কাদা হাতে-গড়া
কাদার জালা
‘জিনিয়াস জিন্দাবাদ’
আনবে বৃষ্টি কাদার ফাঁদ
বৃষ্টি ফাঁদে কাদার বোঁদেয়
জিনিয়াসরা শিল্প খোদে।

কাদার খোঁজে ওরা এখন পথে পথেই ঘোরে
কাদা পেলেই কিছু একটা দিতে পারে গড়ে।
কোথায় কাদা? গাঁয়ে-গঞ্জে ঘোরে দিনরাত
কাঁকর-বালি-পাথরকুচে কাদার কুপোকাত।

মিললে কাদা জিনিয়াসরা গড়বে ঢাউশ জালা
জালার জলে জলসত্র, তৃষ্ণা বলবে পালা।
কাদার আবার রকমফের পচা, চষা, তস্য
যে কাদা চাই মিলবে সেটা, লাগে অবিশ্বাস্য।

অবশেষে বারাক ওবামা খবর পেল যেই
বিমানেতে আসল কাদা সিন্থেটিকের লেই।
বলছি, কাদা ফেরত যাবে হাতে নিয়ে ঝান্ডা
ওই কাদাতে গড়লে জালা জল কি হবে ঠান্ডা?


কাদা দিয়ে একটা খুব বড়মাপের রাজবাড়ি বানাব। যা পৃথিবীর নবম আশ্চর্য হবে। এতে আমাদের গ্রাম বিখ্যাত হবে এবং গরিবদের আশ্রয় দেব। এ ছাড়াও কাদা দিয়ে একটা মূর্তি বানাব, যেটা ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’র থেকে বড় হবে। এই স্ট্যাচু বিক্রি করে যে টাকা পাব, তা লোককে বিলি করে দেব।
অষ্টম শ্রেণি, ময়নাগুড়ি উচ্চতর বালক বিদ্যালয়, জলপাইগুড়ি

মাটি থেকে সাধারণত কাদা তৈরি হয়। আমরা সকলেই জানি মাটি খুবই ঠান্ডা। তাই সেটি অন্য জিনিসকেও ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে। এই ভাবনাটিকেই কাজে লাগিয়ে যদি এই কাদা দিয়েই তৈরি হয় জলের বোতল, তা হলে বেশ হয়। তা হলে জল ঠান্ডাও থাকবে এবং ঠান্ডা জল খেতেও খুবই ভাল লাগবে।
পঞ্চম শ্রেণি, কমলা বালিকা বিদ্যালয়

বর্ষাকালে আশেপাশে ছড়িয়ে থাকা প্যাচপেচে নরম কাদামাটি দিয়ে আমি একটা বিশাল বটগাছ বানাব। তার পাতাগুলোও হবে মাটির। এবং ডালে যে পাখি দোল খাবে সেগুলিও মাটি দিয়ে বানাব। সেই গাছটা রোদে শুকিয়ে গেলে বর্ষাকালে বহু মানুষ তার তলায় আশ্রয় নেবে বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। আর গরমকালে তার শীতল ছাওয়ায় শুয়ে মানুষেরা আরামে ঘুমোবে। যেহেতু পাখিগুলিও মাটির, তাই উপর থেকে নীচের লোকগুলোর মাথায় পাখির শরীরের বর্জ্য পদার্থ পড়বে না। তারা নিশ্চিন্তে নিদ্রা যাবে।
পঞ্চম শ্রেণি, বারাসাত পি সি এস সরকার উচ্চ বিদ্যালয়

আমি বানাব একটা কাদামাটির মস্ত ড্রাগন। এই ড্রাগনটার মুখ দিয়ে আগুনের গোলার বদলে বেরোবে এমন একটা ধোঁয়া, যা সর্বনাশা অতিবৃষ্টিকে থামিয়ে দিতে পারে। ঝামেলা-বিপদ হলেই শান্তির মিষ্টি হাওয়া ছড়িয়ে দিতে পারে।

