টুকরো খবর
মেলেনি ভাতার টাকা, বিক্ষোভ
টাকা এসে পড়ে রয়েছে। অথচ কর্তৃপক্ষের গড়িমসিতে গত ৩-৪ মাস ধরে বার্ধক্য, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা মিলছে নাএই অভিযোগে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর সদর ব্লকের পাঁচখুরি পোস্ট-অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন ভাতা-প্রাপকেরা। সকাল থেকেই পোস্ট-অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলে। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। জানানো হয়, সোমবার থেকে ভাতা দেওয়া হবে। মেদিনীপুরের (সদর) বিডিও অয়ন নাথ বলেন, “পাঁচখুরির বিষয়টি শুনেছি। ভাতার টাকা বরাদ্দ হয়েছে।” পাঁচখুরিতে তিনশোরও বেশি ভাতা-প্রাপক রয়েছেন। তাঁদের কেউ বিধবা ভাতা পান, কেউ বা বার্ধক্য, কেউ প্রতিবন্ধী ভাতা। প্রশাসন সূত্রে খবর, চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত বার্ধক্য ভাতার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এপ্রিল মাস পর্যন্ত বিধবা ভাতার টাকাও বরাদ্দ হয়েছে। মে মাসের গোড়াতেই ব্লক থেকে এই টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু, ওই টাকা এখনও হাতে পাননি প্রাপকেরা। বিক্ষোভে ধনঞ্জয় আড়ি বলেন, “৪ মাস বার্ধক্য ভাতার টাকা পাইনি। কী ভাবে সংসার চলবে।”
পাঁচখুরিতে বিক্ষোভ।
সরতী দোলুইয়ের কথায়, “শুনেছি টাকা এসে পড়ে রয়েছে। অথচ, বিধবা ভাতা পাচ্ছি না।” মেদিনীপুরে (সদর) বার্ধক্য ভাতা পান ৪ হাজার ৬২৬ জন। বিধবা ভাতা ১ হাজার ৫২১ জন। প্রতিবন্ধী ভাতা ১৪৭ জন। ব্যাঙ্ক কিংবা পোস্ট-অফিসের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়। পাঁচখুরির পোস্টমাস্টার শঙ্কর নন্দী বলেন, “কিছু সমস্যার জন্য ভাতার টাকা দেওয়া যায়নি। আগামী সোমবার থেকে ওই টাকা দেওয়া হবে।” পোস্ট-অফিসের পরিকাঠামোগত সমস্যার কথাও জানান তিনি। সমস্যা সমাধানে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন মেদিনীপুরের (সদর) বিডিও।

১০ চাকার লরির ধাক্কা, খড়্গপুরে অটো উল্টে মৃত পাঁচ
মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক অটোচালক-সহ ৫ জনের। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে খড়্গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত পাঁচরুলিয়ায়, ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। দুর্ঘটনাস্থলেই ২ জনের মৃত্যু হয়। পরে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ২ জন ও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরও ১ জন মারা যান। মৃতদের নাম শেখ রফিক (৫০), শেখ সাইজাদা (৪৯), বলওন সিংহ (৪৫), শেখ আলি জামি (৪৯) ও বরুণ ঘোড়ই (৩২)। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে অটোয় চৌরঙ্গির দিকে আসছিলেন রফিকরা। সেই সময়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ১০ চাকার লরি অটোয় ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনাস্থলেই অটোটি উল্টে যায়। আহতদের উদ্ধার করে খড়্গপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ২ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অন্য ২ জনের হাসপাতালেই মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় অটোচালক বরুণকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে সেখানে তাঁরও মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে শেখ আলি ও বরুণের বাড়ি বাঁকুড়ার রাইপুর থানার শ্যামসুন্দরপুরে। সাইজাদার বাড়ি খড়্গপুরের বিদ্যাসাগরপুরে। অন্য দু’জনের বাড়ি হরিয়ানায়। রফিকরা ঠিক কী জন্য খড়্গপুরে এসেছিলেন, তাঁদের কোথায় যাওয়ার কথা ছিল, কোথা থেকেই বা আসছিলেন— তদন্তে নেমে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, লরিটির নম্বর জানা গিয়েছে। নম্বর ধরেই লরিটির খোঁজ চলছে।

চিকিৎসকের মৃত্যু
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কয়েক দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে মৃত্যু হল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বিক্রম সাহার (৪২)। গত শনিবার সকালে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। প্রথমে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক দিন সেখানেই চিকিৎসা চলে। বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। বিক্রমবাবু মেদিনীপুর মেডিক্যালের মেডিসিন বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ছিলেন। পরিবারিক সূত্রে খবর, আত্মহত্যা করার আগে তিনি নোট লিখে গিয়েছেন। সেখানে কয়েক জন সহ-চিকিৎসক এবং কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এক সময়ে তাঁকে মেদিনীপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করার জন্য ‘চাপ’ দেওয়া হয়েছিল বলেও উল্লেখ রয়েছে ওই ‘নোটে’। বিক্রমবাবু মেদিনীপুর শহরেই একটি আবাসনে থাকতেন। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তাদের কাছে কেউ কোনও অভিযোগ জানাননি। ওই ‘নোটে’র বিষয়টিও তাদের অজানা।

সিআরপি’র উদ্যোগ
রেলশহরের একটি প্রযুক্তি-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গলমহলের কিছু পড়ুয়ার নিখরচায় প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করেছে সিআরপি। ঝাড়গ্রাম ও নয়াগ্রামের বাসিন্দা মোট ৪০ জন ছাত্র এই সুবিধা পাবে। তাদের কোর্স ফি, থাকা-খাওয়া-সহ যাবতীয় খরচ বহন করবে সিআরপি। দু’টি বিভাগে প্রশিক্ষণ নেবে ওই ছাত্রেরা অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইলেকট্রিকাল মেক্যানিক। দু’টি কোর্সেরই মেয়াদ ৬ মাসের। এই উদ্যোগ জনসংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.