রাজ্য জুড়ে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে সাংসদ ও বিধায়করা তাঁদের তহবিল থেকে কিছুটা খরচ করুন। তা হলে আগামী ৫ বছরে গ্রামে-শহরে বিকল্প বিদ্যুতের সংস্থানের পাশাপাশি সবুজ শক্তির উৎপাদন ও ব্যবহার নিয়ে সচেতনতাও গড়ে উঠবে। শুক্রবার শহরে আবহাওয়া পরিবর্তন বিষয়ক এক আলোচনাসভায় এমনই এক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
আলোচনাসভার উদ্যোক্তা ‘ফোর্স ফর রুরাল এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড ইকনমিক ডেভেলপমেন্ট’ (ফ্রিড)। সংস্থার সম্পাদক সোমনাথ পাইন প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কুল অফ ওশেনোগ্রাফিক স্টাডিজ’-এর অধিকর্তা সুগত হাজরা-সহ সকলে তা সমর্থন করেন। |
সভার উদ্বোধনে স্বামী আত্মপ্রিয়ানন্দ। পাশে বাংলাদেশের ডেপুটি
হাই-কমিশনার আবিদা ইসলাম। শুক্রবার, সায়েন্স সিটিতে। —নিজস্ব চিত্র |
‘ফ্রিড’ রাজ্যের কুড়িটি বিদ্যুৎহীন গ্রামে সৌর আলো দিয়েছে। সুন্দরবনের কিছু গ্রামেও সৌর আলো পৌঁছেছে। গত এক বছরে দুই বিধায়ক তাঁদের তহবিল থেকে টাকা দিয়ে সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছেন। সোমনাথবাবু জানান, প্রস্তাবটি লিখিত আকারে রাজ্যের সব সাংসদ ও বিধায়ককে পাঠানো হবে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস বিধায়ক অমিতাভ চৌধুরীর আর্থিক সহায়তায় আলিপুরদুয়ারের কাছে একটি রাভা বনবস্তির সব পরিবারে সৌর লণ্ঠন দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়ের অর্থসাহায্যে বাঁকুড়ার সারেঙ্গার কাছে একটি গ্রামে ঘরে ঘরে সৌরবিদ্যুৎ পৌঁছেছে।
সুগতবাবু বলেন, “আবহাওয়া পরিবর্তনের মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধিরা বিকল্প শক্তির ব্যবহার বাড়াতে উদ্যোগী হলে গোটা দেশ জুড়ে একটি বিপ্লব ঘটতে পারে।” দু’দিনের আলোচনাসভার প্রথম দিনে বেলুড়ের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বামী আত্মপ্রিয়ানন্দ বলেন, “আমরা প্রকৃতির কাছ থেকে দু’হাত ভরে নিচ্ছি। প্রকৃতির কাছে ফিরিয়ে দিতেই হবে। ভারসাম্যের কোনও রকম অভাবই প্রকৃতি বরদাস্ত করে না।” |