টুকরো খবর |
ভাল আছেন রাজেশ |
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
|
বাংলোর বারান্দা থেকে ভক্তদের উদ্দেশে। সঙ্গে অক্ষয়-ডিম্পল। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে। ছবি: পিটিআই |
‘আশীর্বাদ’ বাংলোর বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাত নাড়লেন রাজেশ খন্না। সপরিবার। অর্থাৎ স্ত্রী ডিম্পল কপাডিয়া, মেয়ে টুইঙ্কল, জামাই অক্ষয় কুমার। তিনি যে অসুস্থ নন, সেই বার্তা দিতেই রাজেশের বারান্দায় আসা। পরে সাংবাদিক বৈঠকে এলেন অক্ষয় কুমার। বললেন, “আমার শ্বশুরমশাই এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। সত্যি বলতে কি, খুবই ভাল আছেন। ওঁর অসুস্থতা নিয়ে গুজব রটেছিল।” রাজেশের চিকিৎসকও বললেন, “উনি গত দু-দিন কিছু খেতে পারছিলেন না। এখন খাচ্ছেন। আগের থেকে ভাল আছেন।” রাজেশ খন্নার অসুস্থতা সম্পর্কে গুজব না রটানোর জন্য টুইটারে সকলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন অক্ষয়। গত এপ্রিলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রাজেশ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। তার পরে সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন। ডিম্পলের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছিল অনেক দিন। কিন্তু অসুস্থ রাজেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ডিম্পলই। সম্প্রতি ‘পা’ ছবির পরিচালক আর বালকির বানানো একটি পাখার বিজ্ঞাপনে রাজেশকে দেখে নড়েচড়ে বসেছিলেন তামাম ভক্তরা। কিন্তু ৬৯ বছর বয়সী অভিনেতার ম্যানেজার অশ্বিন গত কাল দাবি করেন, “রাজেশজি খুবই অসুস্থ। ওঁর গলা দিয়ে খাবার নামছেই না।” এর পর থেকেই রাজেশ খন্নার স্বাস্থ্য সম্পর্কে চিন্তিত হয়ে পড়েন তাঁর ভক্তরা। অনেকেই তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় করেন। তাঁদের আশ্বস্ত করতেই এ দিন বারান্দায় আসেন স্বয়ং রাজেশ।
|
পুরীতে রথ সাড়ম্বরেই |
সংবাদসংস্থা • পুরী |
জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই আজ মন্দির-শহর পুরীতে সাড়ম্বরে পালিত হল রথযাত্রা উৎসব। দু’টি মুত্যুর ঘটনা ঘটলেও রথযাত্রার সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই বলে প্রশাসনের দাবি। দেশ-বিদেশ থেকে আগত লক্ষাধিক ভক্ত ও পুণ্যার্থীর ভিড় সামলাতে নামানো হয়েছিল সাত হাজার পুলিশ। পুলিশের ডিজি মনমোহন প্রহরাজ জানান, গোয়েন্দা সূত্রে খবর ছিল, এই উৎসবে হামলার চেষ্টা চালাতে পারে জঙ্গিরা। সে জন্যই সম্ভাব্য সব রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থাই নেওয়া হয়। তবে রথযাত্রা ঘিরে ভক্তদের আবেগে কোনও ভাটা পড়েনি। জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার রথের রশিতে টান পড়তেই হাজার হাজার কণ্ঠের ‘জয় জগন্নাথ’ ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন গ্র্যান্ড অ্যাভিনিউ। সুসজ্জিত তিনটি রথ গুন্ডিচা বাড়ির দিকে এগোতেই রাস্তার দু’দিকে সমবেত পুণ্যার্থীদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ঠেলাঠেলি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভিড়ের চাপে অন্ধ্রপ্রদেশের এক মহিলা ও অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে। তবে পুরীর জেলা কালেক্টর অরবিন্দ অগ্রবাল এবং জেলার মুখ্য মেডিক্যাল অফিসার জ্ঞানেন্দ্রকুমার সাহু দু’জনেই দাবি করেন, দু’টি মৃত্যুর সঙ্গেই রথযাত্রার সম্পর্ক নেই। সাহু জানান, কে আর আম্মা (৩২) নামে বিশাখাপত্তনমের এক মহিলা বুকের ব্যথা অনুভব করায় তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু হাসপাতালের পথেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবকেরা ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধকে ধরাধরি করে আনলে দেখা যায় তিনি মৃত। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। এই স্বাস্থ্যকর্তা দাবি করেন, দু’টি ক্ষেত্রেই পদপিষ্ট হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি।
|
