সম্পাদক সমীপেষু ...
সঙ্ঘের সমর্থন নিয়েই জনসঙ্ঘ গড়েন শ্যামাপ্রসাদ
উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় (‘বি জে পি-র একমাত্র উপায় স্বাবলম্বী হওয়া’, ৭-৬) কোথা থেকে এই তথ্য পেলেন যে, জনসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠার সময় শ্যামাপ্রসাদ যে গোলওয়ালকরের সার্বিক সমর্থন পেয়েছিলেন, তা ‘ভুল ধারণা’? গাঁধী হত্যার পরে নেহরু আর এস এস-কে দায়ী করে তাকে বেআইনি ঘোষণা করেন। সরকার পরে সঙ্ঘের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাধ্য হয়। কিন্তু সেই সময়ই গোলওয়ালকর এবং অন্য সঙ্ঘনেতারা বোঝেন, রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কশূন্য হলে ভবিষ্যতে এই ধরনের আক্রমণ প্রতিহত করা শক্ত হবে। অপর পক্ষে প্রথম সরসঙ্ঘচালক ডা. হেডগেওয়ার এই অনুশাসন দিয়ে গিয়েছিলেন যে, সঙ্ঘ শুধু ‘মনুষ্য নির্মাণ’ এবং ‘হিন্দু সমাজকে হিন্দু হিসাবে জাগ্রত ও সংঘটিত করার কাজ করবে, কদাচ রাজনীতিতে জড়াবে না’। দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক গোলওয়ালকরও সঙ্ঘকে রাজনীতিতে জড়ানোর ঘোর বিরোধী ছিলেন। গোলওয়ালকরের সমাধান হল এই রকম যে-সমস্ত স্বয়ংসেবকের রাজনীতিতে ঝোঁক আছে তাঁরা সঙ্ঘের বাইরে গিয়ে সঙ্ঘের অনুপ্রেরণা নিয়ে রাজনীতির কাজ করুন, যাঁরা ধর্মীয় কাজ করতে চান তাঁরা ধর্মীয় সংগঠন করুন (বিশ্ব হিন্দু পরিষদ), যাঁরা শ্রমিক আন্দোলন করতে চান, তাঁরা তাই করুন (ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ), যাঁরা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সঙ্ঘের আদর্শ প্রচার করতে চান তাঁরাও তাই করুন (অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ)। এগুলিকে সামগ্রিক ভাবে ‘বিবিধ ক্ষেত্র’ বলা হয়, যদিও ‘সঙ্ঘ পরিবার’ কথাটাই চালু।
কিন্তু যাঁরা রাজনীতি করতে চাইছিলেন, তাঁদের কোনও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছিল না। কোনও লোকমান্য নেতাও ছিলেন না। শ্যামাপ্রসাদ তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, হিন্দু মহাসভার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেছেন। অর্থাৎ স্বয়ংসেবকরা যেমন নেতা খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন তেমনই শ্যামাপ্রসাদ একটা পার্টি খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। সংযোগ হল কলকাতায় ১৯৫০ সালে। এই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত সঙ্ঘপ্রচারক বংশীলাল সোনি। তাঁর কাছেই শুনেছি, এই বৈঠকে গোলওয়ালকর শ্যামাপ্রসাদকে বলেন, তিনি তাঁর সবচেয়ে কর্মদক্ষ স্বয়ংসেবকদের এ কাজের জন্য দেবেন। দিয়েছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী, সুন্দর সিংহ ভাণ্ডারী, জগদীশ মাথুর, জগন্নাথরাও জোশী, বাউরাও দেওরস প্রমুখকে। অতএব যাকে উদয়নবাবু ভুল ধারণা বলেছেন, সেটা ঠিক।
কে আর মালকানি দলের ম্যানিফেস্টো রচনা করেননি। রচনা করেন বলরাজ মাধোক। তাঁকে শ্যামাপ্রসাদ বলেছিলেন আর এস এস, আর্যসমাজ ও তাঁর (শ্যামাপ্রসাদের) নিজের চিন্তাধারা ভিত্তি করে ম্যানিফেস্টো তৈরি করতে। মালকানির রচনা A Great Life Greatly Lived লোকসভা সেক্রেটারিয়েট প্রকাশিত মোনোগ্রাফের অন্তর্গত। তাতেও তিনি দাবি করেননি যে, ম্যানিফেস্টো তিনি লিখেছিলেন। আর ‘গোলওয়ালকরের অনুগামী হয়েও কে আর মালকানি বলরাজ মাধব (sic) প্রমুখ তরুণ তুর্কিরা সে সময় শ্রীগুরুজির সঙ্গে তর্কে মেতেছিলেন’, একদমই ঠিক নয়।
“গোলওয়ালকর আর এস এস-এর দ্বারা রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিলেন”, এটিও ভুল। অটলবিহারী, সুন্দর সিংহ প্রমুখ স্বয়ংসেবককে রাজনৈতিক কাজে এগিয়ে দেওয়ার পর গোলওয়ালকর সঙ্ঘের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। সঙ্ঘ কখনও প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে জড়ায়নি। ভারতীয় জনসংঘ এবং পরে বি জে পি-র কর্তারা স্বয়ংসেবক হিসেবে সঙ্ঘের কাছে পরামর্শ চান, সঙ্ঘ তা দেয় মাত্র।
লেখক লিখেছেন, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মৃত্যু হয় ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮। এটা মৃত্যু নয়, হত্যা। ওই তারিখে মোগলসরাই রেল ইয়ার্ডের মধ্যে এক কুয়াশাঢাকা ভোরে ওঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়।
এ ‘জিবন’ ধন্য হল
২৫ বৈশাখের আনন্দবাজারে ‘কলকাতা’ পাতায় একটি ছবি ছাপা হয়েছে। আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মার্কিন বিদেশ সচিব হিলারি ক্লিন্টনের উপহার দেওয়া একটি বৃহৎ রুমাল, যার চার পাশে লেখা ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে/এ জীবন ধান্য কর’। এ ভোঁতা বঙ্গজীবনে কবিগুরুর জন্মদিনের ভোরবেলায় এ জিনিস দেখে বড় আমোদ বোধ হল, ‘জিবন’ও বোধহয় ‘ধান্য’ না হোক ধন্য তো হল!
তৃষ্ণার জল চাই
ধর্মতলা সারা পশ্চিমবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু, এখানে রাস্তার ধারে পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। রোদে হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে দুর্ভোগের একশেষ। অগত্যা পথচারীদের পয়সা দিয়ে ভেজাল ঠান্ডা পানীয়, আখ ও ফলের রস, নুন-লেবুর সরবত খেতে হচ্ছে। ওই সব অস্বাস্থ্যকর পানীয় খেয়ে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী জল নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছে। তৃষ্ণার জল পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। মহানাগরিক মহাশয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.