|
|
|
|
টুকরো খবর |
জলের দাবিতে ঘেরাও, হাওড়ার মেয়র অসুস্থ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জলের সমস্যা মেটানোর দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিক্ষোভ চলছিল হাওড়া পুরসভার মেয়রের ঘরের বাইরে। আর রাতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন হাওড়ার সিপিএম মেয়র মমতা জয়সোয়াল। অভিযোগ, তৃণমূল কাউন্সিলরদের দুপুরের বিক্ষোভ এবং ঘেরাওয়ের জেরে পুরসভায় দীর্ঘ ক্ষণ নিজের ঘরে আটকে থাকার পরেই তাঁর শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, বেলা ৩টে নাগাদ মেয়র-পরিষদের বৈঠক চলছিল মেয়রের ঘরে। তখনই ওই ঘরের বাইরে জলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূলের কাউন্সিলরেরা। তাঁদের সঙ্গে কয়েকটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারাও ছিলেন। অভিযোগ, মেয়র আলোচনার জন্য বিক্ষোভকারীদের বিকেলে নিজের ঘরে আসতে অনুরোধ করেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা রাজি হননি। তাঁরা দাবি জানাতে থাকেন, মেয়রকে বেরিয়ে এসে কথা বলতে হবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মেয়রের ঘরের সামনে পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মেয়রকে আটকে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁর ঘরে পাখা চলতে দেওয়া হয়নি, আলো জ্বালাতে দেওয়া হয়নি, এমনকী বিক্ষোভকারীরা পানীয় জলের সংযোগও বন্ধ করে দেন বলে মেয়রের অভিযোগ। চিকিৎসকেরা জানান, মেয়রের হৃদ্যন্ত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে। পুরসভার বিরোধী দলনেতা, তৃণমূলের অরুণ রায়চৌধুরী বলেন, “কেউ মেয়রের ঘরের আলো, পাখা বা জল বন্ধ করেনি। জলের সমস্যার কথা জানালেও মেয়র কর্ণপাত করছিলেন না।”
|
ঘাটের সেতু বেহাল, দুর্ভোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ভদ্রেশ্বর |
|
ছবি: তাপস ঘোষ। |
জোয়ারের জলের তোড়ে ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়া ফেরিঘাটের অস্থায়ী সেতু ভেসে গিয়েছে মঙ্গলবার। প্রতিদিন তেলেনিপাড়া ঘাট থেকে উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে হাজার দশেক মানুষ যাতায়াত করেন। হুগলি জেলাপরিষদের ওই ঘাটটি বার বার আবেদনের পরও কর্তৃপক্ষ স্থায়ী সেতু নির্মাণে পদক্ষেপ করেননি বলে অভিযোগ। সেতুর বেহাল দশায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বাধ্য হয়ে যে সংস্থা লিজে ওই ঘাটটি চালান তাঁরাই ভেঙে যাওয়া সেতু সারাতে উদ্যোগী হয়েছেন। জেলা পরিষদ তিন বছরের জন্য ঘাটটি লিজে দেয়। সংশ্লিষ্ট সংস্থার তরফে সুজিত কুমার গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ঘাটের বেহাল দশা। যাত্রীরা অনেক সময় পড়ে গিয়ে আহত হন। জেলা পরিষদের হুঁশ নেই। কয়েকদিন আগে জোয়ার আর বানের জলের তোড়ে সেতুটি ভেঙে যায়। যাত্রীদের সুবিধার জন্য আমরা ফেরি বন্ধ রেখে সেতু সারাবার ব্যবস্থা করেছি।” সভাধিপতি প্রদীপ সাহা বলেন, “স্থায়ী জেটির জন্য রাজ্যের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ভেঙে যাওয়া সেতুটি পূর্ত বিভাগের সঙ্গে কথা বলে জরুরি ভিত্তিতে সারানো হবে।” |
|
|
|
|
|