|
|
|
|
কয়লার সঙ্কট, কাছাড় কাগজ কল বন্ধের মুখে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
কয়লা সঙ্কটে কাছাড় কাগজ মিলে উৎপাদন বন্ধ হওয়ার মুখে। কয়লা সরবরাহকারী এবং মিল কর্তৃপক্ষের পারস্পরিক দোষারোপ চলেছে। মিল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, অর্থাভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ কয়লা মিলছে না। সরবরাহকারীরা বকেয়া মেটানোর জন্য চাপ তৈরি করতে সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে কয়লার সংকটকে আরও তীব্র করে তুলেছে। সরাসরি কয়লা কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেও ফল মিলছে না। সরবরাহকারীদের কথায়, প্রায় ১০ কোটি টাকা তাঁদের পাওনা। তাই আর ধারে ব্যবসা করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়।
মিলের এক উচ্চপদস্থ সূত্র জানান, আর্থিক সঙ্কটের সুযোগ নিয়ে সরবরাহকারীরা মিল কয়লাশূন্য করে দিয়েছে। প্রতিদিন তাঁদের পাঁচ থেকে ছ’শো টন কয়লার প্রয়োজন। কিন্তু ক’মাস ধরে ২৫০ টনের বেশি কয়লা মিলছে না। ফলে উৎপাদন মার খাচ্ছে। কয়লার অভাবে নিজেদের বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ রেখে চড়া দরে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনা হচ্ছে। এতেও সংস্থার ক্ষতি বাড়ছে। কানাড়া ব্যাঙ্ক থেকে গত বছর একশো কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল কাছাড় কাগজ মিল। সে টাকা মেটানো দূরে থাক, প্রতিনিয়ত মিলের চলতি মূলধনের পরিমাণ কমছে। ফলে মিল বাঁচানোর স্বার্থে এখন সরকারের কাছে এককালীন অর্থ সহায়তা দাবি করা হচ্ছে।
হিন্দুস্থান পেপার কর্পোরেশনের ফিনান্স ডিরেক্টর অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় মিল পরিদর্শনে এলে শ্রমিক-কর্মচারী-অফিসার, সবাই কয়লা সঙ্কট-সহ মিলের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তিনি কথা দেন, ফিরে গিয়ে এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন। সেই সঙ্গে মিলটিকে লাভজনক করার জন্য নিজেও উদ্যোগী হবেন। কাছাড় পেপার ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (স্বতন্ত্র)-এর সাধারণ সম্পাদক ললিত রাজ বলেন, কর্তৃপক্ষের মিল চালানোর সদিচ্ছা নিয়ে তাঁদের প্রশ্ন না-থাকলেও বাস্তবে ওই সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটছে না। তাঁর কথায়, পরিকল্পনা গ্রহণেই সমস্যা রয়ে যাচ্ছে। তাই উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার পরও ক্ষতির বহর বেড়ে চলেছে। তিনি মিলকে বাঁচানোর জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়নের অনুরোধ জানান। একমাত্র সে ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি লাভের মুখ দেখবে বলে ইউনিয়ন নেতাদের আশা। |
|
|
|
|
|