স্কুল শিক্ষিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারী থানার বড়াইল এলাকায়। রবিবার সকালে ঘরের মেঝেয় পড়ে থাকা ওই শিক্ষিকার দেহ পুলিশ উদ্ধার করে। মৃতের নাম শ্রাবণী দাস (২৮)। তিনি গঙ্গারামপুর হাই স্কুলের ইংরেজির শিক্ষিকা ছিলেন। এসডিপিও নারায়ণ মজুমদার বলেন, “বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে মৃতা শিক্ষিকার স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।” মৃতদেহের পাশ থেকে একটি পাত্র উদ্ধার হয়েছে। তা বিষের পাত্র কি না পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এ দিন মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার বিস্তারিত তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মৃতার স্বামী মদন পালও স্কুল শিক্ষক। বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানার হামিদপুর এলাকার বাসিন্দা মদনবাবু ২০১০ সালে এসএসসির মাধ্যমে বংশীহারীর নারায়ণপুর হাই স্কুলে দর্শনের শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন। দেড় মাস আগে বংশীহারীর কেষ্টপুরের বাসিন্দা শ্রাবণী দেবীর সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয়। তারপর থেকে দুজনে স্থানীয় বড়াইল এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। বিডিও বনমালী রায় মৃতদেহের সুরতহাল করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিষক্রিয়ায় ওই শিক্ষিকার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। এ দিন আটক স্কুল শিক্ষক স্বামী মদনবাবু পুলিশকে জানান, স্ত্রী শ্রাবণী কলেজের শিক্ষকতায় যোগ দিতে পড়াশুনা শুরু করেছিলেন। শনিবার রাত জেগে তিনি পড়ছিলেন দেখে পাশের ঘরে মদনবাবু শুয়ে পড়েন। দুই ঘরের মাঝখানের দরজা বন্ধ ছিল। সকালে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে জানলা দিয়ে স্ত্রীকে মেঝেয় পড়ে থাকতে দেখে তিনি প্রতিবেশীদের খবর দেন। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতার বাবা এলাকার ব্যবসায়ী সোমেশ দাস বলেন, “কয়েকদিন আগে মেয়ে ফোন করে জামাইয়ের টাকার দরকার বলে জানায়। ওকে টাকা দেব বলেছিলাম।” তবে ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তা বুঝতে পারছেন না বলে সোমেশবাবু। পুলিশে অভিযোগ জানানো নিয়ে তিনি চিন্তাভাবনা করছেন বলে এ দিন জানিয়েছেন। মৃত শিক্ষিকা শ্রাবণী এবং মৃতার স্বামী শিক্ষক সম্পর্কে তাদের দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষক যথাক্রমে কমলেন্দু বসাক এবং অখিল বর্মন এক সুরে জানান, দু’জনেই শান্ত স্বভাবের ছিলেন। তাই ওই শিক্ষিকার অপমৃত্যুতে তাঁরাও অবাক হয়েছেন। |