|
|
|
|
মাটি পাচারে তৃণমূলের মদত, নালিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
ভূমি-সংস্কার দফতরকে শুল্ক না দিয়ে খাল খননের মাটি অবৈধ ভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠল মহিষাদলে। তৃণমূলের মদতেই এই কাণ্ড চলছে বলে সিপিএমের অভিযোগ।
মহিষাদল ব্লকের নাটশাল-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ইটামগরা লকগেট থেকে গেঁওখালি পর্যন্ত হিজলি টাইডাল ক্যানাল সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ। খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। গত ৩০ মে ওই কাজ শুরু হয়। সিপিএমের অভিযোগ, ওই খাল খননের মাটি অবৈধ ভাবে স্থানীয় টালিভাটায় চালান হচ্ছে। আর এই কাজে মদত দিচ্ছে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত। স্থানীয় টালিভাটা বাস স্টপেজের কাছে এখন খাল সংস্কারের কাজ চলছে। এলাকার বাসিন্দা অমিত অধিকারীরও বক্তব্য, “দেখছি মাটি উঠছে। তার পর টালিভাটায় চলে যাচ্ছে।” সিপিএমের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান শ্যাম ভুঁইয়ার অভিযোগ, “স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য অশোক সামন্তর বাড়ির সামনে থেকেই অবৈধ ভাবে খাল খননের মাটি চালান হচ্ছে। আর তাতে মদত দিচ্ছেন পঞ্চায়েত প্রধান।” যদিও পঞ্চায়েত প্রধান কৃষ্ণারানি সামন্তর বক্তব্য, “অভিযোগ মিথ্যে। জায়গার অভাবে ওই মাটি টালিভাটায় রাখা হচ্ছে।” সিপিএম অবশ্য ব্লক ভূমি-সংস্কার আধিকারিক-সহ প্রশাসনের নানা স্তরে অভিযোগ জানিয়েছে। দলের তরফে এলাকায় বিক্ষোভ-কর্মসূচিও নেওয়া হচ্ছে। জেলা ভূমি-সংস্কার আধিকারিক সুনীতা মিত্র দেব অবশ্য বলেন, “যারা মাটি নিচ্ছে তাদের বার্ষিক শুল্ক প্রদান করা রয়েছে। আমি অভিযোগ পেয়ে ব্লক ভূমি-সংস্কার আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছি।” ব্লক ভূমি-সংস্কার আধিকারিক আলোক সেনাপতির বক্তব্য, “কোনও টালিভাটায় এ ভাবে মাটি রাখা হচ্ছে কি না খোঁজ নিয়ে দেখব। তবে কিছু টালিভাটা-মালিক শুল্ক প্রদানের জন্য এসেছিলেন। তাঁদের এইচডিএ-র অনুমতি নিয়ে আসতে বলেছি। এইচডিএ বললে শুল্কের রসিদ কাটা হবে।” এইচডিএ-র উদ্যোগে এই কাজ হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছেন এইচডিএ-র মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক পি উলাগানাথনও। তিনি বলেন, “আমি বাইরে আছি। কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ এসেছে কি না জানি না। তবে যদি মাটি নিতে হয়, আমাদের অনুমতি নিয়ে ভূমি-সংস্কার দফতর থেকে শুল্কের রসিদ নিয়েই মাটি নিতে হবে।” |
|
|
|
|
|