দীর্ঘ ছ’মাস কোমায় থেকে মৃত্যু হল ধর্ষিতার |
সংবাদসংস্থা • ভুবনেশ্বর |
হাসপাতালে দীর্ঘ ৬ মাস ‘কোমা’ অবস্থায় পড়ে থাকার পর অবশেষে মৃত্যু এসে নিষ্কৃতি দিল পিপিলির দলিত তরুণীকে। গত বছর ২৮ নভেম্বর গণধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী। ধর্ষণের পর তাঁকে গলা টিপে মেরে ফেলার চেষ্টাও হয়। অভিযোগ, ঘটনার পর এই দুষ্কর্মে জড়িতদের গ্রেফতার করতে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি পুলিশ, সেই সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসকেরাও ওই তরুণীর উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি। শেষ পর্যন্ত মানবাধিকার আন্দোলনকারীদের চাপে ও ওড়িশা হাইকোর্টের নির্দেশে এ বছর ১১ জানুয়ারি ১৯ বছরের ওই তরুণীকে ভর্তি করা হয় কটকের এসসিবি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। হাইকোর্ট বিনামূল্যে ওই তরুণীর সব রকম চিকিৎসা করানোরও নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু কটকের ওই হাসপাতালের সেন্ট্রাল আইসিইউতে রাখা এবং সেরা ডাক্তারদের যাবতীয় প্রচেষ্টা সত্বেও তরুণীটি গভীর কোমায় চলে যান। হাসপাতালের অন্যতম চিকিৎসক বি এন মহারাণা আজ জানান, যে প্রচণ্ড দৈহিক নির্যাতন ওই মেয়েটির উপরে চালানো হয় তার জেরেই সেপ্টিসেমিয়া হয়ে যায় তাঁর। শরীরে আরও নানা গোলমালও দেখা দিয়েছিল। তাতেই মৃত্যু ঘটেছে তাঁর। এই ঘটনায় বরখাস্ত এক পুলিশ অফিসার ও তিন চিকিৎসক-সহ আটজনের নামে চারটি চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এ দিকে ওড়িশা হাইকোর্ট আবার জানতে চেয়েছে, এতদিনেও ওই তিন ডাক্তার ও বরখাস্ত পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়নি কেন? পিপিলির পুলিশ যে ভাবে এ ঘটনার তদন্তে গড়িমসি করেছে, তারও কড়া নিন্দা করেছে আদালত।
|
১০০ দিনের কাজে গুদাম তৈরির প্রস্তাব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ফি বছর খাদ্যশস্য নষ্ট হওয়া রুখতে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সাহায্য চাইল কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রক। খাদ্য মন্ত্রকের বক্তব্য, পাকা গুদাম না থাকায় প্রতি বছর বিভিন্ন রাজ্য থেকে খাদ্যশস্য নষ্ট হওয়ার অভিযোগ ওঠে। গুদামের অভাবে গত বছরে প্রায় ৪০ টন শস্য নষ্ট হয়েছিল। এই সমস্যা মেটাতে আজ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী কে ভি টমাস। বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, ১০০ দিনের কাজে খাদ্যশস্য রাখার জন্য গুদাম নির্মাণ করাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হোক। এর ফলে গ্রামাঞ্চলে প্রয়োজনীয় গুদাম গড়ে উঠবে। ফলে শস্য কম নষ্ট হবে।
আজ টমাস বলেন, “জয়রামকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় এই পরিকল্পনা অবিলম্বে গ্রহণ করবে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক।” চলতি বছরে ফলন ভাল হওয়ায় গোটা দেশের ফুড কর্পোরেশন অফ
ইন্ডিয়ার গুদামে প্রায় ৮২০ লক্ষ টন খাদ্যশস্য জমা রয়েছে। এখন বর্ষার আগে খাদ্য মন্ত্রকের আশঙ্কা, পাকা গুদামের অভাবে সেই খাদ্যশস্যের মধ্যে প্রায় ৬৭ লক্ষ টনই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মন্ত্রক স্বীকার করে নিয়েছে, এর মধ্যে ৩০ লক্ষ টন খাদ্যশস্য স্রেফ খোলা আকাশের নীচে পড়ে রয়েছে। বৃষ্টি শুরু হলেই যা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব ১০০ দিনের কাজে গুদাম বানানোর প্রস্তাবকে সামিল করতে জয়রামকে অনুরোধ করেছে খাদ্য মন্ত্রক।
|
মেঘালয়ে আরও জঙ্গি গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
