এক মহিলা ও তাঁর শাশুড়িকে ধর্ষণের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করায় কৃষ্ণনগর থানার সাব ইন্সপেক্টর বরুণ বসুকে সাসপেন্ড করা হল। গত শনিবার, ৯ জুন কৃষ্ণনগঞ্জের গন্ধর্বপুরের বাসিন্দা ওই মহিলা ও তাঁর শাশুড়িকে ধর্ষণ করে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। সোমবার ভোরে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে তা নিতে অস্বীকার করা হয় বলে জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমণ মিশ্রের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই দুই মহিলা। সব্যসাচী বলেন, “তদন্তে ওই পুলিশকর্মী বরুণ বসুর গাফিলতি প্রমাণিত হয়েছে। তিনি ওই মহিলাদের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করায় তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনায় কৃষ্ণগঞ্জ থানার সিআই সত্যরঞ্জন চাকি এবং ওসি বিমান মৃধার কোনও গাফিলতি রয়েছে কী না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” ওই মহিলাদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই কৃষ্ণগঞ্জ থানাকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার। তবে তার পরে দু’দিন পেরিয়ে গেলেও থানার তরফে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ক্ষুব্ধ জেলা পুলিশ কর্তারা। এমন কী অভিযোগকারী ওই দুই মহিলার কোনও মেডিক্যাল টেস্টও করানো হয়নি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে ঘটনার চার দিন পরে, বৃহস্পতিবার তাঁদের ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “সোমবার তদন্তের নির্দেশ পাওয়ার পরেও কেন দু’দিন পরেও ওই মহিলাদের মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়নি বুঝতে পারছি না। থানা কেন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবে না?” |