|
|
|
|
প্লাস্টিক দূষণ রুখতে জোর প্রচারে ন্যাফ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
হায়দরপাড়া বাজারের সব্জি থেকে মাছ বিক্রেতা যাঁর কাছেই যাচ্ছেন প্রচারকারীরা সকলেই প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বর্জন করেছেন বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন। আচমকা নজরে পড়ে বাজারের সামনে রস্তায় ঠেলায় নিয়ে আম বিক্রেতা রাকেশ কুমার প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করছেন। তাঁর কাছে যান প্রচারকারী দল হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন (ন্যাফ)-এর সদস্যরা। কেন তিনি শহরের সুনাম এ ভাবে নষ্ট করছেন বলাতে হাত জোড় করে ক্ষমা চান ওই ব্যবসায়ী। আর কখনই এই ভুল করবেন না বলে দুঃখ প্রকাশ করেন। ঘোঘোমালি বাজারে চরণ বর্মনের মতো মাছ ব্যবসায়ীদের কয়েকজন বিড়ি কোম্পানির সিল ছাপ দেওয়া প্লাস্টিকের বড় মোড়ক ক্যারিব্যাগ হিসাবে নিষিদ্ধ হয় বলে জবরদস্তি ব্যবহারের চেষ্টা করছিলেন। ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মা প্রচারে থেকে সমস্ত ধরনের প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ নিষিদ্ধ জানালে ওই ব্যবসায়ীরা ভুল স্বীকার করে নেন। শিলিগুড়ি শহরকে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ মুক্ত রাখতে রবিবার হায়দরপাড়া এবং ঘোঘোমালি বাজারে প্রচার অভিযান চালায় ন্যাফ। ছুটির দিনগুলিতে বাজারে লাগাতার প্রচার অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। হায়দরপাড়া বাজারের ব্যবসায়ীরা প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করছেন না দেখে তাঁদের সাধুবাদ জানান সদস্যরা। ঘোঘোমালি বাজারে হাতে গোনা কয়েকজন মাছ, মাংস ব্যবসায়ী প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহারের চেষ্টা করার বিষয়টি নজরে আসে প্রচারকারীদের। বিড়ি কোম্পানির সিল ছাপ দেওয়া প্লাস্টিকের বড় প্যাকেট ক্যরিব্যাগ হিসাবে জবরদস্তি ব্যবহার করছেন তাঁরা। ঘোঘোমালি নেতাজি বাজার সমিতির সহসম্পাদক সুভাষ সাহাকে এ ব্যাপারে বলা হলে তিনি প্রথমে দাবি করেন, পুরসভার কর্মীরা দু’ দিন আগে এসে সিল ছাপ দেওয়া এ ধরনের ক্যারিব্যাগ নিষিদ্ধ নয় বলে জানিয়েছেন। প্লাস্টিকের সব ক্যারিব্যাগ যেখানে নিষিদ্ধ, কী ভাবে সিল ছাপ দেওয়া ক্যারিব্যাগ অনুমতি দেওয়া হবে সে ব্যাপারে ন্যাফের সদস্যরা জানতে চান। সুভাষবাবু এ বার জানান, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকেরা অনুমতি দিয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মা। তিনি জানিয়ে দেন এই ধরনের ক্যরিব্যাগ ব্যবহার করা চলবে না। ব্যবসায়ী সমিতির কর্তাদের সতর্ক করে অবিলম্বে বৈঠক ডেকে সমস্ত ব্যবসায়ীদের তা জানাতে বলেন। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকেরা জানিয়ে দেন যে কোনও প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেউ অপপ্রচার চালাচ্ছেন অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে অবশ্য সুভাষবাবু ভুল বুঝতে পেরে ব্যবসায়ী সমিতির তরফে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। রঞ্জনবাবু ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে বলেন, “পুরসভা এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে অভিযান চালিয়ে এই বাজারের ২ টি দোকানে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছিল। আইন মোতাবেক ওই ২ টি দোকান সিল করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্য কেউ ভবিষ্যতে একই ভূল করলে তাদের ক্ষেত্রেও কড়া ব্যবস্থানেওয়া হবে।” ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, “অধিকাংশ ব্যবসায়ীরাই প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বর্জন করেছেন। গুটি কয়েক ব্যবসায়ী শহরের সুনাম নষ্ট করতে চাইছে। তা কখনও মেনে নেওয়া যায় না।” |
|
|
|
|
|