দুপুরের মধ্যে বাছতেই হবে অলিম্পিকের দল
টাইব্রেকারে পৌঁছে যাওয়া ‘সিঙ্গলস’-এর ফয়সালা আজ
ছর সাতেক আগে একটা সেলিব্রিটি টেনিস ম্যাচে অমিতাভ বচ্চনকে জুড়ি নিয়ে খেলছিলেন লি-হেশ। চার নম্বর খেলোয়াড় ছিলেন কর্পোরেট জগতের কোনও কেষ্টবিষ্টু। খেলার পরে লি আর হেশ ঘনিষ্ঠ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মন দিয়ে খেলবেন কি, গোটা খেলাটা তারা অমিতাভকে নিরীক্ষণ করছিলেন। তিনি যখন গম্ভীর মুখে সার্ভ করতে যাচ্ছেন। বা ভলি মারতে গিয়ে ভুল করে নিজের প্রতি প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন, তখন লি-হেশ নাকি নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিলেন, মুখটা দ্যাখ, মুখটা দ্যাখ-ঠিক ফিল্মের সেই অ্যাংগ্রি ইয়ং ম্যান!
তখন কে জানত ভারতীয় টেনিসের বিপরীতমুখী দুই কোর্টে পরের দশকে এরাই এমন ‘অ্যাংগ্রি ইয়ং ম্যান’ হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে গনগনে রাগ নিয়ে বিরাজ করবেন। গত ক’দিন এঁদের যুদ্ধ টেনিসের ভাষায় ছিল এরকম: মহেশ ভূপতি আর রোহন বোপান্না নেটের কাছে। উল্টোদিকের বেসলাইন থেকে ডিফেন্স করছেন লিয়েন্ডার। একাই যেন দু’কোর্ট কভার করছেন। বুধবার প্রথম নেটের কাছে এসে প্রতি আক্রমণে ভলি মারলেন লিয়েন্ডার। ম্যাচ স্ট্র্যাটেজি দেখলে মনে হবে মোক্ষম এই তাসটা যেন তুলে রেখেছিলেন আর ম্যাচ চলে যাচ্ছে এই অবস্থায় প্রয়োগ করলেন। প্রচণ্ড রাগী এবং উত্তেজিত ই-মেলে ভারতীয় টেনিস সংস্থাকে জানিয়ে দিলেন যদি মহেশদের ‘নাটক’-এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দুটো টিম অলিম্পিকে পাঠানো হয়, তা হলে তিনি নাম তুলে নিতে বাধ্য হবেন।
এতদিন মহেশদের হুমকি চলছিল। এ বার তিনি, লিয়েন্ডার পাল্টা হুমকি দিলেন। দৃশ্যত যা দাঁড়িয়ে গেল, অচলাবস্থার পরিমাপ অনেক গুণ বেড়ে গেল। যে কোনো একজনকে মর্যাদার যুদ্ধে হারতে হবে। দুটো টিম হলে হারবেন লিয়েন্ডার। একটা টিম হলে হারবেন মহেশ। এক কালে ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধুর মধ্যে এটা এখন স্রেফ সিঙ্গলস ম্যাচ। আর বুধবার রাতে যেন মীমাংসাসূচক টাইব্রেকারে চলে গেল। বৃহস্পতিবার মাঝ দুপুরের মধ্যে নির্বাচিত প্লেয়ারদের নাম ঘোষণা করতে হবে। আর দেরি হয়ে গেলে অলিম্পিকে ভারতীয় টেনিস দল খেলার অধিকার হারাবে। এ দিন তাই টেনিস মহলে অনেকেই আলোচনা করছিলেন, দেশের সেরা দুই প্লেয়ার পারস্পরিক বিদ্বেষের মাধ্যমে কার্যত দেশকেই ব্ল্যাকমেলের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। মিডিয়া, নেটওয়ার্কিং সাইট এবং টিভি চ্যানেলে ক্রমাগত জল্পনার পর যা দাঁড়াচ্ছে, সারা দিন ধরে চলা রাইসিনা হিলের বাসিন্দা হওয়ার দৌড়ের নাটকও এই সিঙ্গলস ম্যাচের সামনে চ্যালেঞ্জে পড়ে যাচ্ছে।
