ইউরোয় তাঁদের প্রথম ম্যাচ দেখে মনেই হয়নি যে চার বছর আগে ইউরোপ সেরার ট্রফি তাঁদের হাতেই উঠেছিল। মনে হয়নি দু’বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁরাই বিশ্বসেরার মুকুট পরেছিলেন। আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে স্পেনের ৪-০ জয় অবশ্য ‘লা রোজা’-র নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। প্রথম ম্যাচে ইতালির সঙ্গে ১-১ ড্রয়ের পরে এ বারের ইউরোয় প্রথম জয় পেয়ে খুব স্বাভাবিক ভাবেই স্বস্তি স্প্যানিশ শিবিরে। সেই স্বস্তি ফের্নান্দো তোরেস থেকে ভিসেন্তে দেল বস্কির গলায়। “ইতালির সঙ্গে ড্রয়ের হতাশা ঝেড়ে ফেলতে মুখিয়ে ছিলাম। আজ পুরনো স্পেনকে দেখা গেল,” বলছেন বৃহস্পতিবারের জোড়া গোলের নায়ক তোরেস। প্রথম ম্যাচে স্ট্রাইকার না খেলানোর অভিনব ছক অনুসরণ করে যাঁকে খেলাননি স্প্যানিশ কোচ দেল বস্কি। ইউরোয় তাঁর প্রথম ম্যাচেই তোরেস বুঝিয়ে দিয়েছেন, সেরা ফর্মে ফিরছেন। চেলসি তারকার প্রশংসা করেছেন জাতীয় কোচও। বলেছেন, “বিপক্ষের রক্ষণের মধ্যে কী ভাবে জায়গা খুঁজে নিতে হয় সেটা তোরেস জানে। এই ম্যাচটা নিখুঁত ছিল।” |
স্ট্রাইকার না খেলানোর যে নীতি দেল বস্কি অনুসরণ করছেন, তার প্রচুর সমালোচনা হলেও নিজের পরিকল্পনার সমর্থন করছেন স্প্যানিশ কোচ। “আমাদের নিজস্ব একটা সিস্টেম আছে। এই নীতি মানার জন্য আমাদের সমালোচনা হয়েছে জানি। কিন্তু আমরা দেখিয়ে দিয়েছি যে এই সিস্টেমটা যথেষ্ট কাজ দেয়,” বলে দেল বস্কি যোগ করেছেন, “লোকে ভাবে স্ট্রাইকার খেলানো খুব জরুরি। আমরাও সেটা মনে করি। কিন্তু আমাদের কাছে জেতাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।” আইরিশ কোচ জিওভানি ত্রাপাত্তোনি আবার হারের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, “ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে যে ভুলটা করেছিলাম, আজও ঠিক তাই হল। ম্যাচের শুরুর দিকেই গোল খেয়ে যাওয়ায় আমাদের সব পরিকল্পনা ঘেঁটে গিয়েছিল।” পাশাপাশি তাঁর গলায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ফুটবলের প্রতি শ্রদ্ধা। “স্পেন আরও এক বার নিজেদের জাত চিনিয়ে দিল। কোনও এনার্জিই নষ্ট করেনি। প্রত্যেক ফুটবলারকে ঘিরেই পরিকল্পনা তৈরি করে খেলছিল। ওদের খেলাটা অর্কেস্ট্রার মতো।” |