বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষক সমিতির ভোটে শুধুই বাম
র আগে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ঋণ সমবায় সমিতির নির্বাচনে হেরেছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। এ বার শিক্ষক সমিতির (বুটা) ভোট থেকে সরে দাঁড়ালেন রাজ্যের শাসকজোট সমর্থিত প্রার্থীরা।
আগামী ২২ জুন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ভোট। কিন্তু জাতীয়তাবাদী শিক্ষক সংগঠনের তরফে লিফলেট বিলি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা ওই নির্বাচনে প্রতিনিধিত্ব করবে না। এর জন্য কার্যত বামপন্থী সংগঠনের মনোভাবকেই দায়ী করেছেন তাঁরা। বুটা-র বর্তমান কর্তারা অবশ্য তা উড়িয়ে দিয়েছেন।
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক সংগঠনের সদস্যদের বেশির ভাগই তৃণমূল, কেউ কেউ কংগ্রেস সমর্থক বলে পরিচিত। সংগঠনের তরফে লিফলেট দিয়ে বলা হয়েছে, বুটা জন্মলগ্ন থেকেই একটি বামপন্থী রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ মদতে পরিচালিত। বর্তমান নেতৃত্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশও বিগত দিনে যে ভাবে শিক্ষক আন্দোলন পরিচালনা করেছেন, তাতে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া পূরণ হয়নি। সংগঠনের নেতা জয়ন্তকুমার দত্তের অভিযোগ, “সম্মানজনক রফাসূত্র অনুসরণ করে বুটা পদাধিকারী ও পরিচালন সমিতির সদস্য নির্বাচনে উভয় পক্ষের সমান অংশীদারিত্বের জন্য আমরা বর্তমান নেতৃত্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু বামপন্থী নেতারা ২১ আসনের মধ্যে আমাদের বড়জোর ৪-৫টি আসন ছাড়তে চাইছেন।” তাঁর দাবি, এই পরিস্থিতিতে ভোটে অশান্তি এড়াতেই তাঁরা সরে দাঁড়াচ্ছেন। বুটা-র সম্পাদক তথা বামপন্থী প্রগতিশীল শিক্ষা গণতন্ত্রীকরণ সংগঠনের নেতা পার্থ মিত্র অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “বুটা-র একটি নিজস্ব সত্তা রয়েছে। এখানে সাধারণত পদাধিকারী বদল হয় না। জাতীয়তাবাদীরা সমান আসন চাইতে আমরা বলি, পরের বছর সেটা করা সম্ভব। কারণ গত বার যাঁরা নির্বাচনে জিতেছেন, তাঁদেরই কাজ চালাতে দিতে হবে। এতে মানসবাবুরা রাজি হননি।” তাঁদের পাল্টা যুক্তি, জাতীয়বাদীদের সমান আসন ছাড়তে হলে গত বার বুটা-য় নির্বাচিত বামপন্থী সদস্যদের বাদ দিতে হয়। তাতে নির্বাচিত সদস্যেরা রাজি হবেন কেন?
বস্তুত, ঋণ সমবায়ের ভোটে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীদের একজোট হয়ে লড়তে না পারা এবং পরাজয়ের পর থেকেই জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, বুটার ভোটে তাঁদের জয়ের কোনও সম্ভাবনাই নেই। তাই, নির্বাচনে না লড়াই শ্রেয়। এ দিকে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক সংগঠনের অন্যতম নেতা মানস বন্দ্যোপাধ্যায় আবার মনে করেন, “বামপন্থীরা আমাদের সমান আসন ছাড়তে না চাইলেও এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত ভুল ও দুঃখজনক। গত বার আমরা ভোটে লড়ে চারটি আসন পেয়েছিলাম। এ বার বেশি পেতাম না, তার কী মানে আছে!”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.