কেউ জানে না গাঁটছড়া কী করে খুলবে? সমাধানসূত্র কী ভাবে বেরোবে? দু’জনের কাছেই গ্রহণযোগ্য সম্মানজনক কোনও তৃতীয় পক্ষ হস্তক্ষেপ করবে? মিডিয়া এবং সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট যাঁর নাম বারবার করে প্রস্তাব করছিল, সেই রামনাথন কৃষ্ণন এ দিন চেন্নাই থেকে ফোনে বললেন, “কী হচ্ছে জানি না। এর মধ্যে ঢুকতেও চাই না। আশা করি সব মিটে যাবে।” তিনি--কৃষ্ণন, এআইটিএ হলে কোন টিম পাঠাতেন? ভারতের সর্বকালের সেরা টেনিস তারকা সভয়ে বললেন, “আমার কোনও বক্তব্য নেই। মিটে যাক।” অস্ট্রেলিয়ায় চ্যালেঞ্জ রাউন্ডে তাঁর বিখ্যাত পার্টনার বং অন্যতম নির্বাচক জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ও গুটিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। দুবাই হয়ে লন্ডন গেলেন এ দিন। দুবাইতে যোগাযোগের চেষ্টা হলে জয়দীপ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
লিয়েন্ডারের লেখা চিঠি
শ্রী ভরত ওজা
সাধারণ সচিব,
এআইটিএ

মহাশয়,

আপনার সঙ্গে ক্রীড়া মন্ত্রকের সভার পরিপ্রেক্ষিতে আমি নীচে দেওয়া মন্তব্যগুলো করছি:
অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন এবং এখানে আমি কোনও রকম শর্ত ছাড়াই অংশগ্রহণ করতে রাজি হয়েছিলাম, কারণ আমার ধারণা ছিল পদকের লক্ষ্যে আমরা আমাদের সেরা টিম পাঠাব।
২০১২-এর প্রথম ছ’মাস এটিপি র্যাঙ্কিংয়ে আমি টিম হিসেবে বিশ্বের এক নম্বর এবং ব্যক্তিগত র্যাঙ্কিংয়ে সাত নম্বর। যে কারণে অলিম্পিকে আমি সরাসরি খেলা এবং নিজের সঙ্গী বাছার ছাড়পত্র পেয়েছি। এখানে এটাও আপনাকে বলছি যে সানিয়া ও আমার মিক্সড ডাবলসে কম্বাইন্ড র্যাঙ্কিং ১৯ এবং সে জন্য অলিম্পিকে মিক্সড ডাবলসে সরাসরি খেলার ছাড়পত্রও আছে।
পুরুষদের ডাবলসে ফিরি, আসন্ন অলিম্পিকে মহেশ বা রোহনের সঙ্গে খেলতে আমার কোনও অসুবিধে নেই। কিন্তু মহেশ বা রোহন যদি দেশের হয়ে আমার সঙ্গে খেলতে অস্বীকার করে, তা হলে আমি পরের যে সেরা প্লেয়ারকে এআইটিএ বাছবে, তার সঙ্গে খেলতে রাজি আছি। তবে এটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয় যে ভারতের সেরা টেনিস প্লেয়ার হওয়া সত্ত্বেও আমাকে অলিম্পিকে ২০৭/৩০৬ র্যাঙ্কের প্লেয়ারের সঙ্গে খেলতে হবে, যেখানে র্যাঙ্কিংয়ে ১৩ ও ১৫ নম্বরে থাকা দু’জন প্লেয়ার নিয়ে একটা টিম হবে, যা আমার সঙ্গে খেলতে অস্বীকার করার ভিত্তিতে তৈরি হবে।
