এক দল হিসেব কষায় ব্যস্ত। অন্য দল আত্মপ্রত্যয়ী। এক দলের নেতারা পার্টি অফিসে বসে বুথভিত্তিক ফলাফল কী হতে পারে, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছিলেন। অন্যপক্ষের মন তখন জেলা ছাড়িয়ে দেশের দিল্লির রাজনীতিতে বিচরণ করছে, — দিদি কি কিস্তিমাত করলেন?
বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ভোট গণনার আগের দিন বৃহস্পতিবার এই ছবিই দেখা গেল সিপিএম ও তৃণমূল শিবিরে। |
বাঁকুড়া শহরের স্কুলডাঙায় সিপিএমের আঞ্চলিক অফিসের দোতলায় একটা টেবিল ঘিরে বসেছিলেন জেলা কমিটির সদস্য প্রতীপ মুখোপাধ্যায় (২০১১-এর এই কেন্দ্রের প্রার্থী ছিলেন), সুবিকাশ চৌধুরী, বাঁকুড়া শহর পশ্চিম ১ অঞ্চল কমিটির সম্পাদক শ্যামল মিদ্দ্যা-সহ দলীয় কর্মীরা। ২০১১-এর ভোটের বুথভিত্তিক ফলাফলের কাগজপত্র নিয়ে কোন বুথে কত ভোট তাঁদের পক্ষে পড়েছিল, এ বার ওই বুথগুলিতে কত ভোট পেতে পারেন- তারই হিসেব কষা হচ্ছিল। একতলায় জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য মনোরঞ্জন বসুও দলের কর্মীদের সঙ্গে একই বিষয়ে চর্চা করছিলেন। সিপিএমের প্রার্থী নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত সকালটা বাড়ির কাজ আর জেলা আদালতে খানিকক্ষণ কাটান। দলের জেলা সম্পাদক অমিয় পাত্র কলকাতায় ছিলেন। ফোনে বললেন, “ভোটের ফলাফল যাই হোক, মানুষের কাছ থেকে আমরা অনেক ভালবাসা পেয়েছি। এটাই আমাদের সম্পদ।”
তৃণমূল শিবিরে অন্য ছবি। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “নির্বাচনে জয় নিয়ে চিন্তা নেই। তার থেকে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী কে হচ্ছেন, সে দিকেই আমাদের নজর বেশি।” তৃণমূল প্রার্থী মিনতি মিশ্রের এই ক’দিনের ছায়া সঙ্গী বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল দিলীপ অগ্রবালেরও একই রা। বলেন, “ভোট নিয়ে চিন্তা করবে সিপিএম। কিন্তু দিল্লিতে কী হয় কে জানে!” মিনতিদেবী বলেন, “আমার স্বামীর (এই কেন্দ্রের প্রয়াত বিধায়ক কাশীনাথ মিশ্র) প্রতি মানুষের ভালবাসাই আমাকে জেতাবে।” জবাব মিলবে আজ শুক্রবার সকালেই। |