বিএসএনএল মোবাইল বিপর্যস্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দমদম থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় মঙ্গলবার রাতে বিএসএনএলের মোবাইল পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। নাকাল হন অসংখ্য গ্রাহক। অথচ বেসরকারি সংস্থার মোবাইল পরিষেবা অব্যাহত। বিএসএনএলের ল্যান্ডলাইন পরিষেবাও চালু ছিল। গ্রাহকদের অভিযোগ, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে বিএসএনএলের মোবাইল পরিষেবা একমুখী হয়ে যায়। ফোন এলেও মোবাইল থেকে কোনও ফোন করা যায়নি। এসএমএস ব্যবস্থাও কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। রাত থেকে বেহাল দশা শুরু হয় ব্রডব্যান্ডেও। এমনিতেই বিএসএনএলের মোবাইল পরিষেবা নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। মোবাইলে কথোপকথনের সময় যখন-তখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, কখনও নির্ধারিত ফোনের বদলে অন্যের মোবাইলে রিং বেজে ওঠে। গ্রাহকদের অভিযোগ, এ-সব ঝামেলা তো লেগেই আছে। তার উপরে এ দিন মোবাইল পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এই বিপর্যয় কেন? বিএসএনএল সূত্রের খবর, ওই অঞ্চলে লোডশেডিং লেগেই থাকে। তখন এক্সচেঞ্জগুলিতে বিকল্প শক্তির প্রয়োজন হয়। এক দিকে ব্যাটারি ‘ব্যাক-আপ’, অন্য দিকে জেনারেটরের মাধ্যমে চালু রাখা হয় পরিষেবা। কিন্তু ব্যাটারিগুলি মান্ধাতার আমলের। সেগুলির ক্ষমতা প্রায় শেষ পর্যায়ে। তা দিয়ে কাজ বিশেষ হচ্ছে না। সংস্কারের ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষ উদাসীন বলে অভিযোগ। এক্সচেঞ্জগুলিতে কর্তৃপক্ষ যে-মানের জেনারেটর ব্যবহার করছেন, তা নিয়ে গ্রাহকেরা ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, প্রচণ্ড শব্দের কম দামি জেনারেটর চালানো হচ্ছিল। বাসিন্দাদের প্রতিবাদে সেই সব জেনারেটর বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই দুইয়ে মিলিয়ে এক্সচেঞ্জগুলিতে বিকল্প শক্তি ব্যবস্থার বেহাল দশা। কিন্তু ওই সব কারণেই পরিষেবা বন্ধ হয়েছে কি না, গভীর রাত পর্যন্ত বিএসএনএল-কর্তৃপক্ষ সেই বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানাননি।
|
ভুয়ো রেশন কার্ডে অভিযুক্ত কিছু অফিসার
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যে ভুয়ো রেশন কার্ড চক্রের সঙ্গে খাদ্য দফতরের লোকেদের যোগসাজশ আছে বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ। এ বার সেই অভিযোগ মেনে নিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজেই। মঙ্গলবার তিনি জানান, ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরির সঙ্গে খাদ্য দফতরের ১০-১২ জন উচ্চপদস্থ অফিসারের যোগ আছে বলে অভিযোগ। তাঁদের ‘শো-কজ’ করা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, রাজ্যে গত এক বছরে ৭২-৭৩টি অভিযান চালিয়ে ৩৮-৪০ লক্ষ ভুয়ো রেশন কার্ড উদ্ধার করেছে খাদ্য দফতর। শুধু হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরেই অভিযান চালিয়ে গত দু’দিনে ১০০১টি ভুয়ো রেশন কার্ড পাওয়া গিয়েছে। ভুয়ো রেশন কার্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ৭০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চার্জশিট দেওয়া হয়েছে ৪৭২ জনকে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কমিশনারের কাছে ভুয়ো রেশন কার্ড ও প্রকৃত রেশন কার্ডের সংখ্যা জানাতে হবে রাজ্যকে। মন্ত্রী এ দিন জানান, রাজ্যে ডিজিটাল রেশন কার্ডের বেশির ভাগ কাজই হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পুরো কাজ করতে আরও ২৯১ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা দরকার। সেটা পাওয়া যাচ্ছে না। কোনও টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। |