সোয়া ২৯ লক্ষ টাকায় বহরমপুর শহরের ফুসফুস ব্যারাক স্ক্যোয়ার মাঠের চারদিক সুদৃশ্য লোহার রেলিং দিয়ে সম্প্রতি ঘিরে দেওয়া হয়েছে। চারপাশে বাগান তৈরি করা হয়েছে। আলোয় সুসজ্জিতও করা হয়েছে। তার জন্য পুরসভা ও প্রশাসন অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু ওইখানে থেমে গেলে ব্যারাক স্ক্যোয়ার মাঠের সমস্যার সুরাহা হবে না। ওই মাঠের মধ্যে হামেশাই বসে বইমেলা, শিল্পমেলা-সহ বিভিন্ন মেলার ও প্রদর্শনী। ভিভিআই পি-দের জন্য সেখানে তৈরি করা হয় হেলিপ্যাড। ওই সবের আয়োজন করতে বিস্তর বাঁশ ও খুঁটি ওই মাঠের মধ্যে পুঁততে হয়। মেলা ও হেলিপ্যাডের কাজ শেষ হয়ে গেলে ওই সব গর্ত কিন্তু কেউ বুজিয়ে দেয়। অথচ ওই মাঠে প্রতি দিন ভোরে ও সন্ধ্যায় কয়েক হাজার মানুষ শরীর চর্চা, খেলাধূলা ও শারীরিক কসরৎ করেন। তাঁদের অনেকেই ওই সব গাড্ডায় পড়ে বিস্তর ভোগান্তির শিকার হন। এ ছাড়া ওই ঐতিহাসিক মাঠের বেশ কয়েকটি এলাকা নীচু থাকার ফলে বর্ষাতে জল জমে যায়। ওই মাঠের ও চারপাশের জমা জল বের করার জন্য প্রায় আড়াইশো বছর আগে ইংরেজ শাসকরা ‘আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেনেজ’-এর ব্যবস্থা করেন। ওই নিকাশিনালা দিয়ে ব্যারাক স্ক্যোয়ার মাঠ ও লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকার জল লালদিঘি ও ধোপঘাটি হয়ে খিড়কি সাঁকো দিয়ে কয়েক কিলোমিটার দূরের ভাণ্ডারদহ বিলে গিয়ে পড়ত। সেই নিকাশি ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এ দিকে মাঠের পূর্বদিকে প্রায় মাঝামাঝি এলাকায় বেশ কয়েক বছর আগে গজিয়ে ওঠা কুলগাছটি বড়সড় হয়ে প্রতি দিনই ছোটখাটো বিপদের জন্ম দেয়। ওই কুলগাছটিও কেটে ফেলা জরুরি। মাঠের উন্নয়নে পুরসভা ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়, বহরমপুর
|
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে সাজুর মোড় থেকে অরাঙ্গাবাদ নেতাজি মোড় পর্যন্ত রাস্তা যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। অথচ ওই রস্তা দিয়ে প্রতি দিন বহু মানুষকে স্কুল কলেজ ও বিভিন্ন অফিসে যাতায়াত করতে হয়। অটো, ট্রেকার ও ঘোড়ার গাড়ি ওই রাস্তায় যাত্রী বহন করে। অথচ পিচ রাস্তার উপরের পাথর উঠে গিয়ে এণন বড় বড় আকারের গর্ত তৈরি হয়েছে যে, যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটবে।
সাধন দাস, ভৈরবটোলা-লবনচোঁয়া।
|
মুর্শিদাবাদ জেলার ধুলিয়ান চক্রের ৬৮ জন অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক ২০০৯ সাল থেকে আংশিক পেনশন পেয়ে আসছে। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সাল হতে রাজ্য ষষ্ঠ পে কমিশনের রায় কার্যকর হয়। এই দুর্মূল্যের সময়ে সামান্য আংশিক পেনশনে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বড়োই আর্থিক অসুবিধায় রয়েছেন। কবে পেনশন পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা না মেলায় আমার সবাই হতাশায় ভুগছি। মানমীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহম করে আবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বকেয়া ডি এ-সহ পে কমিশনের সংশোধিত বেতন ক্রম অনুসারে ২০০৮ সালের এপ্রিল মাস হতে বর্ধিত হারে সর্ম্পূণ পেনশন ও অন্যান্য প্রাপ্য অর্থ দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
প্রভাত কুণ্ডু, ধুলিয়ান
|
রাজ্যোর অন্যতম প্রাচীন শহর জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়াও অন্য কারণেও বিশেষ খ্যাত। বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব বিধায়ক ভট্টাচায, কীর্তন সম্রাজ্ঞী রাধারানিদেবী ও চিত্রকর ইন্দ্র দুগার জিয়াগঞ্জ-আজিম শহরের সন্তান। অথচ ওই শহরে নেই কোনও প্রেক্ষাগৃহ। ফলে শিল্প সংস্কৃতির এ রকম সুমহান ঐতিহ্য সত্ত্বেও বর্তমান প্রজন্মের সামনে সংস্কৃতি চর্চার কোনও নির্দিষ্ট জায়গা নেই। আমার দাবি, অবিলম্বে বিধায়ক ভট্টাচার্যের নামে জিয়াগঞ্জে একটি অডিটোরিয়াম তৈরি করা হোক সরকারি উদ্যোগে।
ছোটন গোস্বামী, জিয়াগঞ্জ |