মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক-চিকিৎসক বিক্রম সাহার আত্মহত্যার ঘটনায় ‘প্ররোচনা’র অভিযোগ দায়ের হয়েছে যে ৬ চিকিৎসকের নামে, তাঁদের মধ্যে ৫ জন বুধবার আগাম জামিনের আবেদন করলেন মেদিনীপুর জেলা-দায়রা আদালতে। আগামী ১০ জুলাই ওই আবেদনের শুনানি হবে। এ দিনই সিআইডি-র ডিআইজি (অপারেশন) কে জয়রামন মেদিনীপুরে আসেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকের পরে শহরের কেরানিতলায় বিক্রমবাবুদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও কথা বলেন। পরে ডিআইজি বলেন, “পুলিশই ঘটনার তদন্ত করছে। আমরা সহযোগিতা করছি।” এ দিন সকালে ৩ সদস্যের ফরেন্সিক-দলও বিক্রমবাবুদের বাড়ি যায়। |
গত বুধবার কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান বিক্রমবাবু। তার কয়েক দিন আগে মাত্রাতিরিক্ত ইনসুলিন নিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তার আগেই অবশ্য ফেসবুকে একটি সুইসাইড নোট ‘পোস্ট’ করে যান ওই শিক্ষক-চিকিৎসক। তাঁর স্ত্রী শালিনীদেবী গত শনিবার মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায় ৬ জন চিকিৎসক এবং সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক দীপক সরকারের নামে ‘হুমকি’ ও ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনা’র অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত ৬ চিকিৎসকের মধ্যে মেদিনীপুরের ৫ জনের রবিবার থেকে খোঁজ মিলছিল না। তাঁদের মধ্যে মেডিক্যালে কর্মরত ৪ জনঅশোক মাইতি, আশিস হাজরা, মৃণাল বর্মন, অরুণ আচার মঙ্গলবার ফ্যাক্স-মারফত ছুটির আবেদন করেন। আগাম জামিনের জন্য অন্য আবেদনকারী দেবাশিস মজুমদারও আগে মেডিক্যালেই কর্মরত ছিলেন। এখনও মেদিনীপুরেই থাকেন। বুধবারই আবার ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) মেদিনীপুর শাখা জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে ওই ৫ চিকিৎসকের জন্য নিরাপত্তার দাবি জানান।
আইএমএ-এর দাবি, কোনও কোনও মহল থেকে আক্রমণের আশঙ্কা করছেন ওই চিকিৎসকেরা। নিরাপত্তার অভাববোধেই তাঁরা আত্মগোপন করতে বাধ্য হয়েছেন। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, নিরাপত্তার সমস্যা হবে না। তদন্তও চলবে। মামলায় আর এক অভিযুক্ত চিকিৎসক অনুপ রায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি এ দিন কোনও মন্তব্য করেননি। তাঁর ঘনিষ্ঠদের দাবি, অনুপবাবু এখনও আগাম জামিনের আবেদন করেননি। প্রয়োজন হলে করবেন। জামিনের আবেদন করেননি সিপিএম নেতা দীপক সরকারও। |