|
|
|
|
চিকিৎসকের মৃত্যুতে জড়াল সিপিএম রাজ্য নেতার নাম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষক-চিকিৎসক বিক্রম সাহার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় জড়িয়ে পড়ল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক দীপক সরকারের নাম। দীপকবাবুর সঙ্গেই ওই মেডিক্যাল কলেজের ৬ চিকিৎসকের নামেও (যাঁদের কেউ কেউ এখন অন্যত্র বদলি হয়েছেন) তাঁর স্বামীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত চিকিৎসকের স্ত্রী শালিনী সাহা। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬, ৫০৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা নথিভুক্ত করেছে। জেলার পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরীর বক্তব্য, “লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।” সিআইডি-র তরফেও বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে।
জেলা সিপিএমের নেতারা এই ঘটনায় দীপকবাবুর নাম জড়ানোর পিছনে শাসকদল তৃণমূলের ‘প্রতিহিংসার
|
অভিযুক্ত দীপক সরকার |
রাজনীতি’ই দেখছেন। প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেলে শালিনীদেবী থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যাওয়ার অনেক আগেই, সকাল ১০টা নাগাদ মেদিনীপুর শহর যুব-তৃণমূলের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কল্যাণ মুখোপাধ্যায়ের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে চিকিৎসক-মৃত্যুর ঘটনায় দীপকবাবুকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। সিআইডি তদন্তও চাওয়া হয়। বিকেলেও শালিনীদেবীর সঙ্গে থানায় যান যুব-তৃণমূলের জেলা নেতা সৌরভ বসু, শহর-সভাপতি স্নেহাশিস ভৌমিক, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা রমাপ্রসাদ গিরিরা। কারও নামে মামলা রুজু হওয়ার আগেই কী ভাবে যুব-তৃণমূল পুলিশের কাছে দীপকবাবুকে গ্রেফতারের দাবি জানাল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন সিপিএম নেতৃত্ব। দীপকবাবুর নিজের বক্তব্য, “প্রতিহিংসার যে রাজনীতি চলছে, তা সবাই দেখছেন। ওই চিকিৎসকের নাম শুনেছিলাম। কিন্তু কখনও তাঁর সঙ্গে সরাসরি বা ফোনে কথা হয়েছিল কি না মনে পড়ে না। কোনও অনুষ্ঠানে দেখা হয়ে থাকতে পারে। হুমকি-প্ররোচনার কিছু জানিই না।” তৃণমূলের সৌরভ বসুদের অবশ্য দাবি, “একজন সরকারি চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় প্রকৃত তদন্তের দাবিই জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে। দীপকবাবু ও কয়েকজন চিকিৎসকের নামে ওঁর স্ত্রীই অভিযোগ করছেন।”
শালিনীদেবীর অভিযোগ, কয়েক বছর আগে দীপকবাবুর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত একটি প্যারামেডিক্যাল কলেজের জন্য কাজ করতে না চাওয়াতেই বিক্রমবাবু হুমকি-হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন। পরিণতিতেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই চিকিৎসক। এ ব্যাপারে দীপকবাবুর বক্তব্য, “প্যারামেডিক্যাল কলেজে আংশিক সময়ে কাজের জন্য অনেক চিকিৎসককেই অনুরোধ করা হয়। জোরাজুরির প্রশ্নই ওঠে না।”
অন্য দিকে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের একাধিক চিকিৎসকের বক্তব্য, বিক্রমবাবু দু’বছরের বেশি মেডিক্যাল কলেজে আসতেন না। ওঁর স্ত্রী যে সময়ে হুমকি-হয়রানির কথা বলছেন, তার পরে বেশ কয়েক বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এত দিন কেন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি, নিজের গরহাজিরা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের তদন্ত কমিটির সামনেই বা কেন বিক্রমবাবু আসেননিসে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
|
প্রেমিকাকে ট্রেনের সামনে ঠেলে ‘খুন’
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
প্রেমিকাকে রেললাইনে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঠেলে দিয়ে খুনের অভিযোগে বছর বাইশের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে রেল-পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে ঝাড়গ্রাম শহরের অদূরে ঝাড়াগেড়িয়া এলাকার বাসিন্দারা এক তরুণীর সঙ্গে যুবকটিকে রেললাইনের ধার ধরে হাঁটতে দেখেন। আচমকা চলন্ত ট্রেনের সামনে তরুণীটিকে ঠেলে দেন সঙ্গী যুবক। ট্রেনের ধাক্কায় মারা যান শিখা দে (১৮) নামে ওই তরুণী। বাড়ি বিনপুরের আশাকাঁথি এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাড়া করে তাঁর সঙ্গী চিন্ময় মাহাতোকে ধরে ফেলেন। পরে ঝাড়গ্রাম জিআরপি-র হাতে তাঁকে তুলে দেওয়া হয়। চিন্ময়ের বাড়ি বিনপুরেরই নারায়ণপুরে। চিন্ময়ের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে শনিবার ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে হাজির করায় জিআরপি। ৩ দিন পুলিশি-হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশের দাবি, জেরায় চিন্ময় জানিয়েছেন, অসবর্ণ বিয়েতে তাঁর পরিবারের অমতের কারণে তাঁদের প্রেম পরিণতি পাচ্ছিল না। এ জন্য মানসিক সঙ্কটে ভুগছিলেন দু’জনে। |
|
|
|
|
|