|
|
|
|
তৃণমূল-অফিসে আগুন, অভিযুক্ত সিপিএম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রধান শাসকদল তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগার ঘটনাকে ঘিরে বুধবার সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায় মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার শ্রীরামপুরে। সিপিএমের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে, এই দাবি করে এলাকায় মিছিল করে তৃণমূল। রীতিমতো লাঠিসোঁটা নিয়েই হয় সেই মিছিল। অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে সিপিএম। সিপিএম নেতাদের দাবি, “ঘটনার সঙ্গে দলের কেউ জড়িত নয়। তৃণমূল মিথ্যে অভিযোগ করছে।” তবে তদন্ত শুরু করে এলাকার ৩ সিপিএম কর্মী-সমর্থককে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোতোয়ালি থানার আইসি জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
মেদিনীপুর সদর ব্লকের শ্রীরামপুরে ইটের দেওয়ালের উপরে খড়ের ছাউনি দেওয়া অবস্থায় তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয় রয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে কে বা কারা সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে খড়ের ছাউনি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বুধবার সকালে ব্যাপারটা নজরে আসতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। |
|
তৃণমূলের ভস্মীভূত কার্যালয়। |
সিপিএমের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসে’র অভিযোগ তুলে এলাকায় মিছিল করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। যুব-তৃণমূল নেতা মহম্মদ আকবর খান বলেন, “দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে কাগজপত্র, দলীয় পতাকা ছিল। মাঝেমধ্যে দলীয়-কর্মীরা রাতে থাকতেন। তাই আসবাবপত্রও ছিল। আগুনে সবই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।” আকবরের অভিযোগ, “সিপিএম কর্মীরাই এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। এলাকায় ফের সন্ত্রাস শুরুর চেষ্টা চলছে।” স্থানীয় সূত্রে খবর, গত সোমবার বিভিন্ন দাবিতে ধর্মা থেকে এলাহিগঞ্জ পর্যন্ত মিছিল করে সিপিএম। শ্রীরামপুর ও তার আশপাশ এলাকা থেকেও কয়েকজন ওই মিছিলে যোগ দেন। তার পর থেকেই এলাকায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়। সিপিএমের বক্তব্য, তাদের কর্মী-সমর্থকদের নামে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করতে শাসকদল তৃণমূল পরিকল্পিত ভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে। সিপিএমের মেদিনীপুর গ্রামীণ (পূর্ব) জোনাল কমিটির সম্পাদক নিরঞ্জন মাইতির বক্তব্য, “আমাদের কেউ দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগায়নি। এ ক্ষেত্রে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।” খবর পেয়েই বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ভোলা রায়, নন্দ পাত্র-সহ স্থানীয় ৩ সিপিএম কর্মীকে ‘আটক’ করা হয়। সবমিলিয়ে ১৫ জন সিপিএম কর্মী-সমর্থকের নামে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। |
|
|
|
|
|