এই যদি পরিস্থিতি হয়, ভারতীয় টেনিসের স্বার্থে এবং নির্বাচন নিয়ে এআইটিএ-কে উদ্ভূত সমস্যা থেকে অব্যাহতি দিতে অলিম্পিক থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া ছাড়া আমার কোনও উপায় নেই।
এই সিদ্ধান্ত সহজে নেওয়া যায়নি বা এই সিদ্ধান্ত কোনও রকম অভিসন্ধি থেকেও নেওয়া নয়। মহেশ ও রোহন যে নাটক করছে, সেটাকে কোনও ভাবে সমর্থন বা প্রশ্রয় আমরা দিতে পারি না। এটা আমাদের দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ক্রীড়াবিদদের কাছে (বিশেষত টেনিস প্লেয়ার) খুব খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

ধন্যবাদ,
বিনীত
লিয়েন্ডার পেজ
আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় টেনিস সংস্থা দুপুর বারোটায় এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক ডেকেছে। দুপুর দুটোয় ডাকা হয়েছে সাংবাদিক সম্মেলন। সেটাও পিছিয়ে শুরু করা যবে এমন সুযোগ নেই। আর দেরি করলে অলিম্পিকে নাম দেওয়ার সময়সীমা পেরিয়ে যাবে। কেউ বুঝে উঠতে পারছেন না শেষ পর্যন্ত কী ঘটবে। শেষ মুহূর্তে কি বেরবে সমাধানসূত্র? নাকি যে কোনও এক তারকা ইগোর যুদ্ধে ধরাশায়ী হবেন?
কথা ছিল এদিনই এআইটিএ চূড়ান্ত নির্বাচন সেরে ফেলবে। বাদ হয়ে যাবেন মহেশরা। কিন্তু সকাল থেকে পরিস্থিতি অপ্রত্যাশিত ভাবে ঘুরে যায়। ক্রীড়া মন্ত্রক ফের ঢুকে পড়ে আলোচনায়। এআইটিএ কর্তাদের মন্ত্রকে ডেকে পাঠানো হয়। বলা হয় চেষ্টা করুন দুটো দল পাঠাতে। টেনিস কর্তারা বুঝতেই পারেন মহেশ ভূপতি কোথাও নতুন করে খেলেছেন। কিন্তু অনুরোধ-উপরোধের মাত্রা এমন পর্যায়ে বেড়ে যায় যে টেনিস কর্তারা ঢোঁক গেলার রাস্তায় চলে গিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিদম্বরমের পুত্র কার্তিক চিদম্বরম এআইটিএ-র উচ্চপদস্থ কর্তা। শোনা যায় একমাত্র তিনি মহেশের হয়ে জোর সওয়াল করেন। এই সময়ে লিয়েন্ডার তাঁর ভলিটা মারেন। নতুন করে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় সমাধানের চিত্রনাট্য। মুম্বই থেকে ফোনে লিয়েন্ডারের বাবা ভেস পেজ আনন্দবাজারকে বলেন, “মহেশ এর আগেও লিয়েন্ডারকে পিছন থেকে ছুরি মেরেছে। এটা নতুন নয়।” মহেশ সমর্থকরা গত কয়েকদিন ধরেই বলা অব্যাহত রেখেছেন লিয়েন্ডার এমনই পাত্র যার সামনে কেউই শান্তিতে থাকে না। এর আগেও দলে বিদ্রোহের সম্মুখীন হয়ে লিয়েন্ডার ডেভিস কাপ অধিনায়কত্ব খুইয়েছেন। সে বার মহেশ আর বোপান্না ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন প্রকাশ অমৃতরাজ। শোনা যায় সানিয়ার সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল নয়।