আরও একটি জঙ্গি সংগঠন রাজ্যে মাথাচাড়া দিল মেঘালয়ে। এমনিতেই গারো পাহাড়ে জিএনএলএ-র দৌরাত্মে জেরবার মেঘালয় পুলিশের উদ্বেগ, নতুন এই জঙ্গি গোষ্ঠী আরও বাড়াল। নতুন সংগঠনটির নাম হিন্নেইত্রেপ পিপল্স লিবারেশন ফ্রন্ট। খাসি-জয়ন্তীয়া পাহাড়ে এদের ঘাঁটি। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাক্তন এইচএনএলসি জঙ্গিদের একাংশই এই সংগঠনটি গড়েছে। নতুন সংগঠনের চেয়ারম্যান জোপলাং লিংডো। সাধারণ সম্পাদক থ্রাং মারউইন। বর্তমানে ৩০ জন সদস্য নিয়ে চলা এইচপিএলএফ-এর হাতে ১টি একে ৫৬ রাইফেল, ১০টি ৯ মিলিমিটার পিস্তল, পাঁচটি রিভলভার ও কয়েকটি হাত গ্রেনেড রয়েছে। পুলিশ খবর পেয়েছে, অস্ত্র সংগ্রহ ও নতুন সদস্যদের প্রশিক্ষণের জন্য এইচপিএলএফ প্রধান সম্প্রতি জিএনএলএ সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছে। বদলে তারা খাসি ও জয়ন্তীয়া পাহাড়ে জিএনএলএ ঘাঁটি প্রসারে সাহায্য করবে। পুলিশের দাবি, জয়ন্তীয়ার ল্যাটিরকে গ্রামের দুই কয়লা ব্যবসায়ীকে অপহরণের পিছনে এদেরই হাত রয়েছে। দলের তহবিল পুষ্ট করতে নতুন সংগঠনটি ক্লেরিয়েট, দউকি, বরসোরা, শালাং প্রভৃতি এলাকা জুড়ে তোলাবাজি চালাচ্ছে।
|
৭০ ফুট গর্তে পড়ে গেল ৪ বছরের শিশু |
সংবাদসংস্থা • গুড়গাঁও |
বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে ৭০ ফুট গভীর গর্তে পড়ে গেল চার বছরের একটা মেয়ে। গত কাল রাত পৌনে বারোটা নাগাদ গুড়গাঁও-এর খো নামের গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। সেনাবাহিনীর সাহায্যে শিশুটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। গত কাল জন্মদিন ছিল ছোট্ট মাহির। চার পেরিয়ে পাঁচে পড়ল সে। আনন্দে বাড়ির বাইরের উঠোনে খেলা করছিল। খেলতে খেলতেই মাহি চলে আসে এই গর্তের কাছে। তার পর পড়ে গেল কী ভাবে তা জানে না কেউ। খুদেরা শুধু তার পড়ে যাওয়ার খবর দেয় বাড়িতে গিয়ে। জানালেন মাহির বাবা নীরজ। নীরজ জানিয়েছেন, মাহি পড়ে যাওয়ার পর তিনি স্থানীয় পুলিশে খবর দেন। কিন্তু পুলিশ আসে প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে। প্রথম দু’ঘণ্টা মাহি ভয় পেয়ে চিৎকার করে কান্নাকাটি করছিল। কিন্তু তার পর থেকে আর ডাকলেও সাড়া দিচ্ছে না। পুলিশ সূত্রে খবর, গর্তের নীচ পর্যন্ত অক্সিজেন পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি অন্য একটি গর্ত খুঁড়েও মাহিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে.। একটা সিসিটিভির ক্যামেরাও গর্তের নীচ পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা যিনি ওই গর্তটি খুঁড়ে কোনও সাবধানতা ছাড়াই ফেলে রেখেছিলেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে নীরজ।
|
ঘুষ নিতে গিয়ে ধৃত পঞ্চায়েতের কর্তা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
ইন্দিরা আবাস যোজনার টাকা অনুমোদন করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ছ’হাজার টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে ভিজিল্যান্সের হাতে ধরা পড়লেন পূর্ণিয়া জেলার কসবা ব্লকের মনি পঞ্চায়েতের সচিব। কুমারেশ প্রসাদ যাদব নামে ওই সচিবকে আজ টাকা নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরেন ভিজিল্যান্স অফিসাররা। রাজ্য ভিজিল্যান্সের এডিজি পি কে ঠাকুর জানান, এ দিন ওই সচিব শিবশঙ্কর সরকারের থেকে ছ’হাজার টাকা ঘুষ নেন। এর আগে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে আরও দু’হাজার টাকা তিনি নিয়েছিলেন। পি কে ঠাকুর বলেন, “এই নিয়ে চলতি বছরে ২৭টি ঘটনায় ৩৩ জনকে গ্রেফতার করা হল।”
|
এনআইএ-র প্রথম ডিজি প্রয়াত |
সংবাদসংস্থা • কোচি |
রাজীব গাঁধীর হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র ফাঁস করেছিলেন তিনি। ২৬/১১ হামলার আগে লস্কর জঙ্গি ডেভিড কোলম্যান হেডলি কী ভাবে ভারতে ‘রেইকি’ করে গিয়েছিল, সেই ছক খুঁজে পাওয়াতেও তাঁর ভূমিকা যথেষ্ট। মুম্বই হামলার পরে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) যখন তৈরি হয়, তখন তিনিই হয়েছিলেন সংস্থার প্রথম ডিজি। সেই আইপিএস অফিসার, রাধাবিনোদ রাজু আজ মারা গেলেন কোচিতে। বয়স হয়েছিল ৬২। ইদানীং কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন রাজু। সম্প্রতি সিভিসি-র ব্যাঙ্কিং সংক্রান্ত উপদেষ্টওা নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। প্রথম জীবনে ব্যাঙ্কে কাজ করতেন। |
|