একদল বুনো হাতি লোকালয়ে ঢুকে ধান ও মিষ্টি কুমড়ো খেয়ে জঙ্গলে ফিরে গেল। শনিবার রাতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল লাগোয়া উত্তর মহাকালগুড়ি ও দাসপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দশ দিন ধরে ওই বুনো হাতির দল হামলা চালিয়ে ৪০ বিঘা বোরো ধান খেয়েছে। ৬ বিঘা আমন ধানের বীজতলা পায়ে মাড়িয়ে নষ্ট করেছে। তিনটি বাড়িও ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। লাগাতার বুনো হাতির হানায় মাথায় হাত পড়েছে উত্তর মহাকালগুড়ি ও দাসপাড়া এলাকার কৃষকদের। স্থানীয় কৃষক ধীরেশ দাস জানিয়েছেন, শনিবার রাতে একদল বুনো হাতি ওই দুটি গ্রামে ঢুকে হামলা চালিয়ে শশাঙ্ক দাস, রমেন দাস ও দিলীপ দেবনাথ নামে তিন কৃষকের বাড়ি ভেঙে দেয়। শশাঙ্ক দাসের ঘর থেকে দুই বস্তা ধান টেনে এনে উঠোনে দাঁড়িয়ে খায়। দিলীপ দেবনাথের ঘরে মজুত রাখা ৫০টি কুমড়ো খায় হাতির দল। এ ছাড়া ১৬ বিঘা বোরো ধান খেয়ে নিয়েছে। অন্তত ৬ বিঘা আমন ধানের বীজতলা পায়ে মাড়িয়ে নষ্ট করেছে। রাতে বনকর্মী ও গ্রামবাসীরা দীর্ঘ সময় চেষ্টা চালিয়ে হাতিগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হয়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের সাউথ রায়ডাক রেঞ্জের রেঞ্জার উপল দত্ত জানিয়েছেন, ছিপড়া জঙ্গল লাগোয়া উত্তর মহাকালগুড়ি ও দাসপাড়া গ্রামে হাতির হানা ঠেকাতে লাগাতার টহল দেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।
|
জরুরি ভিত্তিতে ব্যয়ের সংস্থান করতে বক্সা টাইগার কনজারভেশন ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট গঠন করল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। গত এপ্রিল মাস থেকে বন দফতরের কর্মীদের মাইনে থেকে বিভিন্ন খাতের খরচে ট্রেজারির মাধ্যমে করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিপাকে পড়েছে বন দফতর। তার পরেই এই ট্রাস্ট গঠনের চিন্তাভাবনা করা হয়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পশ্চিম ক্ষেত্রের উপক্ষেত্র অধিকর্তা ভাস্কর জেভি বলেন, “বক্সার জঙ্গলের বনবাসী, বনকর্মীদের উন্নয়নের জন্য খরচের তাগিদে বক্সা টাইগার কনজারভেশন ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি জঙ্গল থেকে বিভিন্ন খাতে আদায় করা অর্থ এই তহবিলে জমা করা হবে বলে এলাকার উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।” বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা বিজয়কুমার সালিমাথ জানান, ট্রেজারির মাধ্যমে বন দফতরের টাকা আসায় কিছু সমস্যা হচ্ছে। মূলত জরুরি ভিত্তিক কাজে অসুবিধেয় পড়েছেন রেঞ্জ ও বিট অফিসারা। ট্রাস্টে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা রবিন্দ্র পাল সাইনিকে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করা হয়েছে। বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়, কুমারগ্রামের বিধায়ক দশরথ তিরকি ও কালচিনির উইলসন চম্পামারিও ট্রাস্টের সদস্য। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা বলেন, “ঝড়ে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগে আনুমানিক বারোশো গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতদিন গাছ জঙ্গল থেকে সাইজ করে কেটে বিভিন্ন রেঞ্জ ও বিট অফিসে রাখা হত। পরে তা বন উন্নয়ন নিগম নিলাম করত। এই গাছ কাটার জন্য মজুরি, জঙ্গল থেকে গাড়িতে গাছ আনার খরচ দিত বন উন্নয়ন নিগম। ট্রেজারির মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দের নীতিতে কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ট্রাস্টের মাধ্যমে সে কাজ করা হবে।”
|
সাপের ছোবলে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। ঘটনাটি রবিবার সকালে রায়দিঘির উত্তর কঙ্কনদিঘি গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম ঝর্না মণ্ডল (৩৫)। এ দিন ভোরে বাড়ির বারান্দায় ঘুমোচ্ছিলেন ওই মহিলা। সে সময়ে ওই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানায়। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় রায়দিঘি গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। |