সপ্তম শ্রেণি, বৈদ্যবাটী চারুশীলা বসু বালিকা বিদ্যালয়

আমি কাদা দিয়ে ছোট-বড় নানা আকারের পাত্র তৈরি করব। তার পর সেটাকে পুড়িয়ে, রোদে শুকিয়ে নেব, যাতে পাত্রগুলো শক্তপোক্ত হয়। ছোট পাত্রগুলো গাছে ঝুলিয়ে দেব, বর্ষার জলে পাত্রগুলো ভরে গেলে পাখিরা সহজেই জল খেতে পারবে। আর বড় পাত্রগুলোতে বর্ষার জল ধরে রাখব। কারণ, এখন নানা জায়গায় জলস্তর নেমে যাচ্ছে, গ্রীষ্মে পানীয় জলের অভাব হচ্ছে। আমরা পাত্রে জমিয়ে রাখা জল পরিশোধন করে জলাভাবের সময় ব্যবহার করতে পারি।

সপ্তম শ্রেণি, আনন্দ আশ্রম সারদা বিদ্যাপীঠ, বনহুগলি

বর্ষাকালে এক দিন নিশ্চয় মুষলধারে বৃষ্টি হবে। অনেক কাদাও জমবে। তখন আমরা বন্ধুরা মিলে বেলচা দিয়ে সমস্ত কাদা উঠিয়ে নেব। তৎক্ষণাৎ কিছুটা কাদামাটি পাঠিয়ে দেব কুমোরটুলিতে, কারণ রথযাত্রা ও বিপত্তারিণী পুজো একেবারে দোরগোড়ায়। অবশ্য মৃৎশিল্পীদের ঘট ও মূর্তির কাজটা সহজ হবে। মিষ্টির দোকানের ভাঁড় তৈরির জন্য কিছুটা মাটি পাঠাব। রথযাত্রা ও বিপত্তারিণীর ঘট মূর্তি বিসর্জন দেওয়া হবে। সেই কাদামাটি জল থেকে তুলে তাতে খুব অল্প দিন বাঁচে, কিন্তু ফলন খুব বেশি হয় সেই সব ফলগাছ লাগাব। ফলন খুব বেশি হয় সেই সব ফলগাছ লাগাব। ফলন খুব বেশি হবে। তা বিক্রয় করে যে অর্থ উপার্জন হবে, তা দিয়ে আমরা দুঃস্থ শিশুদের জন্যে মিড ডে মিল পরিষেবা বিশিষ্ট স্কুল খুলব। মরা গাছগুলিকে ব্যবহার করা হবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। বাকি কাদামাটি দিয়ে একটি বাগানে ফলগাছ লাগাব, গরিবদের সাহায্য করব। আমাদের স্বপ্ন আংশিক ভাবে সার্থক হবেই।

ষষ্ঠ শ্রেণি, বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়

জিনিয়াস জিন্দাবাদ
অনেক দিন বৃষ্টি না হলে, গাছপালা কেমন শুকিয়ে মনমরা হয়ে যায় না? আবার বৃষ্টি পেলেই
যেন ধিন ধিন করে নাচতে থাকে। তোমরা বরং এক কাজ করো, এই ছবিটাই বেশ মজা করে এঁকে
পাঠিয়ে দাও। আঁকবে পাশাপাশি দুটো ছবিই। একটায় গাছটি বৃষ্টির অপেক্ষা করছে, আর পাশেরটিতে
ওই গাছটিই বৃষ্টি পেয়ে বেজায় খুশি। গাছ, বৃষ্টি বা আর যা যা আঁকবে, তা যেন হয় ভীষণ মজার।
পাঠিয়ে দাও ৭ জুলাইয়ের মধ্যে। খামের উপর লেখো
জুলাইয়ের জিনিয়াস জিন্দাবাদ,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.