পণ না দেওয়ায় খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের চেয়ে কম শাস্তি দেওয়া উচিত নয়। একটি মামলায় এই মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ১৯৯৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি উত্তরাখণ্ডের রুরকিতে খুন হন রেণু ভাটনগর। এই ঘটনায় তাঁর স্বামী মুকেশ, শাশুড়ি কৈলাসবতী ও দেওর রাজেশ ভাটনগরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হরিদ্বারের দায়রা আদালত তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়। সেই রায় বহাল রাখে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টও। মামলা আসে সুপ্রিম কোর্টে। মুকেশের আইনজীবী প্রথমে প্রমাণের চেষ্টা করেন রেণু স্টোভ ফেটে মারা গিয়েছেন। সেই যুক্তি মানেনি শীর্ষ আদালত। পরে তিনি বলেন, মুকেশ ও তাঁর ভাইয়ের বয়স কম। তাঁদের মা বৃদ্ধা। তাই শাস্তির ক্ষেত্রে আদালতের নরম মনোভাব নেওয়া উচিত। আইনজীবীর এই যুক্তিও উড়িয়ে দিয়েছে বিচারপতি স্বতন্ত্র কুমার ও রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ। বেঞ্চের মতে, পণ হিসেবে টেলিভিশন বা কুলারের মতো পণ্য না পেয়ে স্ত্রীকে খুন করা জঘন্য অপরাধ। এ ক্ষেত্রে স্টোভ ফাটার পরে স্ত্রীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে মিথ্যে জবানবন্দিও দিয়েছেন মুকেশ। তাই এই মামলায় অপরাধীদের কোনও ভাবেই রেয়াৎ করা উচিত নয়।
|
বিহারে গয়া জেলায় বলথের জঙ্গল এলাকায় সশস্ত্র মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জখম হয়েছেন সিআরপি-র তিন জওয়ান। পুলিশ জানায়, আগামী কাল বিহার বন্ধের ডাক দিয়েছে মাওবাদীরা। ওই বন্ধএর সময় কী কী ধরনের তৎপরতা চালানো হবে তার কৌশল স্থির করতে মাওবাদীরা ওই জঙ্গলে গোপন বৈঠকে বসেছিল। মাওবাদীদের অবস্থানের খবর পেয়ে ওই জঙ্গলে অভিযান চালাতে যায় সিআরপি-র কোবরা বহিনী। জওয়ানদের আসতে দেকেই গুলি ছুড়তে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেন কোবরা জওয়ানরাও। গুলির লড়াইয়ে তিন জওয়ান জখম হন। তাঁদের গয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গয়ার এসএসপি বিনয় কুমার বড়সড় পুলিশ দল নিয়ে সংঘর্ষস্থলে যান।
|
আগুনে ভস্মীভূত হল উজানি অসমে অসমের ঐতিহ্যশালী কমিশনারের দফতর ও আবাসগৃহ। আজ বেলা ১১টা নাগাদ যোরহাট সদর এলাকার সিনামারায় এই বাড়িটিতে আগুন লাগে। ১৯২১ সালে যোরহাট চা কোম্পানির সুপারের আবাস হিসাবে এই বাড়িটি তৈরি করা হয়েছিল। এই বাড়িতে থেকে গিয়েছেন রানি এলিজাবেথের স্বামী ফিলিপও। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর আগুন নেভায়। তবে দোতলাটি পুরো ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। হুসেন বলেন, “এই ভবনটি নষ্ট হওয়া, অসমের ইতিহাসের ক্ষেত্রেও অপূরণীয় ক্ষতি।” ১৯৮১ সালে, পুরনো কমিশনারের দফতরে বিস্ফোরণের পরে উজানি অসমের কমিশনারের বাড়ি ও অফিস এই বাড়িতে স্থানান্তরিত হয়েছিল।
|
বালিকার শ্লীলতাহানির দায় নিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের এক জওয়ান। ঘটনাটি ঘটেছে ২ জুন। ঘটনার পরে মেয়েটির বাবা মা কোনও অভিযোগ দায়ের না করলেও ডিমাপুর মহিলা সংগঠনের উদ্যোগে ঘটনাটি সামনে আসে। পুলিশ জানায়, চুমুকেডিমা এলাকায় ছাগল চরাচ্ছিল ৮ বছরের মেয়েটি। তখনই আইআরবির জওয়ান মানকাই কন্যাক তার শ্লীলতাহানি করে। ঘটনাটি ঘটে, চুমুকেডিমা পুলিশ কমপ্লেক্সের চত্বরেই। অন্য দিকে, মেঘালয়ে, লাদ জলিয়া এলাকায়, কয়লাবাহী ট্রাকের মধ্যেই এক কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। কাল বিকেলে ঘটনাটি ঘটে। ধর্ষণকারীরা মেয়েটিকে রাস্তায় ফেলে পালায়। পথচারীরা তাকে জোয়ই সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। পুলিশ জানায়, বছর পনেরোর মেয়েটি মুকিন্দুর গ্রামের ওয়া মিনসো এলাকায় চায়ের দোকানে কাজ করে।
|
ব্যাগ দেরিতে পৌঁছনোয় মালয়েশিয়ার বিমান সংস্থাকে কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা করল ক্রেতা সুরক্ষা ফোরাম। দেরির কারণে লুধিয়ানার বাসিন্দা সতীশ শর্মাকে পরে দিল্লি গিয়ে ব্যাগ নিয়ে আসতে হয়। ক্রেতা সুরক্ষা ফোরামে অভিযোগ জানান তিনি। বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন, বিমান সংস্থা যেন ক্ষতিপূরণ বাবদ দশ হাজার, মামলার খরচ হিসাবে পাঁচ হাজার এবং যাতায়াত ভাড়া বাবদ আরও পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে দেন।
|
নেতাজির স্মৃতিরক্ষায়আজাদ হিন্দ স্মৃতি সৌধ ও নেতাজি সংগ্রহশালাকে জাতীয় ঐতিহ্য ক্ষেত্র হিসাবে গড়ে তোলার পরামর্শ দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। দুই দিনের সফরে, শনিবার ইম্ফল গিয়েছিলেন রমেশ। বিমান বন্দর থেকেই, রমেশ সোজা লোকটাক সরোবরের পাড়ে, বিষ্ণুপুর জেলার মোইরাং আসেন। এখানেই, ১৯৪৪ সালের ১৪ এপ্রিল, প্রথম, ত্রিবর্ণ উড়িয়েছিলেন নেতাজি ও আজাদ হিন্দ বাহিনী। রমেশ রাজ্য সরকারের উদ্দেশে বলেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসিক স্থানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে, জাতীয় মানচিত্রে তুলে ধরা প্রয়োজন। এই সংগ্রহশালায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বহু নথি, সামগ্রী, অস্ত্র রাখা আছে। নেতাজির মূর্তিতে মালা দিয়ে রমেশ নির্দেশ দেন, অবিলম্বে, এই স্থানকে দেশের অন্যতম ঐতিহ্যক্ষেত্র হিসাবে গড়ে তুলতে ব্যবস্থা নিতে। |