টেনিস সার্কিটের খবর অনুযায়ী মহেশের সঙ্গে প্রথম সম্পর্ক খারাপ হওয়ার অসমর্থিত কারণ যদি এনডোর্সমেন্ট থেকে পাওয়া টাকার ভাগাভাগি এবং মহিলা হয়ে থাকে। তা হলে এ বারের আক্রোশ নাকি টেনিসভিত্তিক। কয়েক মাস আগে গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টে প্রথম রাউন্ডে বিদায় নেওয়ার পর। লিয়েন্ডার নাকি একান্তে বোপান্নাকে ডেকে বলেন, মহেশটা বুড়ো হয়ে গেছে। ও আর চলছে না। তুই রেডি থাক। আমরা এক সঙ্গে খেলব। গোপন এই কথাটা মোটেও গোপন রাখেননি বোপান্না। মহেশের কানে তুলে দেন। আর তাতেই প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে যান দক্ষিণী টেনিস তারকা। বলেন, চিরকালই চুকলি কেটে গেল। সামনে এক, পিছনে আর এক। মহেশের বাবা কৃষ্ণ ভূপতি সরকারি ভাবে বলেছেন, লিয়েন্ডারই তো মহেশকে বাদ দিয়েছে। আর বাদ দেওয়ার পর জানিয়েছে। তার পরই তো বোপান্নাকে নিয়ে ও খেলতে শুরু করল। এই জুড়ি অলিম্পিক খেলবে বলে টানা এতদিন এক সঙ্গে ট্রেনিং করেছে। এখন লিয়েন্ডারের কি সেটাও সহ্য হচ্ছে না?
মহেশ-লিয়েন্ডার মেল লিখলেও মিডিয়ার সামনে প্রকাশ্যে আসছেন না। তাঁদের মুখপাত্র এখন যার যার বাবা। নেদারল্যান্ডস থেকে এ দিন লন্ডনে পৌঁছনো লিয়েন্ডার তাই মুখ খুলতে চাননি। কিন্তু ভেস পেজ দাবি করলেন, যা রটছে সেটা মোটেও সত্যি নয়। উইম্বলডন আর ফরাসি ওপেনের প্রথম রাউন্ডে হেরে যাওয়ার পর মহেশই নাকি লিয়েন্ডারের কাছে আসেন। এসে বলেন, এক সঙ্গে তো কাজ হচ্ছে না। চলো আলাদা হই। এই প্রস্তাবের ভিত্তিতেই লিয়েন্ডার নাকি বোপান্নার সঙ্গে কথা বলেন। বোপান্না তখন পাকা কথাও দিয়ে দেন যে ডেভিস কাপে আর অলিম্পিকে লিয়েন্ডারের সঙ্গেই খেলবেন। পেজদের অভিযোগ, এই গোটা ব্যাপারটা মহেশের কলকাঠি নাড়া। ডক্টর পেজ বললেন, “বোপান্না অত কিছু বোঝে না। মহেশের কোম্পানি যেহেতু ওর এনডোর্সমেন্টের দিকটা দেখে, তাই ও যা বলছে অন্ধ ভাবে করছে।” আপনি কি মহেশের সঙ্গে কথা বলবেন? ভারতের প্রাক্তন অলিম্পিক তারকা হতাশ ভাবে বললেন, “লাভ নেই। লি-র বিরুদ্ধে ওর ব্যক্তিগত আক্রোশ যে পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, তাকে আর যাই হোক স্বাভাবিক বলা যায় না।” অভিমানী গলায় ভেস বলেন, “লি যদি বর্জনযোগ্য এমন একটা চরিত্রই হয়, তা হলে বোপান্না এসে ওকে বারবার বলল কেন যে ডেভিস কাপ আর অলিম্পিকটা আমাদের এক সঙ্গে খেলতেই হবে। বেশি দিন আগের কথা তো নয়। সাংহাইতে গত অক্টোবরেই বলেছে।”
