একে অকাল নির্বাচন। তার উপর ভরা গ্রীষ্ম। দরদরে ঘামে কাহিল ভোটার থেকে ভোট কর্মীরা। স্বস্থিতে ছিলেন না প্রার্থীরাও। সিপিএম প্রার্থী নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত সকাল থেকে কর্মীদের নিয়ে বুথে বুথে ঘুরছিলেন। তাঁর মাথায় টুপি। তবে দলের কর্মীরা কাঁধে নিয়েছিলেন তোয়ালে। নীলাঞ্জনবাবুর সঙ্গী দলের জেলা কমিটির সদস্য সুবিকাশ চৌধুরী বলেন, “এই গরমে ভরসা তো তোয়ালেই। মাথা ঢাকা যায়, আবার ঘামও মোছা যায়।” এর পরেই তাঁর সংযোজন, “তবে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, জনতাই বামফ্রন্টের ভরসা।”
|
সকাল থেকে বুথে বুথে তিনি ভোটকর্মীদের ওআরএস বিলি করছিলেন। বিকেল পাঁচটায় জেলা গ্রন্থাগারের বুথ থেকে বের হতেই সেই মহুয়া চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে ধরেন পরিচিত জনেরা। বলেন, “সকাল থেকে অনেককেই ওআরএস খাওয়াচ্ছ। এই গরমে ভোট দিয়ে আমরাও কাহিল। আমাদেরও ওআরএস দাও।” মহুয়াদেবীর জবাব, “ভোটও শেষ। ওআরএস শেষ। তোমরা বরং বাড়ি গিয়ে নুন-চিনির জল গুলে খাও।”
|
বনদফতরের অফিসের বুথ থেকে বেরিয়ে রানিগঞ্জ মোড়ের প্রিয়া সেন আঙুলের লাগানো কালি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখছিলেন। প্রচণ্ড গরমেও মধ্যেও তাঁর চোখে-মুখে লেগেছিল প্রথবার ভোট দেওয়ার উচ্ছ্বাস। বললেন, “অকাল ভোট তো কী? প্রথমবার ভোট দিলাম। মনে হচ্ছে এ বার সত্যিকারের বড় হয়ে গেলাম!”
|
ভরদুপুরে জেলা গ্রন্থাগারের বাইরে গাছের ছায়ায় কুলপি মালাই নিয়ে খদ্দেরের অপেক্ষায় ছিলেন আশিস রজক। বেজার মুখে বলেন, “এই গরমে ভেবেছিলাম কুলপির ভাল বিক্রি হবে। কিন্তু এ বার তো ভোট দিতেই কম লোক এল। কুলপি বিক্রিও জমল না।” |