তাঁর সমর্থনে দেওয়াল লেখেনি কেউ। ছিল না পোস্টারও। মনোনয়ন জমা করতে একবারই বাঁকুড়ায় এসে কয়েকটি লিফলেট বিলি করেছিলেন কোচবিহারের গুড়িয়াহাটি ১ পঞ্চায়েতের পিলখানা এলাকার বাসিন্দা রাজীব ধর। ফোনে ভোটের ফল শুনে আঁতকে ওঠেন, “বলেন কী? বিনা প্রচারেই এই!” জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাঁদের সংগঠন রাষ্ট্রীয় জনাধিকার সুরক্ষা পার্টি নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন মেলায় বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে লড়ার ইচ্ছা সামলাতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দলের নামে লড়তে না পারেননি। তবে তাঁর মোমবাতি প্রতীকে ভরসার ছাপ দিয়েছেন ২.৭৪ শতাংশ ভোটার। পিছনে ফেলে দিয়েছেন, স্থানীয় জেডিপি এবং জেএমএম প্রার্থীদের। উচ্ছ্বসিত রাজীববাবু বলেন, “আমরা মানুষের অধিকার রক্ষা নিয়ে কাজ করি। এ বার বাঁকুড়ায় গিয়ে এ নিয়ে কাজ করব।”
|
দ্বিতীয় রাউন্ডেই একবার সিপিএম প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন। তারপর রাউন্ডের পর রাউন্ড গণনা হয়েছে, আর ব্যবধান বাড়িয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। কিন্তু চূড়ান্ত ফলপ্রকাশের তখনও ঢের দেরি। বিজয়োল্লাসে মেতে ওঠার জন্য অধৈর্য হয়ে পড়ছিলেন তৃণমূলের কর্মীরা। গরমে তেতে-পুড়ে নিরাপত্তা রক্ষীদেরও এক অবস্থা। সবার তখন একটাই প্রশ্ন, “আর কতক্ষণ?”
|
ভিতরে চলছে গণনা। বাইরে বন্দুক কাঁধে জওয়ানের অতন্দ্র প্রহরা। এক বৈদ্যুতিন মাধ্যমের ক্যামেরাম্যান সেই ছবি তুলছিলেন। মনের মত ছবি না পেয়ে ক্যামেরাম্যানকে খুঁতখুঁতানি করতে দেখে বিরক্ত জওয়ান বলেন, “আপনি বন্দুক ধরুন। আমিই ছবি তুলে দিচ্ছি।” |