পঞ্চায়েতে দুর্নীতির নালিশ |
রায়পুর পঞ্চায়েতে ইন্দিরা আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলল নওদা ব্লক কংগ্রেস। অভিযোগ, ২০১১ সালে ইন্দিরা আবাস যোজনায় আরএসপি পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতে যে ১৭৫টি পরিবারকে বাড়ি দেওয়া হয়েছে তারা কেউই এই যোজনার আওয়াত পড়ে না। নওদার কংগ্রেস বিধায়ক আবু তাহের খান বলেন, “যাদের বাড়ি দেওয়া হয়েছে তাদের সকলেরই দোতলা বাড়ি রয়েছে। ওঁরা সকলেই অবস্থাপন্ন। আমরা বিডিও-কে এ ব্যাপারে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।” ব্লক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সুজয় বিশ্বাস বলেন, “বাড়ি দেওয়ার সময়ে কোনও নথি পরীক্ষা করা হয়নি। এমন কী আমাদের তরফে অভিযোগ করার পরেও প্রধান বা কোনও পঞ্চায়েত কর্মী বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখেননি।” নওদার বিডিও মানসকুমার মণ্ডল বলেন, “ওই প্রকল্পের নির্ধারিত তালিকা অনুসারে বাড়ি দেওয়া হয়েছে। কোনও অভিযোগ থাকলে তা তিন দিনের মধ্যে জানানো নিয়ম। তবে অভিযোগ মেলার পরে আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখেছি। পঞ্চায়েতকে বলা হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে।” রায়পুর পঞ্চায়েতের আরএসপি প্রধান রূপচাঁদ শেখ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। এর মধ্যে কোনও দুর্নীতি নেই। নিয়ম মেনেই সব করা হয়েছে।”
|
গিরিয়ার পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সিপিএমের মনোয়ারা বেগম। বছর খানেক ধরে গ্রামছাড়া মনোয়ারা বলেন, “পঞ্চায়েতের বোর্ড ভেঙে গিয়েছে। বিডিও পঞ্চায়েত পরিচালনা করছেন। আমাদের দলীয় কর্মীদের অনেকে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে গ্রামে ফিরেছেন। আমি যখন পঞ্চায়েতের কাজই করতে পারছি না, তখন পদ আঁকড়ে ধরে রাখার মানে কী?” রঘুনাথগঞ্জ-২ বিডিও-র কাছে বৃহস্পতিবার ইস্তফাপত্র দেন মনোয়ারা। এর আগে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার মুচলেকা দিয়ে গ্রামে ফিরেছিলেন ১১ জন সিপিএম কর্মী। বৃহস্পতিবারও গিরিয়ায় সিপিএমের এক লোকাল কমিটির সদস্য রব্বানি বিশ্বাস ও পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ ঈশা কংগ্রেসে যোগ দিয়ে গ্রামে ফিরেছেন। কংগ্রেসের ব্লক সম্পাদক প্রকাশ সাহা বলেন, “ওঁরা নিজেদের ইচ্ছায় দল ছেড়েছেন। এর মধ্যে কোনও জোর-জবরদস্তি নেই।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, “এই এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরেই সিপিএম কর্মীদের ভয় দেখিয়ে দলত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।” গত তিন দশক ধরে গিরিয়া ছিল সিপিএমের দখলে। গত বিধানসভা নির্বাচনে গোটা এলাকা দখল করে কংগ্রেস। গ্রাম ছাড়েন সিপিএম নেতা কর্মীরা। এমন কী গিরিয়া পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান-সহ ১০ সদস্যই গ্রাম ছাড়েন। ফলে অচল হয়েছে পঞ্চায়েত। ভেঙে যায় পঞ্চায়েত বোর্ড। গিরিয়া এখন বিডিও-র নিয়ন্ত্রনাধীন।
|
বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে কয়েক হাজার নগদ টাকা ও গয়না লুঠ করল দুষ্কৃতীরা। বুধবার রাতে রানাঘাটের ভট্টাচার্য পাড়ায় মিহির চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেয় জনা আটেক যুবক। তাদের সকলেরই মুখে কালো কাপড় বাঁধা ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন মিহিরবাবুর স্ত্রী মালবিকাদেবী। ডাকাতিতে বাধা দিতে গেলে বল্লমের আঘাতে সামান্য জখম হন তিনি। মালবিকাদেবী বলেন, “রাতে একটা আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায়। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে ডাকাতদল। ওদের হাতে রিভলবার ছিল। আমার গলায় বল্লম ঠেকিয়ে আলমারির চাবি চায়। বাধ্য হয়েই চাবি দিয়ে দিই। চোখের সামনে আলমারি খুলে টাকা-গয়না নিয়ে নেয়। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে নিমেষের মধ্যে পালিয়ে গেল।” মিহিরবাবু ও মালবিকাদেবীর চিৎকারে পরে পড়শিরা এসে দরজা খুলে তাঁদের উদ্ধার করেন। রানাঘাটের এসডিপিও আজহার এ তৌসিফ বলেন, “ডাকাতির অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
|
নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে সৈকত ঘোষ নামে এক যুবক। তাঁর বাড়ি রানাঘাটের মিলনবাগানে। শনিবার রানাঘাট কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্র মদনপুরে মাসির বাড়ি যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তাঁর বাবা শৈলেন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “ট্রেন ধরে মাসির বাড়ি যাবে বলে বেরিয়েছিল। এক বার ফোনে কথাও হয় সাড়ে সাতটা নাগাদ। তার পর থেকেই ছেলের আর খোঁজ নেই। মোবাইলও সুইচ অফ।” রবিবার পুলিশের কাছে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন শৈলেন্দ্রবাবু। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।” |