রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা |
রাজ্যপাল এমকে নারায়ণনের সঙ্গে বুধবার সন্ধ্যায় রাজভবনে আধঘন্টা বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গেই রাজভবনে গিয়েছিলেন রাজ্যের দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরে বৈঠকের ব্যাপারে প্রশ্নের জবাবে সুব্রতবাবু ও পার্থবাবু জানান, এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। সুব্রতবাবু বলেন, “বিধানসভা চলাকালীন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা একটা রীতি। এখন বিধানসভা চলছে। সে জন্যই রাজ্যপালের সঙ্গে আমরা দেখা করতে গিয়েছিলাম।” প্রসঙ্গত, পার্থবাবু আনুষ্ঠানিক ভাবে পরিষদীয় দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত। তবে সুব্রতবাবুও বিধানসভা চলাকালীন সরকারের তরফে ‘উল্লেখযোগ্য’ ভূমিকা নিয়ে থাকেন।
|
মহেশ্বরীদের কাজে ব্যাঘাত নয়, বলল কোর্ট |
অভিযুক্ত অরুণ মহেশ্বরীর অফিসের কাজকর্মের যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার বিধাননগর এসিজেএম আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। সিআইডি সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে অরুণ মহেশ্বরী এবং তাঁর জামাই অমিতাভ কেজরিওয়ালকে আদালতে হাজির করানো হয়। কোর্ট ওই দু’জনকে আরও তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ সরলা মহেশ্বরীর স্বামী অরুণ এবং জামাই অমিতাভকে গত ১০ জুন প্রতারণার দায়ে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিআইডি। এর পর থেকেই তাঁদের অফিসে দফায় দফায় তল্লাশি চালানো হয়। অভিযুক্তদের আইনজীবীরা জানান, ওই তল্লাশি অভিযানের ফলে অফিসের স্বাভাবিক কাজকর্মের ক্ষতি হচ্ছে।
|
আবারও মেট্রোর চালকের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল এক মহিলার। বুধবার সন্ধ্যায়, শোভাবাজারে। মেট্রো সূত্রে খবর, কবি সুভাষগামী ট্রেনের সামনে আচমকাই ‘ঝাঁপ’ দেন ওই মহিলা। তাঁর ডান পা গুরুতর জখম। এর জেরে ৫টা ৪০ মিনিট থেকে আধ ঘণ্টা পরিষেবা ব্যাহত হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। মেট্রো সূত্রে খবর, মোটরম্যান তিমিরকুমার রায় ট্রেনটি ঢোকানোর সময়ে ওই মহিলাকে দৌড়ে আসতে দেখেই ব্রেক কষেন। মেট্রোর জনসংযোগ আধিকারিক প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “চালকের সতর্কতার জন্যই ওই মহিলা বেঁচে গিয়েছেন।” প্রায় সঙ্গে সঙ্গে স্টেশন কর্মীরা আহতকে হাসপাতালে পাঠানোয় ট্রেন চলাচলে বেশি দেরি হয়নি।
|
খাতা থেকে শিক্ষিকাদের উপস্থিতির স্বাক্ষর কেটে দেওয়ার অভিযোগকে ঘিরে বুধবার উত্তাল হল বেলেঘাটার সুরাকন্যা বিদ্যালয়। শিক্ষিকারা ঘেরাও করেন প্রধান শিক্ষিকাকে। হাতাহাতিও হয় বলে অভিযোগ। শিক্ষিকাদের অভিযোগ, ১১-১৪ জুন পর্যন্ত খাতায় তাঁদের স্বাক্ষর ছিল। এ দিন দেখা যায়, প্রধান শিক্ষিকা তা কেটে দিয়েছেন। শিক্ষিকারা জানান, সরকারি ঘোষণায় ছাত্রছাত্রীদের গরমের ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হলেও শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারীদের ছুটি বাড়েনি। প্রধান শিক্ষিকা তবুও এগারো তারিখের পরে স্কুল বন্ধ রাখার চেষ্টা করেন। তবে স্কুল খোলে, সকলে এসে স্বাক্ষর করেন। প্রধান শিক্ষিকা এ দিন জানান, স্কুল পরিদর্শকের কথা মতো তিনি এমন করেছেন। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিও বিষয়টি সরকারি স্কুল পরিদর্শকের বিবেচনাধীন বলে জানান।
|
নীরবতা পালনের সময় ফোন বেজে ওঠায় দুই তৃণমূল বিধায়কের ফোন জমা নিলেন স্পিকার। বুধবার অধিবেশনের প্রথমার্ধে রাজ্যসভার সাংসদ দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করে নীরবতা পালন চলছিল। তখনই বেজে ওঠে ফোন। স্পিকারের নির্দেশে বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতি ও স্বপন বাউরি ফোন জমা দেন। শেষে অবশ্য ফোন ফেরত পান তাঁরা। |