মন্ত্রীর কাছে দারিবাঁধ খাল সংস্কারের দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সংস্কারের অভাবে মজে গিয়েছে দারিবাঁধ খাল। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
দারিবাঁধ খাল সংস্কারের দাবিতে সোচ্চার হল কংগ্রেস। সেচ দফতরে দাবি জানানোর পাশাপাশি সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার কাছেও বিশেষ ভাবে দাবি জানানো হয়েছিল। কংগ্রেসের দাবি, মন্ত্রী বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য সেচ দফতরকে নির্দেশও দিয়েছেন। চলতি সপ্তাহেই সমীক্ষার কাজ শেষ করে প্রকল্প-রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। মেদিনীপুর পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অনেক দিন ধরেই খাল সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কাজ হয়নি। এ বার মন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছিলাম। মন্ত্রী সেচ দফতরকে রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করা যায়, শীঘ্রই দারিবাঁধ খাল সংস্কার শুরু হবে।” সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সেচ দফতরের এবং পুরসভার আধিকারিকেরা যৌথ ভাবে সমীক্ষায় যাবেন। দারিবাঁধই মেদিনীপুর শহরের একমাত্র বড় নিকাশি-খাল। শহরের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে। সংস্কারের অভাবে খালটি মজে গিয়েছে। ফলে, সামান্য বৃষ্টিতেই ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পালবাড়ি, মহাতাবপুর, সুজাগঞ্জ, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিমতলাচক, হরিজন-বস্তি, স্কুলবাজার, তাম্বুলিপাড়া, মুচিপাড়া, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের হরিজন-বস্তি, নন্দীপুকুর, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বক্সীবাজারের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। খালটি খয়রুল্লাচকের ফুলপাহাড়ি মৌজা থেকে শুরু হয়ে কাঁসাই নদীতে পড়েছে। কয়েক কিলোমিটার বিস্তৃত খালটি বিভিন্ন সময়ে সংস্কার হলেও সে-কাজ হয়েছিল অবৈজ্ঞানিক ভাবে। সংস্কারের পর খাল থেকে তোলা কাদা-মাটি ও আবর্জনা রাখা হয়েছিল খালের পাড়েই। ফলে, বর্ষায় ফের সেই মাটি-কাদা ও আবর্জনা খালেই পড়ে যায়। কাজের কাজ আর হয়নি। তাই এ বার ভাল-ভাবে সংস্কারের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
কুকুরের তাড়া খেয়ে পালানোর সময়ে চা বাগানের কাঁটাতারের বেড়ার দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হল চিতাবাঘকে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে হাসিমারার কাছে সাঁতালি চা বাগান লাগোয়া এলাকায়। কয়েক ঘণ্টা তারের বেড়ায় আটকে থাকার পর ভোরের দিকে জখম অবস্থায় চিতাবাঘটি নিজেকে ছাড়িয়ে পালাতে সক্ষম হয়। তার আগে চিতাবাঘটি আটকে থাকার খবর পেয়ে নীলপাড়া রেঞ্জের বনকর্মীরা সেখানে যান। সঙ্গে ঘুমপাড়ানি গুলি না-থাকায় তাঁরা চিতাবাঘটিকে বার করতে পারেননি। পালানোর সময়ে চিতাবাঘের হামলায় এক ব্যক্তি সামান্য জখম হন বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। বন্যপ্রাণ-৩ নম্বর বিভাগের ডিএফও রাজেন্দ্র জাখর বলেন, “চিতাবাঘ ঢোকার প্রমাণ মেলার পরে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বন কর্মীদের টহলদারির নির্দেশ দিয়েছি। প্রয়োজনে খাঁচা পাতা হবে।” কালচিনি ব্লকের সাঁতালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মনোজ বড়ুয়া বলেন, “রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ সাতালি চা বাগান থেকে চিতাবাঘটি বার হয়েছিল। এলাকার বাসিন্দা ঝুনু ওরাওঁয়ের বাড়ির কাছে গেলে এলাকার কুকুর তাকে তাড়া করে। চিতাবাঘটি পালাতে গিয়ে সাতালি চা বাগানের ছয় নম্বর সেকশনের তারের বেড়ায় আটকে পড়ে। কিছুদিন আগে এই চিতাবাঘটিই ঝুনু ওরাওঁ, বিনোদ রায় ও রূপচাঁদ ওরাওঁদের ছাগল ও শুয়োর খেয়ে ফেলে। জখম চিতাবাঘটি ফের হামলা চালাতে পারে বলে বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন।”
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • বেলিয়াতোড় |
সাপের ছোবলে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বেলিয়াতোড় থানার ছান্দার গ্রামে। মৃতের নাম গোপাল সিংহ (৬২)। প্রথমে তাঁকে ছান্দার উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে বেলিয়াতোড় স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়।
|
প্রায় ১৩ ফুট লম্বা একটি ময়াল উদ্ধার করলেন বনকর্মীরা। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটে সুকনা সেনা ছাউনিতে। সেনা ছাউনির পাম্প হাউজের মধ্যে অজগর সাপটি ঢুকে পড়েছিল। বনকর্মীরা এসে উদ্ধার করেন। অজগর সাপটির শরীরের একাংশের ছাল উঠে গিয়েছে। সুকনায় সেটির চিকিৎসর পরে রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়েছে।
|
একদল কুকুরের মাঝেপড়ে যাওয়া হরিণ শাবককে উদ্ধার করে বনকর্মীদের হাতে তুলে দিলেন সেনা জওয়ানরা। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ির অদূরে শালুগাড়ায় সেনা ছাউনিতে। মহানন্দা অভয়ারণ্য থেকে বার হয়ে শাবকটি সেনা ছাউনি এলাকায় কুকুরের সামনে পড়ে যায়।
|
নামো সাথী
জলে। গরমের বিকেলে স্বস্তিতে মুখোমুখি। দুর্গাপুরের
পলাশডিহায় মঙ্গলবার ছবিটি তুলেছেন বিকাশ মশান। |
|