প্রসূতি মৃত্যু ঘিরে ক্ষোভ হাসপাতালে |
প্রসবের পরে ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হয়ে চলেছিল তাঁর। চিকিৎসককে বলায় উত্তর মিলেছিল, “এমন হয়, অত উতলা হচ্ছেন কেন!” রক্তপাত অব্যাহত থাকে। টানা দু-দিন ধরে অবস্থা বিশেষ বদলায়নি। দায় এড়াতে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালের ওই চিকিৎসক এ বার তেহট্টের জিতপুরের সাহেবা বিবিকে (২৭) রেফার করে দেন জেলা সদর হাসপাতালে। ক্রমান্বয়ে রক্তপাত হয়ে দুর্বল হয়ে পনা মহিলা ধকল নিতে পারেননি। পথেই মারা যান সাহেবা। তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালের ওই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের বিরুদ্ধে এরপরেই অভিযোগ করেন সাহেবা বিবির স্বামী আজিজুল শেখ। তাঁর অভিযোগ ওই তিকিৎসকের অধীনে বেশ কিছু দিন ধরেই ছিলেন সাহেবা। প্রসবের দিন আমি বলেছিলাম প্রয়োজনে অস্ত্রোপচার করতে পারেন। উনি রাজি হননি। রক্তাপাত শুরু হলে বার বার ওঁকে বলেছিলাম। তাতেও কর্ণপাত করেননি ওই চিকিৎসক। কেন? ঘটনার পর থেকেই নিজের মোবাইল ফোন সুইচ অফ করে ছুটিতে গিয়েছেন ওই চিকিৎসক। তবে ওই হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মণ্ডল বলেন, ‘‘রবিবার ওই প্রসূতির মৃত্যুর পরেই আমার কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়েছে।” তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনার পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় তদন্তও শুরু করা হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র অসিত বিশ্বাস বলেন, ‘‘কোনও প্রসূতির মৃত্যু হলে জেলার ম্যাটারনাল ডেথ রিভিউ কমিটি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে আমাদের কাছে রিপোর্ট পাঠায়। এই ক্ষেত্রেও সেটাই করা হবে তাতে ওই চিকিসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
|
চিকিৎসক ছুটিয়ে থাকায় গত পাঁচদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়েছে ডুয়ার্সের কুমারগ্রাম ব্লকের বারবিশা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ফার্মাসিস্ট ও কয়েকজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের দিয়ে চালানো হচ্ছে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র। চিকিৎসক না-থাকায় ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা। স্বাস্থ্য পরিষেবার এমন হাল নিয়ে মঙ্গলবার বারবিশা হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমুল যুব কংগ্রেসের কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, ৫০ হাজারেরও বেশী মানুষ এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল। তার পরেও চার ঘণ্টার জন্য বহির্বিভাগ চলে। সপ্তাহে দু’একদিন করে চিকিৎসক আসেন না। একসময়ে বহির্বিভাগ চালানোর জন্য দুজন চিকিৎসক ছিলেন। এখন একজনকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হলেও পরিবর্ত চিকিৎসক দেওয়া হয়নি। দ্রুত সমস্যা না মিটলে বৃহত্তর আন্দোলন নামার হুমকি দিয়েছে কুমারগ্রাম ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেস। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুকুমার রঞ্জন সরকার বলেন, “পাঁচ দিন ধরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসক নেই। তার পরেও জেলা স্বাস্থ্য দফতর উদাসীন। এটা ভাবাই যায় না।” কুমারগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু ঠাকুর জানিয়েছেন, ব্লকের সাতজন চিকিৎসকের মধ্যে দুজন ছুটিতে থাকায় সমস্যা তৈরী হয়েছে। তিনি বলেন, “সমস্যা সমাধানে জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে। আরও কয়েকজন চিকিৎসক চাওয়া হয়েছে। ওই চিকিৎসকরা যাতে তাঁদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করেন সেটা দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।” কুমারগ্রাম ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভীক রায় বলেন, “সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে খামখেয়ালিপনা মেনে নেব না।” সিপিএম নেতা চানু সরকার বলেন, “কয়েক মাস ধরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা তলানিতে। এর পরিবর্তন চাই।”
