ছেলের চিকিৎসায় গাফিলতি হচ্ছে এই অভিযোগে চিকিৎসকের উপরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। জগন্নাথ নাইয়া নামে ওই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সোমবার রাতে ঘটনটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারে নাইয়ার হাট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। মঙ্গলবার ধৃতকে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ২ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরবাজারের নাইয়ার হাট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রবিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ জগন্নাথ নাইয়া তাঁর ছেলে প্রসেনজিতের শ্বাসকষ্টজনিত রোগের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসেন। সেই সময় সেখানে ছিসেল চিকিৎসক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। |
তিনি রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু জগন্নাথবাবু তাতে রাজি না হওয়ায় এবং তাঁর বার বার অনুরোধে শেষ পর্যন্ত প্রসেনজিতকে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ, এর পর রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ জগননাথবাবু মদ্যপ অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চড়াও হয়। সেই সময় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্তব্যরত ছিলেন নার্স গীতা নস্কর। তিনি বলেন, “হঠাৎই ওই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় একটি রিভলবার নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভিতরে ঢুকে পড়ে গালিগালাজ শুরু করে। আমি সঙ্গে সঙ্গে অভিজিৎবাবুকে ডেকে নিয়ে আসি।” অভিজিৎবাবু পুলিশকে বলেন, “রোগীকে এখানে আনা হলে তার কিডনি ও হার্টের সমস্যা রয়েছে দেখে আমি জগন্নাথবাবুকে বলি এখানে ওই রোগীর চিকিৎসার মতো উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। তাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলি। কিন্তু উনি আমার হাতে পায়ে ধরে ওকে এখানেই ভর্তি করতে বাধ্য করেন।” অভিজিৎবাবুর অভিযোগ, “এর পরেই রাতে জগন্নাথবাবু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঢুকে আমার বুকে রিভলভার ঠেকিয়ে ছেলের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে গালিগালাজ করেন। আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান।”
মন্দিরবাজারের বিএমওএইচ গৌতম রায় বলেন, “ওই ঘটনায় পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এই ঘটনায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এতে চিকিৎসা পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে ওই রোগীকে পরে কলকাতার হাসপাতালে স্নানান্তরিত করা হয়েছে।” |