভব হচ্ছিল না। গ্যাসের সিলিন্ডার-পিছু এখন প্রায় তিনশো টাকা করে ভর্তুকি দেয় কেন্দ্র। এখন মোট সিলিন্ডারের সংখ্যা জানার বন্দোবস্ত হওয়ায় কোনও এলপিজি গ্রাহক আখেরে কেন্দ্রের কাছে কত টাকা ‘ভর্তুকি’ হিসেবে পাচ্ছেন, তা জানা সম্ভব হবে।
এই ভর্তুকিরই বহর কমাতে বছরে ছ’লক্ষ টাকার বেশি আয়সম্পন্ন পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে রান্নার গ্যাস সরবরাহ বন্ধের সুপারিশ করেছিল পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। মন্ত্রী, আমলা, সাংসদ, বিধায়কদের জন্যও একই ব্যবস্থা চালুর কথা বলেছিল তারা। এর পর নগদ ভর্তুকি চালুর লক্ষ্যে তৈরি টাস্ক ফোর্স সুপারিশ করে, ভর্তুকি মূল্যে সিলিন্ডারের সংখ্যা বছরে চারটি বা ছ’টিতে বেঁধে দেওয়া হোক। তার বেশি সিলিন্ডার কিনলে প্রতিটিতে তিনশো টাকা করে বেশি দিতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে এই বন্দোবস্তের পথেই কিছুটা এগোল কেন্দ্র।
তবে আজ এই ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করতে এসে অস্বস্তিতে পড়েন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী এস জয়পাল রেড্ডি নিজেই। সাইটটি থেকে মন্ত্রীর বাড়ির এলপিজি-খতিয়ান দেখার দাবি ওঠে সাংবাদিক বৈঠকে। দেখা যায়, রেড্ডির বাড়িতে বছরে ২৬টি সিলিন্ডার খরচ হয়েছে। অস্বস্তি সামাল দিতে রেড্ডি বলেন, “এ থেকেই বোঝা যায়, সাংসদ হিসেবে আমি কত জনপ্রিয়!” |