|
|
|
|
থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ সিপি-র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে না-হতেই ছাত্র-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে মেদিনীপুরে। ইতিমধ্যে কমার্স কলেজ, হিজলি কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) সঙ্গে ছাত্র পরিষদের (সিপি) সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জখম হয়েছেন দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন। সংগঠনের কর্মীদের উপর হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে এ বার থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল সিপি। মঙ্গলবার সকালে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান সিপি’র কর্মী-সমর্থকেরা। পরে আইসি জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেন। |
|
পুস্তক বিক্রেতাদের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র। |
সিপি-র জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুল এ দিন সরাসরি অভিযোগ করেন, “পুলিশ পক্ষপাতদুষ্ট। কমার্স কলেজে ঢুকে যারা হামলা চালাল, তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। অথচ, অভিযুক্তরা শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।” অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন সইফুল। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ছিলেন যুব কংগ্রেস নেতা পার্থ ভট্টাচার্য, নির্মাল্য বন্দ্যোপাধ্যায়, কৌস্তভ বন্দ্যোপাধ্যায়রাও। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কমার্স কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জখম হন ৯ জন। সিপি-র অভিযোগ, দুপুরে আচমকাই কলেজে ঢুকে হামলা করে যুব-তৃণমূলের একদল কর্মী। ‘হামলাকারী’রা সকলেই বহিরাগত। ছাত্র সংসদের ঘরও ভাঙচুর করা হয়। টিএমসিপি-র পাল্টা অভিযোগ, শুরুতে সংগঠনের কর্মীদের উপর ‘হামলা’ চালায় ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থকরাই। শুক্রবার আবার সংঘর্ষ বাধে খড়্গপুরের হিজলি কলেজে। জখন হন ৮ জন। এখানেও সেই ফর্ম তোলাকে কেন্দ্র করেই দু’পক্ষের মধ্যে গোলমাল শুরু হয়। মঙ্গলবার সকালে মেদিনীপুরে মিছিল করে সিপি। সকাল ১০টা নাগাদ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশের বক্তব্য, অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। |
|
|
|
|
|