তথ্য কম, রাজ্যের খসড়া জলনীতি বাতিল কেন্দ্রে
লের উৎস ও বণ্টন সম্পর্কে সব রকমের তথ্য দিয়ে প্রতিটি রাজ্যকেই একটি করে পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের খসড়া জলনীতিতে পূর্ণাঙ্গ তথ্যাদি ছিল না। অসম্পূর্ণ তথ্য পাঠানোর জন্য রাজ্যের সেই খসড়া জলনীতি বাতিল করে দিয়েছে কেন্দ্র। বাদ পড়ে যাওয়া তথ্য যোগ করে সংশোধিত খসড়া জলনীতি পাঠাতে বলেছে তারা।
কী তথ্য বাদ পড়েছে?
রাজ্যে ভূগর্ভস্থ জল কী ভাবে ব্যবহার করা হবে, সেচের জল কোথা থেকে পাওয়া যাবে এবং ভূগর্ভস্থ জলের ভারসাম্য কী ভাবে রক্ষা করা যাবে ইত্যাদি ব্যাপারে রাজ্য সরকারের খসড়া জলনীতিতে কিছুই বলা ছিল না। সব রাজ্যের জলনীতিতেই এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই এই সব বিষয় সংযোজিত করে নতুন জলনীতি তৈরি করতে বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে। নিজেদের নীতি রূপায়ণের জন্য রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নেবে এবং তার জন্য তাদের যথাযথ পরিকাঠামো আছে কি না, তা-ও জানাতে হবে খসড়া নীতিতে। জল ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে বন্যা রোধ এবং সেচের এলাকা বাড়ানোর জন্য রাজ্য সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী, তা-ও জানতে চেয়েছে কেন্দ্র।
রাজ্যে ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ দিন দিন কমছে। জলস্তর নেমে যাচ্ছে হুহু করে। তার জেরে বাড়ছে আর্সেনিক দূষণ ও ফ্লুয়োরাইড দূষণ। রাজ্যে ভূস্তরের জল (খাল, বিল, পুকুর, নদী, নালা) যথাযথ ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনতে ২০০৫ সালে রাজ্য সরকার যে-আইন তৈরি করেছিল, তা-ও যথাযথ ভাবে মানা হচ্ছে না। উল্টে জলসম্পদ উন্নয়ন দফতর সম্প্রতি গভীর ও অগভীর নলকূপ ব্যবহারের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ তুলে দিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। আইন এবং সাম্প্রতিক নির্দেশিকা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের সেচ দফতর সূত্রের খবর, কেন্দ্র তাই জানতে চেয়েছে, রাজ্যের আসল নীতিটা কী।
কেন্দ্রের পরামর্শ অনুযায়ী ইতিমধ্যেই খসড়া জলনীতিতে আরও কয়েকটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় সেচ দফতরের বাজেট-বিতর্কে যোগ দিয়ে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানান, কেন্দ্রের পরামর্শ অনুসারে রাজ্যের জলনীতির সংশোধিত খসড়া তৈরি হয়ে গিয়েছে।
জল যে ভবিষ্যতে বিভিন্ন দেশ এবং গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইয়ের বস্তু হয়ে উঠবে, সেই ব্যাপারে ভূবিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই সতর্ক করে দিয়েছেন। সেই সতর্কবাণীর পরিপ্রেক্ষিতেই এ দেশে ভূগর্ভস্থ এবং ভূস্তরের জল সংরক্ষণে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। সব রাজ্যকেই নিজেদের মতো করে পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছে তারা। সব রাজ্যকে তাদের প্রাকৃতিক জলের উৎস এবং তা বণ্টনের ব্যাপারে জলনীতি তৈরির পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। মানসবাবু বলেন, “কেন্দ্রের সব সুপারিশ মেনে আমরা নতুন খসড়া জলনীতি তৈরি করেছি। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই তা কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হবে।”
রাজ্যের জলনীতিতে কী কী বিষয় থাকছে? মানসবাবু জানান, রাজ্যে সারা বছরে বৃষ্টির পরিমাণ কত, পাহাড় ও সমতলে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ, রাজ্যের বড় তিনটি নদনদী ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গা এবং সুবর্ণরেখা অববাহিকার এলাকা কত বর্গমাইল, সেখানে কত জল পাওয়া যায়, বৃষ্টি ভূগর্ভের জলের পরিমাণ কতটা বাড়ায় ইত্যাদি তথ্যের ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছে নতুন খসড়া জলনীতি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.