নোনাডাঙায় তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের মারধরের অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক বাপি মণ্ডল-সহ তিন মহিলা জখম হন বলে অভিযোগ। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ জানায়, শুক্রবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিল সুশান্ত ঘোষ তাঁর সমর্থকদের নিয়ে হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ দায়ের হয়। সুশান্তবাবু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “বৃহস্পতিবার নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে নোনাডাঙার দখলকারীদের সঙ্গে বৈঠক হয়। তাঁদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন মন্ত্রী। আপাতত পাশের একটি জমিতে ওঁদের স্থানান্তরিত করা হবে। অধিকাংশ দখলকারী সম্মতি দিয়েছেন। এ দিন দখলকারীদের কোথায় পুনর্বাসন দেওয়া হবে, তা জানাতে যাওয়া হয়েছিল। মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি।” স্থানীয় ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মণীন্দ্র দত্ত বলেন, “আমাদের সমর্থকেরা মারধর করেননি। আমরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছি।” উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির তরফে অমিতাভ ভট্টাচার্য বলেন, “পরিকল্পিত ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। আমাকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। পুনর্বাসনের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে দখলদারদের উচ্ছেদের চক্রান্ত করা হচ্ছে।”
|
মামলা লঘু করার উদ্দেশ্যে অবসরপ্রাপ্ত এক সিবিআই অফিসারকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে কলকাতার ব্যবসায়ী রমেশ গাঁধীকে গ্রেফতার করেছে ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে কলকাতাতেই গ্রেফতার করা হয়। সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারেরা ইতিমধ্যে রমেশকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছেন। এর আগে নানা দুর্নীতি, কয়লা ব্যবসায় অনিয়মের অভিযোগে রমেশকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেগুলো থেকে রেহাই পেতেই রমেশ সিবিআইয়ের অন্দরে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। ১৮ মে দিল্লিতে জে পি বর্মা নামে সিবিআইয়ের এক প্রাক্তন এসপি-কে গ্রেফতারের পরে রমেশের ঘুষ দেওয়ার বিষয়টি নজরে আসে। ওই অবসরপ্রাপ্ত সিবিআই অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিভিন্ন অভিযুক্তের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা লঘু করে দেওয়ার আশ্বাস দিতেন। রমেশ সিবিআইয়ের ওই প্রাক্তন এসপি-র কথায় দু’লক্ষ টাকা দেন বলে গোয়েন্দা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। বর্মার বাড়ি থেকে ৫০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। তার পরে রমেশের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা জানতে পেরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
|
নরম পানীয়ে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বৃদ্ধা মাকে খাওয়ানোর পরে নিজেও তা খেয়েছিলেন বলে চিঠিতে লিখেছেন মেয়ে। শুক্রবার রাতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাঘা যতীন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাঁদের উদ্ধার করে পুলিশ। হাসপাতালে মিনুরানি হালদার (৬০) নামে ওই বৃদ্ধাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মেয়ে মনিকা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পুলিশি সূত্রের খবর, এ দিন মনিকার স্বামী শাশুড়ির ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেন, তাঁর স্ত্রী এবং মিনুদেবী মেঝেতে পড়ে আছেন। তাঁদের মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছে। তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ওই ঘরে একটি চিঠি পায়। তাতেই ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মাকে মেরে আত্মহত্যার করার কথা লিখেছেন মনিকা। তদন্তকারীরা জানান, মনিকা কেন এমন কাজ করলেন, তার তদন্ত হচ্ছে।
|