|
ডিমা হাসাওয়ে ছড়াচ্ছে কলেরা |
কলেরায় আক্রান্ত হয়ে ডিমা হাসাও জেলার মাইবাং মহকুমায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম দেবিকা থাওসেন। বাড়ি হাজাডিসা গ্রামে। গত কয়েক দিনে কলেরায় এই মহকুমায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬। মহকুমার নতুন নতুন গ্রামে কলেরা সংক্রামিত হওয়ায় জেলা জুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ক্ষেত্রে, দিগেরকুকি, হাজাডিসা, ওয়াজু, হরিশ্চন্দ্রপুর, গিডিংপুর, ফাইডিংয়ের পর এখন তিংবং-এও ঘরে ঘরে রোগাক্রান্ত মানুষ। মাইবাং মহকুমা হাসপাতাল কলেরা রোগীতে ঠাসা। সব মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক মানুষ এখনও চিকিৎসাধীন। এর আগে ক্ষেত্রে তিন জন এবং দিগেরকুকি গ্রামে দু’ জন মারা গিয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম অধিকর্তা এফ টি আমৌ জানান, আক্রান্ত গ্রামগুলিতে র্যাপিড রেসপন্স টিম পাঠানো হয়েছে। ওষুধপত্র নিয়ে চিকিৎসক দল পাহাড়ি গ্রামগুলিতে গিয়েছেন। আমৌয়ের অভিমত, জল থেকেই যাবতীয় সমস্যা। প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে পানীয় জলের কোনও বন্দোবস্ত নেই। নদী-নালার জলই তাঁরা পান করেন। কিন্তু বৃষ্টির দরুন সেই জল এখন পানের উপযোগী নয়। যে সব স্থানে কলেরা চড়াচ্ছে, সেখানকার অধিবাসীদের তিনি জল ফুটিয়ে পান করার পরামর্শ দেন। মাইবাং মহকুমায় কলেরার প্রকোপ বাড়লেও জেলার অন্য মহকুমা হাফলং থেকে এখনও কলেরায় কারও আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ মেলেনি। স্বাস্থ্য দফতর পরিস্থিতির উপর সতর্ক দৃষ্টি রেখে চলেছে।
|
স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবির রানিগঞ্জে |
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন রানিগঞ্জ সিসিসি শাখার উদ্যোগে এবং একটি বেসরকারি হাসপাতালের সহযোগিতায় বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির আয়োজিত হল। রানিগঞ্জ বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত এই শিবিরে ইসিজি ও সুগার পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া দু’জনকে হুইল চেয়ার এবং মাধ্যমিকের কৃতী দশ জন ছাত্রছাত্রীকে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন আসানসোলের মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রানিগঞ্জের বিধায়ক সোহরাব আলি। আয়োজক সংস্থার পক্ষে সূর্যপ্রসাদ দত্ত জানান, রবীন্দ্র সার্ধশতবর্ষ এবং রাজ্য সরকারের বর্ষপূর্তী উপলক্ষে এই শিবিরে প্রায় ১২০ জন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন।
|
ফেনসিডিল-সহ তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বড়ঞার কান্দি-সাঁইথিয়া রাজ্য সড়কের খড়জুনা থেকে কালাম শেখ-সহ তিন যুবককে ধরে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ঝাড়খণ্ড থেকে কয়েক লক্ষ টাকা দামের দু’হাজার বোতল ফেনসিডিল বাংলাদেশে পাচার করার জন্য কান্দিতে নিয়ে আসা হয়েছিল।
|
বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির মধ্যে সমন্বয়সাধন করে এডস নিয়ে জনমানসে সচেতনতা বাড়াতে মঙ্গলবার বনগাঁয় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। উদ্বোধন করেন বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৌমেন দত্ত। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়।
|
মেডিক্যাল বর্জ্য ডাঁই করে রাখা ছিল ঘরে। হাসপাতালে ধূমপানের নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে কেউ সেখানেই ছুড়ে ফেলেন জ্বলন্ত সিগারেটের টুকরো। মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতা মেডিক্যালের গ্রিন বিল্ডিংয়ের তিনতলায় সেই ফেলে রাখা তুলো-গজ-ব্যান্ডেজের স্তূপে আগুন ধরে যায়। ধোঁয়া ছড়ায় পাঁচতলার ওটি কমপ্লেক্সে। আতঙ্কে চিকিৎসক ও কর্মীরা দ্রুত নেমে আসেন। পরে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন যায়। তবে তার আগেই কর্মীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। কী ভাবে মেডিক্যাল বর্জ্য খোলা অবস্থায় ঘরে পড়ে ছিল এবং কী ভাবে হাসপাতালে ধূমপান চলছিল, খতিয়ে দেখছেন কর্তৃপক্ষ। |