লিয়েন্ডারের মেলে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, তিনি মিক্সড ডাবলসে খেলতে চান সানিয়ার সঙ্গে। বলেছেন, আমাদের দু’জনেরই র্যাঙ্কিং অনুযায়ী সেই যোগ্যতা আছে। মর্মার্থ খুব পরিষ্কার। মহেশের সেই যোগ্যতা নেই। এটা আরও একটা স্পর্শকাতর এলাকা। মহেশ-সানিয়া সবে ফরাসি ওপেন জিতে উঠেছেন। তাঁদেরও অলিম্পিক স্বপ্ন এক সঙ্গে মিক্সড ডাবলস খেলা। লিয়েন্ডার সেটা ভাল মতো জানেন। জেনেও সেখানে খোঁচা দেওয়া মানে প্রতিআক্রমণে আসা থেকে তিনি একটা ইঞ্চিও ছাড়বেন না।
ভেস অবশ্য ফোনে বললেন, “আমরা বাবা-ছেলে একেবারে শকড হয়ে গিয়েছি। যে ভাবে মহেশ খুলে আম ভেতরের সব কিছু খুল্লাম খুল্লা করে দিচ্ছে।” বাংলা টেনিস সংস্থার সচিব এবং সর্বভারতীয় সংস্থায় প্রভাবশালী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের সহানুভূতি পুরোপুরি লিয়েন্ডারের দিকে। এত বড় একটা টেনিস প্লেয়ার। এত বছর ধরে দেশকে সার্ভ করছে। অথচ বারবার দেখি মহেশ ওর বিরুদ্ধে ঘোঁট পাকায়।”
সার্কিটে লিয়েন্ডার ঘনিষ্ঠ কেউ কেউ বলছিলেন, দীর্ঘদিন ধরে অলিম্পিকের জন্য তৈরি হচ্ছিলেন বেকবাগান থেকে উঠে আসা টেনিস তারকা। এ বারের অলিম্পিক খেললে আসলে অনন্য এক ভারতীয় রেকর্ড করবেন লিয়েন্ডার। টানা ছ’টা অলিম্পিকে খেলা হয়ে যাবে তাঁর। বার্সেলোনা থেকে লন্ডন। বিদেশে টানা সাতটা অলিম্পিক খেলার নজিরও রয়েছে। কিন্তু গুটিকয়েক। আর ভারতে তো এক জনও নেই। তাই গতবারের সোনাজয়ী অভিনব বিন্দ্রা দলে থাকা সত্ত্বেও অলিম্পিক মার্চ পাস্টে লিয়েন্ডারেরই দেশের পতাকা বহন করার কথা। জকোভিচ যেমন বহন করবেন সার্বিয়ার। শারাপোভা রাশিয়ার। কে জানত লিয়েন্ডারের অলিম্পিক আকাশে এত মেঘ জমে রয়েছে। রাতে খবর পাওয়া গেল, একটা রফা হওয়ার চেষ্টা হচ্ছে এ ভাবেযে দুটো টিম গেল। অর্থাৎ মহেশরাও গেলেন। লিয়েন্ডারের কথা রাখা হল না। আবার মিক্সড ডাবলসে মহেশকে সরিয়ে লিয়েন্ডার খেললেন। অর্থাৎ দুই বন্ধুর ম্যাচটা ১-১ করিয়ে গভীর সেন্টিমেন্ট ছড়ানো হল, দ্যাখো দেশের স্বার্থে রাজি হয়ে যাও। দেশের আগে ব্যক্তিগত স্বার্থ রাখলে ব্যাপারটা যে পর্যায়ে গিয়েছে, তোমাদেরও ভাবমূর্তির ক্ষতি হবে।
দু’পক্ষই যেমন অনমনীয় কেউ জানে না কী হবে। আদৌ কেউ শুনবে কি না কোনও কথা। কোর্টের বাইরে গেম, সেট এবং ম্যাচ নিয়ে ভারতীয় টেনিসে এমন মহাবিতর্কিত লড়াই আর কখনও হয়নি।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.